নয়াদিল্লি, ২৩ নভেম্বর: ভারত বিশ্বের নির্বাচিত দেশগুলির মধ্যে একটি যেখান থেকে সরাসরি যাত্রীবাহী ট্রেন (Indian Railways) প্রতিবেশী দেশগুলিতে চলে। ভারত নেপাল, পাকিস্তান এবং বাংলাদেশের মতো দেশগুলির সাথে রেল যোগাযোগ বজায় রেখেছে যাতে সীমান্ত পেরিয়ে মানুষে মানুষে চলাচল, বাণিজ্য, সাংস্কৃতিক সম্পর্ক এবং ঐতিহাসিক সংযোগ জোরদার করা যায়। জেনে নিন ভারত থেকে কোন কোন দেশে ট্রেন চলাচল করে।
ভারতের জয়নগর রেলওয়ে স্টেশন থেকে নেপালগামী ট্রেন চলাচল করে। এটি ভারতের মধুবনী জেলার শেষ রেলওয়ে স্টেশন হিসেবে বিবেচিত। এখান থেকে নেপালের জনকপুরে সরাসরি ট্রেন চলাচল করে। নেপাল স্টেশনটি ভারতীয় স্টেশনের সীমানা প্রাচীরের বাইরে অবস্থিত। একটি ওভারব্রিজ দিয়ে প্রবেশ করা যায়। এই স্টেশনে চেক ইন করার পর, যাত্রীরা সরাসরি নেপালের ট্রেনে উঠতে পারবেন।
বিহার-নেপাল সীমান্তের কাছে অবস্থিত, রক্সৌল জংশন নেপাল ভ্রমণকারীদের জন্য একটি প্রধান ট্রানজিট পয়েন্ট হিসাবে বিবেচিত হয়। এটি নেপালের প্রধান প্রবেশদ্বার হিসাবেও পরিচিত। ভারতের বিভিন্ন অংশকে নেপালের সাথে সংযুক্ত ট্রেনগুলি এখান থেকে ছেড়ে যায়।
পশ্চিমবঙ্গের পেট্রাপোল রেলওয়ে স্টেশন ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের একটি প্রধান পরিবহন কেন্দ্র। ব্রিটিশ আমলে নির্মিত এই স্টেশনটি একটি ব্রড-গেজ লাইনের মাধ্যমে বাংলাদেশের খুলনার সাথে সংযুক্ত। বন্ধন এক্সপ্রেস এখান থেকে চলে। তবে ভ্রমণের জন্য পাসপোর্ট এবং ভিসা প্রয়োজন।
পশ্চিমবঙ্গের উত্তর দিনাজপুরে অবস্থিত রাধিকাপুর রেলওয়ে স্টেশনটি ভারত-বাংলাদেশ রেল পরিবহনের একটি কেন্দ্রস্থল। দুই দেশের মধ্যে মালবাহী এবং যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল করে। এটি একটি সীমান্ত চেকপয়েন্ট হিসেবেও কাজ করে।
হলদিবাড়ি রেলওয়ে স্টেশন বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে মাত্র ৪ কিলোমিটার দূরে। চিলাহাটি স্টেশনের মাধ্যমে দুটি দেশ সংযুক্ত। ভারত থেকে ঢাকায় ট্রেনগুলি এই রুট দিয়ে আসে এবং মানুষ ব্যবসা ও ভ্রমণের জন্য এটি ব্যবহার করে।
ভারত-পাকিস্তান রেল নেটওয়ার্কের বৃহত্তম এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্টেশন হল আটারি। পূর্বে, সমঝোতা এক্সপ্রেস এই রুটে চলাচল করত, ভারতের আটারি থেকে পাকিস্তানের লাহোর পর্যন্ত। এই স্টেশনটি ভারত-পাকিস্তান সীমান্তের খুব কাছে এবং পাকিস্তানের প্রধান প্রবেশদ্বার হিসেবে বিবেচিত হয়।
রাজস্থানের বারমেরের মুনাবাও রেলওয়ে স্টেশনটি পাকিস্তানের করাচি-খোখরাপার রুটের সাথে সংযুক্ত। এই রুটে থার লিংক এক্সপ্রেস চলাচল করত। এটি ছিল দুটি রেলওয়ে স্টেশনের মধ্যে দ্বিতীয় প্রধান রেল সংযোগ বিন্দু। এই স্টেশনে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থাও রয়েছে। ভ্রমণের জন্য পাসপোর্ট এবং ভিসা প্রয়োজন। তবে, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে ট্রেন চলাচল বর্তমানে স্থগিত রয়েছে।





