ভারতীয় নৌবাহিনী এবং গ্রীসের হেলেনিক নৌবাহিনীর মধ্যে প্রথম দ্বিপাক্ষিক সামুদ্রিক মহড়া ১৮ সেপ্টেম্বর ভূমধ্যসাগরে শেষ হয়েছে। নৌবাহিনীর স্টিলথ ফ্রিগেট আইএনএস ত্রিকাণ্ডও (INS Trikand) এই মহড়ায় অংশগ্রহণ করেছিল।
ভারতীয় নৌবাহিনীর মতে, এই মহড়া দুটি পর্যায়ে অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম বন্দর পর্বটি সালামিস নৌ ঘাঁটিতে পরিচালিত হয় এবং দ্বিতীয় মহড়াটি সমুদ্রে পরিচালিত হয়। এই পর্বে, উভয় দেশই সাবমেরিন-বিরোধী অভিযান, আর্টিলারি ফায়ারিং, রাতের অভিযান এবং হেলিকপ্টার ক্রস-ডেক মহড়ার মাধ্যমে তাদের শক্তি এবং সমন্বয় প্রদর্শন করেছিল।
ভারত মহাসাগর থেকে ভূমধ্যসাগর পর্যন্ত কৌশলগত সংযোগ সামুদ্রিক শক্তি এবং নৌচলাচলের স্বাধীনতার জন্য ভারত এবং গ্রীস একটি সাধারণ দৃষ্টিভঙ্গি ভাগ করে নেয়। ভারত মহাসাগরে চিনের বাড়তে থাকা কার্যকলাপ এবং ভূমধ্যসাগরে পিএলএ নৌবাহিনীর বাড়তে থাকা উপস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে এই মহড়ার বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে। ভারত-গ্রীস অংশীদারিত্ব ভারত মহাসাগর থেকে ইউরোপ পর্যন্ত বিস্তৃত একটি যৌথ নিরাপত্তা নেটওয়ার্ক গড়ে তোলার দিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। এটি ভারত মহাসাগর অঞ্চলে চিনের প্রভাব এবং পূর্ব ভূমধ্যসাগরে গ্রিসের প্রভাব মোকাবিলায় ভারতকে সহায়তা করবে।
INS Trikand: ভারত আর কেবল ভারত মহাসাগরের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই
আইএনএস ত্রিকাণ্ডের এই মোতায়েন কেবল একটি মহড়া নয়, বরং এটি একটি বার্তা যে ভারত আর ভারত মহাসাগরের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, বরং ভূমধ্যসাগরের মতো কৌশলগত ক্ষেত্রেও সক্রিয় ভূমিকা পালন করছে। ভবিষ্যতে আরও অনুরূপ মহড়া পরিচালিত হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
INS Trikand: চিনের বাড়তে থাকা নৌ আধিপত্যের প্রতিক্রিয়া
এই ভারত-গ্রীস অংশীদারিত্ব ভবিষ্যতে সামুদ্রিক নিরাপত্তা, সরবরাহ শৃঙ্খল এবং জ্বালানি রুট নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। এটিকে চিনের বাড়তে থাকা নৌ আধিপত্যের সরাসরি প্রতিক্রিয়া হিসেবে দেখা হচ্ছে। জানা যাচ্ছে যে ভারতীয় সেনাবাহিনী আগামী দিনে গ্রিসের সাথে যৌথ মহড়া পরিচালনা করতে পারে।

আমাদের Google News এ ফলো করুন
২৪ ঘণ্টার বাংলা নিউজ, ব্রেকিং আপডেট আর এক্সক্লুসিভ স্টোরি সবার আগে পেতে ফলো করুন।
