সামান্য লগ্নিতেই বিরাট আয়! যুগান্তকারী উদ্যোগ ভারতীয় রেলের, জানুন আবেদনের নিয়ম

আপনি যদি হস্তশিল্প বা ক্ষুদ্রশিল্পের সঙ্গে জড়িত হন তা হলে সেইসব সামগ্রীকে বিশ্বের দরবারে পৌঁছানোর দারুন উদ্যোগ নিয়েছে ভারতীয় রেল। ভারত সরকার নিয়ে এসেছে ‘ভোকাল…

cameras on engine and coach for railway safety

আপনি যদি হস্তশিল্প বা ক্ষুদ্রশিল্পের সঙ্গে জড়িত হন তা হলে সেইসব সামগ্রীকে বিশ্বের দরবারে পৌঁছানোর দারুন উদ্যোগ নিয়েছে ভারতীয় রেল। ভারত সরকার নিয়ে এসেছে ‘ভোকাল ফর লোকাল অ্যান্ড লোকাল টু গ্লোবাল ‘ প্রকল্প। এওই প্রকল্পের আওতায় পূর্ব রেল নিয়ে এসেছে ‘ওয়ান স্টেশন ওয়ান প্রোডাক্ট’ উদ্যোগটি (OSOP)। এতে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা বিরাটভাবে উপকৃত হতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে।

পূর্ব রেলের তরফে বিভিন্ন খবরের কাগজে গত ১৯ অগস্ট বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে। হাওড়া ডিভিশনের অন্তর্গত প্রায় ১০০টি স্টেশনে এবং শিয়ালদহ ডিভিশনের প্রায় ১০০ টির কাছাকাছি স্টেশনে ‘ওয়ান স্টেশন ওয়ান প্রোডাক্ট’ প্রকল্পে অংশগ্রহণের জন্য আবেদন জানানো হয়েছে।

   

কী বলা হয়েছে রেলের বিবৃতিতে?

‘ওয়ান স্টেশন ওয়ান প্রোডাক্ট’ বা OSOP আসলে কী? রেলের দেওয়া তথ্য অনুসারে, ‘আপনার মতো সাধারণ মানুষ যারা বিভিন্ন হস্তশিল্প এবং ক্ষুদ্রশিল্পের সঙ্গে জড়িত কিন্তু এখনও সুযোগ পাননি- নিজের তৈরি সামগ্রী অথবা আপনাদের বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে সমষ্টিগতভাবে তৈরি সামগ্রীকে বৃহত্তর বাজারে তুলে ধরতে, তাদের জন্য ভারত সরকার নিয়ে এসেছে ‘ভোকাল ফর লোকাল অ্যান্ড লোকাল টু গ্লোবাল’ প্রকল্প। অর্থাৎ যদি আপনার তৈরি সামগ্রীকে বিশ্বের দরবারে পৌঁছে দেওয়ার জন্য সাহায্য করার কেউ না থাকে, সেই সুযোগ রেল আপনাকে করে দিচ্ছে ‘ওয়ান স্টেশন ওয়ান প্রোডাক্ট’ স্টলের মাধ্যমে।

রেলের বিভিন্ন স্টেশনে ‘ওয়ান স্টেশন ওয়ান প্রোডাক্ট’ ষ্টল ইতিমধ্যেই আছে এবং এ বিষয়ে পূর্ব রেল বিভিন্ন খবরের কাগজে বিজ্ঞাপন দিয়েছে গত ১৯ অগাস্ট। হাওড়া ডিভিশনের অন্তর্গত প্রায় ১০০টি স্টেশনে এবং শিয়ালদহ ডিভিশনের প্রায় ১০০টির কাছাকাছি স্টেশনে ‘ওয়ান স্টেশন ওয়ান প্রোডাক্ট’ প্রকল্পে অংশগ্রহণের জন্য আবেদন আহ্বান করা হয়েছে।

এই প্রকল্পের আওতায় হাওড়া, আদি সপ্তগ্রাম, অম্বিকা কালনা, আরামবাগ, আজিমগঞ্জ জংশন, চন্দননগর, বাঁশবেড়িয়া সহ বিভিন্ন স্টেশনে স্টল বসানো হয়েছে। শিয়ালদহ ডিভিশনে দত্তপুকুর, পিয়ালী, লালগোলা, ভগবানগোলা, মুর্শিদাবাদ, কৃষ্ণনগর, বনগাঁ, দমদম ক্যান্টনমেন্ট সহ আরও অনেক স্টেশনে এই স্টলগুলো বসানো হয়েছে।

আবেদন পদ্ধতি-

আবেদনের প্রক্রিয়া খুবই সহজ। স্টেশন ম্যানেজার লেভেলে সাদা কাগজে আপনাকে আবেদন করতে হবে। ফি বাবদ আপনাকে সামান্য কিছু টাকা পেমেন্ট করতে হবে রেজিস্ট্রেশনের জন্য। এরপর লটারি হবে, মোট যতজন আবেদনকারী আবেদন করবেন তাদের মধ্যে লটারি হবে সততা বজায় রাখার জন্য। আবেদনকারীদের মধ্যে কারা কতদিনের জন্য ষ্টল পাবেন সেটা সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্যই লটারি করা হবে। সবাই যাতে সমান সুযোগ পায়, সেজন্যই ভারতীয় রেলের এই পদক্ষেপ।

১৫ দিনের জন্য যাঁরা স্টেল রেজিস্ট্রেশন করবেন, তাদের জন্য রেজিস্ট্রেশন ফি ১৫০০ টাকা (জিএসটি সহ)। ২০ ইউনিট বিদ্যুতের ব্যবহার করতে পারবেন বিনামূল্যে। ৩০ দিনের জন্য যাঁরা রেজিস্ট্রেশন করবেন, তাদের জন্য রেজিস্ট্রেশন ফি ২০০০ টাকা (জিএসটি সহ) এবং ৪০ ইউনিট বিদ্যুতের ব্যবহার বিনামূল্যে প্রদান করা হবে। এর বাইরে অতিরিক্ত বিদ্যুৎ ব্যবহারের জন্য নির্ধারিত ফি লাগবে।

বিস্তারিত তথ্য এবং শর্তাবলী মিলবে ভারতীয় রেলের ওয়েবসাইটে https://er.indianrailways.gov.in/