বাঙালিদের কাছে পাহাড় বরাবরই অন্য আবেগ। দার্জিলিং, কালিম্পং, সিকিম, গ্যাংটক, সিটং যেন পর্যটকদের হাতছানি দেয়। যাত্রাপথের রোমাঞ্চকে আরও বহুগুণে বাড়িয়ে তুলতে রেলের তরফে এবার যে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে তাতে ‘আনন্দে আত্মহারা’ পাহাড়প্রেমীরা। হাওড়া-নিউ জলপাইগুড়ি শতাব্দী এক্সপ্রেসে আধুনিক ‘ভিস্তাডোম’ কোচ চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেল। ‘ভিস্তাডোম’ কোচ সোমবার তেকেই (১লা জুলাই, ২০২৪) শুরু করে আগামী বছর (২০২৫) ৩০ জুন পর্যন্ত অস্থায়ী ভাবে যুক্ত করা হবে বলে রেলের তরফে জানানো হয়েছে।
ভারতীয় রেলের তরফে একটি বিবৃতিতে জানানো হয়েছে যে, ‘অস্থায়ী ভিত্তিতে ১২০৪২/১২০৪১ নিউ জলপাইগুড়ি–হাওড়া–নিউ জলপাইগুড়ি শতাব্দী এক্সপ্রেসে একটি ‘ভিস্তাডোম’ কোচ সংযুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’ শতাব্দী এক্সপ্রেসে এতদিন মোট ১৪ কোচ থাকতো। এবার বদলে ১৫টি কোচ নিয়ে শতাব্দী এক্সপ্রেস এনজিপি পৌঁছবে। ১৫তম কোচটি হল ‘ভিস্তাডোম’ কোচ। অত্যাধুনিক এই কোচে কারছে, ২টি এক্সিকিউটিভ এসি চেয়ারকার, ১০টি এসি চেয়ারকার এবং ব্রেক, ২টি লাগেজ সহ জেনারেটর কার৷
Indian Railways: বাংলার জন্য বিরাট খবর! বড় সিদ্ধান্ত ভারতীয় রেলের
রেলের তরফে মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র বলেছেন, ‘ভিস্তাডোম কোচের মাধ্যেম যাত্রীদের বিশ্বমানের সুযোগ-সুবিধা এবং একটি স্মরণীয় ভ্রমণ অভিজ্ঞতা প্রদান করা হবে। যা যাত্রীদের প্রতি রেলের যে অঙ্গীকার তাকেই প্রতিফলিত করবে।’
গঙ্গার নীচ দিয়ে মেট্রো সফর এবার আরও আনন্দের! যুগান্তকারী পদক্ষেপ মেট্রো কর্তৃপক্ষের
১২০৪২/১২০৪১ নিউ জলপাইগুড়ি–হাওড়া–নিউ জলপাইগুড়ি শতাব্দী এক্সপ্রেস রবিবার ছাড়া সপ্তাহে বাকি ছয় দিনই চলাচল করবে। ট্রেনটি মোট সাড়ে ৮ ঘণ্টায় ৫৬১ কিলোমিটার দূরত্ব অতিক্রম করে।
আধুনিক এই ‘ভিস্তাডোম’ কোচে আধুনিক ও আরামদায়ক ভ্রমন অভিঞ্জতা পাবেন যাত্রীরা। বড় কাঁচের জানালা, কাঁচের মত স্বচ্ছ ছাদ, ঘূর্ণায়মান আসন সহ থাকবে একটি গ্লাস ব্যাক এবং ওয়াইফাই, জিপিএস সংযোগের মতো উন্নত সুবিধা। বিশেষ এই কোচে আরামের যাত্রা উপভোগ করতে যাত্রীদের খরচ করতে হবে মাত্র ২,৪৩০টাকা।