সাংঘাতিক গর্বের নজির ভারতীয় রেলের! দুনিয়ার সবচেয়ে উঁচু সেতু দিয়ে চলবে ট্রেন

প্রতীক্ষার অবসান! শিগগিরই বিশ্বের উচ্চতম রেল সেতুতে (Indian Railways) ট্রেন চলাচল শুরু হচ্ছে। ভারতীয় রেলওয়ে রিয়াসি এবং সাঙ্গালদানের মধ্যে নিয়মিত পরিষেবা চালু করার জন্য প্রস্তুতি…

প্রতীক্ষার অবসান! শিগগিরই বিশ্বের উচ্চতম রেল সেতুতে (Indian Railways) ট্রেন চলাচল শুরু হচ্ছে। ভারতীয় রেলওয়ে রিয়াসি এবং সাঙ্গালদানের মধ্যে নিয়মিত পরিষেবা চালু করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে খবর।

কাশ্মীর রেল লিঙ্ক প্রকল্পের অংশ এই পরিষেবাটি চালু হলে একজন যাত্রী জম্মুর রিয়াসি থেকে কাশ্মীরের বারামুল্লা পর্যন্ত ভ্রমণ করতে পারবেন, যা উধমপুর-শ্রীনগর-বারামুল্লা রেল সংযোগ (ইউএসবিআরএল) প্রকল্পের একটি উল্লেখযোগ্য সাফল্য হিসেবে বিবেচিত হবে। এই প্রকল্পে দীর্ঘ টানেল, সর্বোচ্চ সেতু সবই রয়েছে।

   

৪৬ কিলোমিটার দীর্ঘ বৈদ্যুতিক রুটটি চালু হলেই ইউএসবিআরএল প্রকল্পের ২৭২ কিলোমিটারের মধ্যে ২৫৫ কিলোমিটারে রেল ডানা মেলবে। কেবলমাত্র ১৭ কিলোমিটার রুট বাকি থাকবে। কাটরা এবং রিয়াসির মধ্যে এই অংশের কাজ বাকি রয়েছে।

কড়া পদক্ষেপ UPSC-র, ট্রেনি IAS পূজার বিরুদ্ধে এফআইআর, খোয়াতে পারেন চাকরি

বিশ্বের উচ্চতম রেল সেতু নবনির্মিত চেনাব সেতুর পরিদর্শনের পরে রেলওয়ে ট্রায়াল রানের সিদ্ধান্ত নেয়। সেই মতো গত মাসে রামবান জেলার সাঙ্গালদান এবং রিয়াসির মধ্যে ৪০ কিলোমিটার গতিতে ৮ কোচের এমইএমইউ ট্রেনের ট্রায়াল রান সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। এই ট্রেন চালু হলে কাশ্মীর উপত্যকার সঙ্গে জম্মু যোগাযোগ আরও উন্নত হবে।

ইউএসবিআরএল প্রকল্পের লক্ষ্য উধমপুর থেকে বারামুল্লা পর্যন্ত ২৭২ কিলোমিটার দীর্ঘ রেলপথের মাধ্যমে কাশ্মীরকে ভারতের বাকি অংশের সঙ্গে সংযুক্ত করা। ইউএসবিআরএল প্রকল্পে ৩৮টি টানেল (১১৯ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য) রয়েছে। দীর্ঘতম টানেলের দৈর্ঘ্য (টি-৪৯) ১২.৭৫ কিলোমিটার। এই পথে ৯২৭টি নং রয়েছে। সেতুগুলির সম্মিলিত দৈর্ঘ্য ১৩ কিলোমিটার।

‘ফ্যাশন প্যারেড চলছে?’ নেকব্যান্ড ছাড়া আদালত কক্ষে ঢোকায় আইনজীবীকে ভর্ৎসনা প্রধান বিচারপতির!

এই সেতুগুলির মধ্যে রয়েছে ঐতিহাসিক চেনাব সেতু (সামগ্রিক দৈর্ঘ্য ১৩১৫ মিটার, আর্চের দৈর্ঘ্য ৪৬৭ মিটার এবং নদীর তলদেশ থেকে ৩৫৯ মিটার উচুঁ, যা আইফেল টাওয়ারের চেয়ে প্রায় ৩৫ মিটার উঁচু। এটিকে বিশ্বের সর্বোচ্চ আর্চ রেলওয়ে সেতু হিসাবে চিহ্নিত করা হয়। ৪৮.১ কিলোমিটার দীর্ঘ বানিহাল-সাঙ্গলদান বিভাগ সহ ইউএসবিআরএল প্রকল্পটি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ২০২৪ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি উদ্বোধন করেছিলেন।