দিল্লির তিহার জেল (Tihar jail) থেকে এসেছে বড় খবর। এখানে গ্যাং ওয়ার হয়েছে। গ্যাংস্টার টিল্লু তাজপুরিয়া গ্যাং ওয়ারে নিহত হয়েছেন। বর্তমানে গোটা ঘটনার পর দিল্লি পুলিশে তোলপাড় শুরু হয়েছে। মামলার তদন্ত চলছে। তথ্যমতে, কারাগারের ভেতরে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় গুন্ডা টিল্লুর ওপরও মারাত্মক হামলা হয়। পরে আহত গুন্ডা টিল্লুকে দীনদয়াল উপাধ্যায় হাসপাতালে ভর্তি করে তিহার জেল প্রশাসন। যেখানে পরে তার মৃত্যু হয়।
কারা সূত্রে জানা গেছে, ৮ নম্বর কারাগারে বন্দি যোগেশ টুন্ডা নামে এক বন্দি হঠাৎ করে ৯ নম্বর কারাগারে থাকা টিল্লুকে লোহার গ্রিল দিয়ে আক্রমণ করে এবং হামলায় টিল্লু গুরুতর আহত হয়। তিহার জেল সূত্রে খবর, দীনদয়াল উপাধ্যায় হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে গ্যাংস্টার তিল্লু তাজপুরিয়ার। বলা হচ্ছে গুন্ডা রাজেশ বাওয়ানিয়া, যোগেশ টুন্ডা, দীপক তিতার এবং জিতেন্দ্র গগি গ্যাংয়ের রাঞ্চোরা টিল্লুর উপর এই মারাত্মক হামলা করেছে। অন্য গ্যাংয়ের লোকেরা টিল্লুর হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৬টায় ডিডিইউ হাসপাতালে মারা যান টিল্লু তাজপুরিয়া। ঘটনার পর পুলিশ বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।
রোহিণী আদালতে গোলাগুলির মাস্টারমাইন্ড
২৪ সেপ্টেম্বর ২০২১-এ দিল্লির রোহিনী কোর্টে যে গুলি চালানো হয়েছিল তার মূল পরিকল্পনাকারী ছিলেন টিল্লু তাজপুরিয়া। গ্যাংস্টার টিল্লু উভয় শ্যুটারকে গ্যাংস্টার জিতেন্দ্র গগিকে আদালতে হত্যা করার প্রশিক্ষণ দিয়েছিল। তাদেরকে আইনজীবীদের মতো দেখতে, তাদের মতো পেশাগতভাবে আচরণ করার প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় এবং অভিযুক্ত উমঙ্গের বাড়িতে হায়দারপুরে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়, সে পেশায় একজন আইনজীবী। আদালতে বন্দুকযুদ্ধে উভয় বন্দুকধারী নিহত হয়। মামলায় ১১১ পৃষ্ঠার চার্জশিট পেশ করে পুলিশ।
তাজপুরিয়া কারাগারের হাই রিস্ক ওয়ার্ডের নিচতলায় তালাবদ্ধ ছিলেন টিল্লু। সকাল ৬.১৫ টায় অন্য একটি চক্রের দীপক, যোগেশ ওরফে টুন্ডা, রাজেশ ও রিয়াজ তাকে আক্রমণ করে। অভিযুক্তরা গ্রিলের একটি অংশ কেটে ফেলে এবং তারপর তা থেকে টিল্লুকে দত্তক নেয়। এই আসামিরাও এই তলার ওয়ার্ডে তালাবদ্ধ ছিলেন।