2033 সালের পর ভারতীয় নৌসেনাতে হবে বড় পরিবর্তন, সমুদ্রের নীচেই ছিটকে যাবে শত্রু!

Indian Navy submarine

ভারতীয় নৌসেনা এখন তাদের পুরনো সাবমেরিন প্রতিস্থাপনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। একই সঙ্গে তাদের জায়গায় নতুন প্রযুক্তি আনার প্রস্তুতিও শুরু হয়েছে। সামনের দিকে, নৌবাহিনী তার শিশুমার-শ্রেণীর সাবমেরিনগুলিকে অবসর নেওয়ার এবং নতুন সাবমেরিন অন্তর্ভুক্ত করার পরিকল্পনা করছে৷ এ জন্য জার্মানি ও ফ্রান্সের সহায়তা নেওয়া হবে। এতে নৌবাহিনীর শক্তি বাড়বে এবং প্রশিক্ষণও ভাল হবে। নৌবাহিনীতে এই পরিবর্তন 2033 সাল থেকে শুরু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

Advertisements

4টি শিশুমার-শ্রেণীর সাবমেরিন (Shishumar-class submarine)

বর্তমানে ভারতীয় নৌবাহিনীর কাছে 4টি শিশুমার-শ্রেণীর সাবমেরিন রয়েছে, যেগুলি জার্মানির টাইপ 209 ডিজাইনে তৈরি। এগুলো 1986-1994 সালের মধ্যে নৌবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত হয়। এই সাবমেরিনগুলি এখন পর্যন্ত ভারতের সামুদ্রিক শক্তির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ ছিল।

নতুন সাবমেরিন

যেখানে আমরা যদি নতুন সাবমেরিনের কথা বলি, সেগুলো প্রজেক্ট-75I-এর অধীনে তৈরি করা হচ্ছে। আইডিআরডব্লিউ রিপোর্ট অনুযায়ী, এই সাবমেরিনগুলিতে এয়ার ইন্ডিপেন্ডেন্ট প্রপালশন (এআইপি) সিস্টেম থাকবে, যা তাদের দীর্ঘ সময় ধরে জলের নীচে থাকার শক্তি দেবে।

Advertisements

অতিরিক্ত পরিকল্পনা

ফ্রান্সের স্করপেন ডিজাইনের উপর ভিত্তি করে আরও ৩টি কালভারী-শ্রেণীর সাবমেরিন কিনতে যাচ্ছে নৌবাহিনী। এই অর্ডারগুলি আগামী মাসে স্থাপন করা হবে এবং তাদের ডেলিভারিও 2033 সালের কাছাকাছি হবে। জার্মান কোম্পানি ThyssenKrupp Marine Systems (TKMS), যা শিশুমার সাবমেরিন তৈরি করে, তাদের যত্ন নিচ্ছে এবং উন্নত করছে। সংস্থাটি বলেছে যে নৌবাহিনী যদি এই সাবমেরিনটি আগামী 15 বছর ব্যবহার করতে চায় তবে কোম্পানিটি আগামী 15 বছর সহায়তায় থাকবে।

পরিকল্পনা

পরিকল্পনা করা হয়েছে যে যখনই নতুন সাবমেরিন ব্যবহার করা হবে, তখনই শিশুমার-শ্রেণী প্রশিক্ষণের জন্য ব্যবহার করা হবে। নতুন প্রজন্মকে পুরনো সাবমেরিনের অভিজ্ঞতা শেখানোর মাধ্যমে নৌবাহিনীর দক্ষতা বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে। তারপর 2035 সালের পর শিশুমার শ্রেণীর সাবমেরিনটি পর্যায়ক্রমে ব্যবহার বন্ধ হয়ে যাবে। নতুন সাবমেরিন আনার উদ্দেশ্য শুধু নৌবাহিনীর সামুদ্রিক শক্তিকে শক্তিশালী করা।