নয়াদিল্লি: ভারতের রেলপথ এবার যাত্রীদের জন্য আনছে একটি যুগান্তকারী সুবিধা। জানুয়ারি ২০২৬ থেকে IRCTC-তে যাত্রীরা নিশ্চিত টিকিটের ভ্রমণ তারিখ অনলাইনে বদলাতে পারবেন৷ এর জন্য কোনও অতিরিক্ত চার্জও দিতে হবে না। এই সুবিধা IRCTC-এর ওয়েবসাইট এবং মোবাইল অ্যাপে সহজে ব্যবহারযোগ্য হবে।
কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব জানিয়েছেন, এই পদক্ষেপের উদ্দেশ্য যাত্রীদের টিকিট ব্যবস্থাপনাকে আরও সহজ করা এবং বাতিলের ঝামেলা কমানো। আগে যাত্রীদের টিকিট পরিবর্তন করতে হলে সেটি বাতিল করে পুনরায় বুকিং করতে হতো, যা সময় এবং অর্থ দুটোই নষ্ট করত। নতুন ব্যবস্থায় এটি আরও স্বচ্ছ এবং সুবিধাজনক হবে।
বর্তমান বাতিল নীতি
এখন যাত্রীরা যাত্রার তারিখ পরিবর্তন করতে চাইলে টিকিট বাতিল করতে হয় এবং নতুন টিকিট কিনতে হয়। এতে প্রায়ই বাতিল চার্জ দিতে হয়। উদাহরণস্বরূপ:
- যাত্রার ৪৮–১২ ঘণ্টার মধ্যে বাতিল করলে ভাড়ার ২৫% কেটে নেওয়া হয়।
- নির্ধারিত সময়ের আরও কাছে বাতিল করলে ৫০% কেটে নেওয়া হয়।
নতুন পুনঃনির্ধারণ পদ্ধতি IRCTC Online Ticket Date Change Policy
- নতুন ব্যবস্থায়, যাত্রীরা অনলাইনে টিকিটের তারিখ পরিবর্তন করতে পারবেন, তবে নতুন তারিখে আসন খালি থাকতে হবে।
- নতুন তারিখে ভাড়া বেশি হলে কেবলমাত্র মূল্য ব্যবধান দিতে হবে।
- ভাড়া একই থাকে বা কম হলে কোনো অতিরিক্ত চার্জ লাগবে না।
রেল কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই সুবিধা IRCTC-এর কেন্দ্রীয় রিজার্ভেশন সিস্টেমের সঙ্গে রিয়েলটাইমে সংযুক্ত থাকবে। ব্যবহার করতে যাত্রীকে IRCTC অ্যাকাউন্টে লগইন করতে হবে, বিদ্যমান বুকিং নির্বাচন করতে হবে এবং নতুন তারিখ নির্ধারণ করতে হবে। সিস্টেম স্বয়ংক্রিয়ভাবে আসন খালি আছে কিনা যাচাই করবে এবং টিকিট সঙ্গে সঙ্গে আপডেট হবে।
যাত্রীদের সুবিধা ও প্রভাব
কর্মকর্তারা মনে করছেন, নতুন ব্যবস্থাটি যাত্রীদের সময়, অর্থ এবং ঝামেলা বাঁচাবে, বিশেষ করে যারা নিয়মিত কাজ বা ব্যক্তিগত কারণে রেলভ্রমণ করেন। এটি ভারতের রেলপথের ডিজিটাল রূপান্তর এবং সেবা উন্নয়নের লক্ষ্যের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ।
সাম্প্রতিক অন্যান্য পদক্ষেপ
- ১ অক্টোবর থেকে, সাধারণ টিকিটের প্রথম ১৫ মিনিট বুকিং শুধুমাত্র আধার যাচাইকৃত ব্যবহারকারীদের জন্য।
- গত বছর, ট্রেন বুকিংয়ের এডভান্স রিজার্ভেশন সময়কাল ১২০ দিন থেকে কমিয়ে ৬০ দিন করা হয়েছে, যাতে আসল ভ্রমণ চাহিদা অনুযায়ী ব্যবস্থা আরও কার্যকর হয়।
- এই নতুন সুবিধা নিশ্চিতভাবে যাত্রীদের টিকিট ব্যবস্থাপনা সহজ, স্বচ্ছ এবং অর্থসাশ্রয়ী করবে, এবং ভারতীয় রেলের ডিজিটাল উদ্ভাবনের আরও এক দিক উন্মোচন করবে।