৫ বিধায়ককে নিয়ে আজই বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন চম্পাই সোরেন? জল্পনা তুঙ্গে

ফের একবার বিরাট রাজনৈতিক পালাবদলের সাক্ষী থাকতে চলেছে দেশ বলে মনে হচ্ছে। লোকসভা ভোট মিটতে না মিটতেই এবং বিধানসভা ভোটের আবহে আচমকা বড় ঘটনা ঘটতে…

ফের একবার বিরাট রাজনৈতিক পালাবদলের সাক্ষী থাকতে চলেছে দেশ বলে মনে হচ্ছে। লোকসভা ভোট মিটতে না মিটতেই এবং বিধানসভা ভোটের আবহে আচমকা বড় ঘটনা ঘটতে চলেছে ঝাড়খণ্ডে বলে মনে হচ্ছে। শাসল দলের চিন্তা বাড়িয়েছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী চম্পাই সোরেন ও কয়েকজন জেএমএম বিধায়ক।

ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা (জেএমএম) নেতা চম্পাই সোরেন রবিবার দলের আরও পাঁচ বিধায়ককে নিয়ে বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন বলে কানাঘুষো শোনা যাচ্ছে। আর এই জল্পনা যদি সত্যি হয় তাহলে তা শাসক দলের পক্ষে মোটেও ভালো জিনিস হবে না বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

জানা গিয়েছে, বিজেপি দলবদলের সম্ভাবনার মধ্যেই রবিবার ভোরের বিমানে ব্যক্তিগত কর্মীদের নিয়ে দিল্লির উদ্দেশে রওনা দেন চম্পাই। জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যে শনিবার কলকাতায় গিয়ে বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে নাকি দেখা করেন চম্পাই সোরেন।

লোকসভা নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসাবে লড়াই করা জেএমএমের প্রাক্তন বিধায়ক লোবিন হেমব্রম একটি সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন যে চম্পাই সোরেন বিজেপি নেতৃত্বের সাথে যোগাযোগ রাখছেন। তিনি এও জানিয়েছেন নাকি ‘পরিবর্তন’ বা পরিবারতন্ত্রের রাজনীতির বিরোধিতা করার সময় এসেছে। সম্প্রতি দলত্যাগ বিরোধী আইনে জেএমএম বিধায়ক পদে অযোগ্য ঘোষিত হন হেমব্রম। এর ফলে চম্পাইয়ের জেএমএম ছাড়ার জল্পনা শুরু হয়েছিল। আস্তে আস্তে গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে শুধু চম্পাই সোরেনই নয়, লোবিন হেমব্রম এবং বর্তমান মন্ত্রী বাদল পত্রলেখার ইতিমধ্যেও দিল্লিতে গিয়ে বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন।

Advertisements

অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা চম্পাই সোরেনের প্রশংসা করেছেন। তিনি বলেন, ঝাড়খণ্ডে জেএমএম-কংগ্রেসের গত পাঁচ বছরের শাসনে যদি কোনও কাজ হয়ে থাকে, তা হল চম্পাই সোরেনের মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন ছয় মাস। তবে শনিবার বিজেপিতে যোগদানের গুঞ্জন উড়িয়ে দিয়েছেন বর্ষীয়ান নেতা। তিনি বলেন, “আমি জানি না কী গুজব ছড়ানো হচ্ছে। আমি জানি না কী খবর চালানো হচ্ছে, তাই আমি বলতে পারি না যে এটি সত্য কিনা। আমি এ বিষয়ে কিছুই জানি না। আমি যেখানে আছি সেখানেই থাকবো।”

আর্থিক তছরুপের মামলায় হেমন্ত সোরেনকে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) গ্রেপ্তার করার পরে জেএমএম নেতাকে শীর্ষ পদে অভিষিক্ত করা হয়েছিল। এরপর হেমন্ত সোরেনকে ঝাড়খণ্ড হাইকোর্ট জামিন দেওয়ার পরে ৩ জুলাই চম্পাই এই পদ থেকে পদত্যাগ করেছিলেন।