পাটনা: ভোটের দামামা বেজে গিয়েছে। এই সময় একজোট হয়ে লড়াইয়ে মনোযোগ দেওয়াই শ্রেয়। কিন্তু পারিবারিক সমস্যা থেকে যেন নিস্তার নেই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লালু প্রসাদ যাদবের (Lalu prasad Yadav)। আগেই জ্যেষ্ঠ-পুত্র তেজ প্রতাপের সঙ্গে সম্পর্কে টানাপড়েন, বহিষ্কার! এবার রাষ্ট্রীয় জনতা দলের নির্বাচনের লড়াই যেন ময়দানের থেকেও ঘরে বেশি কঠিন হয়ে পড়েছে।
দলের সব সমাজমাধ্যম অ্যাকাউন্টকে Unfollow করে সংবাদ শিরোনামে উঠে এলেন লালু-কন্যা রোহিণী আচার্য। দলীয় সূত্রে খবর, তেজস্বীর বন্ধু সঞ্জয় যাদবকে অধিক গুরুত্ব দেওয়াতেই যাদব পরিবারে চিড় ধরছে। দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে MBA করে আসা সঞ্জয়ই বিগত এক দশক ধরে দলকে আড়াল থেকে চালনা করে আসছেন। সে আসন বিন্যাস হোক বা জেলা স্তরে দলের কর্মকান্ডের সামগ্রিক তথ্য, একা হাতেই আরজেডির (RJD) শ্রীকৃষ্ণের ভূমিকা পালন করছেন সঞ্জয়।
কিন্তু এখন হঠাৎ করেই, হরিয়ানার ৪১ বছর বয়সী সঞ্জয়কে রাজ্যসভার আসন দেওয়া এবং জনসমক্ষে তেজস্বী যাদবের নিকটতম সহযোগীর মর্যাদা দেওয়াতেই মনক্ষুন্ন হয়েছেন লালু-কন্যা রোহিণী বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। ঠিক যেমন সোনিয়া গান্ধীর কাছে আহমেদ প্যাটেল অথবা তাঁর ছেলে রাহুল গান্ধীর কাছে কেসি ভেণুগোপাল ছিলেন। বিশেষ করে আসন্ন নির্বাচনে যেখানে তেজস্বীর বোন রোহিণী আচার্যের সারান লোকসভা আসনের অধীনে যেকোনো বিধানসভা আসন থেকে লড়ার কানাঘুষো শোনা যাচ্ছিল।
কিন্তু তেজস্বীর (Tejaswi Yadav) ঘোষণা যেন আচমকা দল এবং পারিবারিক সব সমীকরণকেই উল্টেপাল্টে দেয়। কেননা তিনি বলেছিলেন, “একটি পরিবারকে কেবল একটি আসন দেওয়া হবে, এমনকি যদি তা তার নিজের পরিবারও হয়।” তার আগে, সঞ্জয় যাদবকে নিয়ে বড় বিতর্ক শুরু হয় যখন তিনি বিহার অধিকার যাত্রার সময় ব্যবহৃত বাসে তেজস্বী যাদবের আসনটি গ্রহণ করেন। এই সমস্যা সমাধানের জন্য, তেজস্বী যাদব পরের দিন দুই দলিত নেতাকে তার আসনে বসার ব্যবস্থা করেন।