গুজরাট (Gujarat) অ্যান্টি-টেররিজম স্কোয়াড (ATS) সম্প্রতি তিনজন আইএস-অনুপ্রাণিত জঙ্গি গ্রেফতারের মাধ্যমে এক বড় ধরনের হামলার ষড়যন্ত্র থামিয়েছে। এই বিশেষ অভিযানে আহমেদাবাদ, লখনউ ও দিল্লির বিভিন্ন স্থানে পরিকল্পিত হামলার প্রমাণ মিলেছে। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে রয়েছেন হায়দরাবাদে বসবাস করা এমবিবিএস ডাক্তার আহমেদ সাঈদ, যিনি আহমেদ মোহিউদ্দিন সাঈয়েড নামেও পরিচিত, এবং উত্তরপ্রদেশের লখিমপুরের সোহেল খান।
একটি সূত্রের খবর অনুযায়ী, গুজরাট ATS অভিযানে এমন নথি উদ্ধার করেছে যা স্পষ্টভাবে প্রমাণ করতে পারে গ্রেফতারকৃতদের আইএস-কাইদা প্রভাবিত সন্ত্রাসী সংগঠন (IS-KP) এর সঙ্গে সম্পর্ক। তদন্তে প্রকাশ পেয়েছে, অভিযুক্তরা IS-KP হ্যান্ডলার আবু খাদিজার সঙ্গে যুক্ত ছিল এবং বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানের নজরদারি চালিয়েছে। বিশেষ করে লখনউতে আরএসএস (RSS) অফিসসহ বিভিন্ন স্থানের তত্ত্বাবধানে তারা অবস্থান নিয়েছিল বলে তদন্তকারীরা জানিয়েছেন।
গ্রেফতারের সময় গুজরাট ও উত্তরপ্রদেশ ATS-এর যৌথ অভিযানে সোহেল খানের বাড়ি থেকে একটি আইএসের পতাকা উদ্ধার করা হয়েছে। এই পতাকা উদ্ধার হওয়া মানে স্পষ্ট যে অভিযুক্তরা আইএসের আদর্শ ও নির্দেশাবলীর সঙ্গে সম্পৃক্ত। অভিযুক্তরা এখন আদালতের হেফাজতে রয়েছে এবং বিচারিক প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
গুজরাট ATS-এর এক কর্মকর্তা সাংবাদিকদের জানান, “এই অভিযান আমাদের দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে অনেকটা শক্ত করেছে। অভিযুক্তরা যে ভাবে বিভিন্ন স্থান পর্যবেক্ষণ করছিল, তা প্রমাণ করে যে তারা দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে হামলা চালানোর পরিকল্পনা করছিল।” তিনি আরও বলেন, “আমরা উদ্ধারকৃত নথি ও ফৌজদারি প্রমাণ যাচাই করছি। এগুলো প্রমাণিত করবে তাদের আইএস-কাইদা সম্পর্ক এবং হামলার পরিকল্পনা। এই ধরনের অভিযান দেশের নিরাপত্তার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।তদন্তে জানা গিয়েছে, আহমেদ সাঈদ ও সোহেল খান ছাড়াও অভিযুক্তদের সঙ্গে আরও সহযোগীর যোগাযোগ ছিল, যারা বিভিন্ন শহরে অস্ত্র ও অন্যান্য সরঞ্জাম সরবরাহের সঙ্গে যুক্ত ছিল। জিআরপি এবং স্থানীয় ATS তাদের সঙ্গে তদন্তে সম্পূর্ণ সমন্বয় বজায় রেখেছে। এই ধরনের যৌথ অভিযান দেশের সন্ত্রাস মোকাবিলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।


