বিশ্বে পরিবেশের ভারসাম্য, অর্থনীতির চাহিদা, এবং সামাজিক (Fastest-growing Religion) উন্নয়ন নিশ্চিত করার জন্য একটি প্রধান পদক্ষেপ হল জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ। এটি একটি সহজ কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ বাস্তবতা, যা বিশ্বের অধিকাংশ মানুষ এখনও পুরোপুরি মেনে নিতে পারেনি, বিশেষত মুসলিম সম্প্রদায়।(Fastest-growing Religion) পরিসংখ্যানের ভিত্তিতে দেখা যাচ্ছে, জনসংখ্যার দিক থেকে বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুত বর্ধিত ধর্মীয় জনগোষ্ঠীর তালিকায় বর্তমানে প্রথম স্থানে রয়েছে ইসলাম। আর দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে খ্রিস্টান ধর্ম। কিন্তু এখানেই শেষ নয়, সমীক্ষার তথ্য অনুযায়ী, গোটা বিশ্বে বাড়ছে নাস্তিকদের সংখ্যাও, যা একটি নতুন এবং বৈপ্লবিক প্রবণতা(Fastest-growing Religion)
পিউ রিসার্চ ইনস্টিটিউটের সাম্প্রতিক সমীক্ষা অনুযায়ী, ২০১০-২০২০ এই দশ বছরে পৃথিবীজুড়ে সবচেয়ে দ্রুত বৃদ্ধি পেয়েছে ইসলাম ধর্ম। এই সময়ে ইসলাম ধর্মাবলম্বীর সংখ্যা বেড়েছে প্রায় ৩৪ কোটি ৭০ লক্ষ, যার ফলস্বরূপ(Fastest-growing Religion) মুসলিমদের মোট সংখ্যা বেড়েছে ১.৮ শতাংশ পয়েন্ট। বর্তমানে বিশ্বের মোট জনসংখ্যার প্রায় ২৫.৬ শতাংশ মুসলিম ধর্মাবলম্বী। ইসলাম ধর্মের দ্রুত প্রবৃদ্ধি দেখে অনেক বিশেষজ্ঞ ধারণা করছেন যে, এটি বিশ্বের ধর্মীয় কাঠামো পরিবর্তন করতে চলেছে।(Fastest-growing Religion)
তবে, মুসলিমদের তুলনায় খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের বৃদ্ধির হার অনেকটা কমেছে। (Fastest-growing Religion) পিউ রিসার্চের তথ্য অনুযায়ী, ২০১০ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে খ্রিস্টানদের সংখ্যা বেড়েছে প্রায় ১২ কোটি ২০ লক্ষ, যার ফলে বর্তমানে তাদের মোট সংখ্যা প্রায় ২৩০ কোটি। এই সময়সীমার মধ্যে খ্রিস্টান ধর্মের জনগণের সংখ্যা ১.৮ শতাংশ পয়েন্ট কমে গেছে। বর্তমানে বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ২৮.৮ শতাংশ খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী। এটি নিঃসন্দেহে একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন, যা পরবর্তীতে ধর্মীয় শক্তির কাঠামোয় প্রভাব ফেলতে পারে।(Fastest-growing Religion)
এছাড়াও, খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় হল নাস্তিকদের বৃদ্ধি। গত দশকগুলোতে নাস্তিকদের সংখ্যা বিশ্বজুড়ে দ্রুত বেড়েছে। ২০১০-২০২০ সালের মধ্যে নাস্তিকদের সংখ্যা বেড়েছে ২৭ কোটি(Fastest-growing Religion) , যার ফলে বর্তমানে বিশ্বে নাস্তিকদের মোট সংখ্যা প্রায় ১৯০ কোটি। এখন বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ২৪.২ শতাংশই নাস্তিক। এই প্রবণতা বিশেষত খ্রিস্টান ধর্মের মানুষদের মধ্যে লক্ষণীয়। তাদের ধর্মবিশ্বাস ছেড়ে অনেকেই নাস্তিক হয়ে যাচ্ছেন, যার ফলে খ্রিস্টান ধর্মের বৃদ্ধির হার মুসলিম বা নাস্তিকদের তুলনায় অনেকটা পিছিয়ে পড়েছে।(Fastest-growing Religion)
বিশ্বের জনসংখ্যার এই ধর্মীয় পরিবর্তন সমাজ, পরিবেশ এবং অর্থনীতির উপর গভীর প্রভাব ফেলতে পারে। বিশেষত, মুসলিম এবং খ্রিস্টানদের জন্য বিশ্বে ধর্মীয় বিবর্তন সম্ভবত আরো জটিল হবে। (Fastest-growing Religion) এখন প্রশ্ন উঠতে পারে, এসব পরিবর্তন ধর্মীয় বিশ্বাসের জায়গায় কী ধরনের নতুন দৃষ্টিভঙ্গি এবং চ্যালেঞ্জ নিয়ে আসবে? অনেক বিশেষজ্ঞ মনে করেন, এই প্রবণতা বিশ্বে একধরনের ধর্মীয় ও সামাজিক ভারসাম্য তৈরি করতে সহায়ক হতে পারে। তবে, এই বৃদ্ধির ফলে নাস্তিকদের প্রতি ধর্মীয় গোষ্ঠীগুলোর মনোভাবের পরিবর্তন কিংবা নতুন সম্পর্কের সৃষ্টি হতে পারে(Fastest-growing Religion)
আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, এই ধর্মীয় পরিবর্তনের পেছনে সামাজিক ও রাজনৈতিক কারণে আসা নানান চাপ এবং সমস্যা। নাস্তিকরা যখন ধর্মবিশ্বাসের বাইরে চলে আসছেন, তখন এটি সমাজের (Fastest-growing Religion) ধর্মীয় স্থিতি এবং ধর্মীয় সম্প্রদায়ের সাথে সম্পর্কিত নানা সংকটের সৃষ্টি করতে পারে। অন্যদিকে, মুসলিম ধর্মাবলম্বীরা যখন দ্রুত বাড়ছে, তখন তা বিশ্ব রাজনীতিতে ইসলামিক রাষ্ট্রগুলোর প্রভাব বৃদ্ধির সম্ভাবনাকে উন্মুক্ত করে।(Fastest-growing Religion)
এটি সত্য যে, জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের প্রয়োজনীয়তা সর্বজনীন(Fastest-growing Religion) , এবং বৈশ্বিক প্রবণতার দিকে নজর দিয়ে বলা যায়, যদি বিভিন্ন ধর্মীয় সম্প্রদায় তাদের জনসংখ্যা বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করতে না পারে, তাহলে এটি পরিবেশ, অর্থনীতি এবং সমাজের জন্য বড় ধরনের সংকট তৈরি করতে পারে। বিশ্বকে আর্থসামাজিক দিক থেকে শিথিল করা প্রয়োজন, যাতে ধর্মীয় বিশ্বাস, সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি এবং রাজনৈতিক নীতি গুলি সমন্বয়িতভাবে এগিয়ে যেতে পারে।(Fastest-growing Religion)
উল্লেখযোগ্যভাবে, যে ধর্মীয় পরিবর্তন আসছে, তা কেবল বিশ্বে ধর্মীয় ও সামাজিক কাঠামোতে পরিবর্তন আনছে না, বরং এটি মানুষের চিন্তাভাবনাতেও নতুন এক দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি করছে।(Fastest-growing Religion)