ভাঙা দাঁত-ইন্সটাগ্রাম রিল, যন্ত্রণা কাটিয়ে দেড় দশক পর ভাইকে খুঁজে পেলেন দিদি

গল্প নয়, সত্যি। ঘটনা বছর ১৮ আগের। কাজের সন্ধানে কানপুরের ফতেপুরের ইনায়েতপুর গ্রাম থেকে মুম্বই গিয়েছিলেন তরুণ গোবিন্দ। আর সেই সময়ই ঘটে বিপত্তি। বন্ধুদের সঙ্গে…

Instagram Reels How UP Siblings Reunited After 18 years, ভাঙা দাঁত-ইন্সটাগ্রাম রিল, যন্ত্রণা কাটিয়ে দেড় দশক পর ভাইকে খুঁজে পেলেন দিদি

গল্প নয়, সত্যি। ঘটনা বছর ১৮ আগের। কাজের সন্ধানে কানপুরের ফতেপুরের ইনায়েতপুর গ্রাম থেকে মুম্বই গিয়েছিলেন তরুণ গোবিন্দ। আর সেই সময়ই ঘটে বিপত্তি। বন্ধুদের সঙ্গে সব যোগাযোগ ছিন্ন হয় তার। এরপর আর বাড়ি ফিরতে পারেনি গোবিন্দ। রাস্তায় রাস্তায় দিন কয়েক কাটার পর সে অসুস্থ হয়ে পড়ে। সেই অবস্থাতেও বাড়ি ফিরতে মরিয়া ছিল ওই তরুণ। শেষমেষ কানপুরগামী একটি ট্রেনে উঠে পড়ে সেই হরিয়ে যাওয়া তরুণ। কিন্তু কানপুরের বদলে ওই তরুণ পৌঁছে যায় রাজস্থানের জয়পুরে!

জয়পুর স্টেশনেই পথ-হারা গোবিন্দের সঙ্গে পরিচয় ঘটে এক ব্যক্তির। তাঁর চেষ্টাতেই অসুস্থতা কাটিয়ে ওঠে সব খোয়ানো তরুণটি। ওই সহৃদয় ব্যক্তিই গোবিন্দকে কারখানায় চাকরির প্রস্তাব দেন। এভাবেই চলতে তাকে তার জীবন। ক্রমেই গোবিন্দের অবস্থার উন্নতি হয়। কানপুরের গ্রামের প্রতি নিজের আবেগ বুকে চেপে জয়পুরই হয়ে ওঠে গোবিন্দের ঠিকানা। সময়ের সঙ্গে জীবনে থিতু হয় সে। ঈশ্বরী দেবীকে বিয়ে করে নতুন জীবন গড়ে তোলে গোবিন্দ। তাঁদের দু’টি সন্তানও হয়।

   

ঘুম উড়েছে চিন-পাকিস্তানের! ভারত মহাসাগরে ক্ষমতা বাড়াচ্ছে Indian Army

এভাবেই এগোচ্ছিল সব। কানপুরে হারিয়ে যাওয়া গোবিন্দের জন্য হাহুতাশ করেই দিন কাটছিল পরিবারের। দেখতে দেখতে পার হয়ে গিয়েছে প্রায় দেড় দশক। ছেলেকে পাওয়ার আসা ছেড়ে দেন গোবিন্দের পরিবার।

উপনির্বাচনের বাকি আসনগুলিরও ভোটের দিন ঘোষণা কমিশনের

তবে বিধাতা অন্য কিছু ঠিক করেছিলেন। হারিয়ে যাওয়া সেই গোবিন্দের সামনের একটি দাঁত ভাঙা ছিল। এছাড়াও ইন্সটাগ্রামে রিল বানাত সে। কালের নিয়মে সেই রিল একদিন চোখে পড়ে গোবিন্দের দিদি রাজকুমারীর। রিলে দাঁত ভাঙা তরুণকে দেখেই কৌতুহল বাড়ে তাঁর। বেড়ে ওঠে গোবিন্দের সব রিল দেখার বিষয়টি। গোবিন্দের ভাঙা দাঁত দেখে দিদি রাজকুমারী ১৮ বছর আগে হারিয়ে য়াওয়া ভাইকে ক্রমশ সনাক্ত করতে পারেন। রিলের পর রিল দেখে আরও পোক্ত হয় বিশ্বাস।

এরপর আর দেৎি করেননি রাজকুমারী। ইন্সটাগ্রামেই যোগাযোগ করেন গোবিন্দের সঙ্গে। কথোপকথননে শৈশবের স্মৃতিগুলি ভাগ করে নেন। পরিণতিতে ফোনে কথা হয় দুই ভাই-বোনের। ফোনেই রাজকুমারী তাঁর ভাইকে বাড়িতে ফিরে আসার জন্য অনুরোধ করেন। ফের ঘরে ফেরার আনন্দে গোবিন্দও রাজি হয়ে যান। শেষপর্যন্ত ২০ জুন গোবিন্দ পৌঁছান নিজের জন্মভিটেতে। প্রায় দেড় দশকের যন্ত্রণার অবসান ঘটে।