সমুদ্রে থাকবে ভারতের ‘আন্ডারওয়াটার স্পাই’

Indian Navy Project 77: ভারতীয় নৌবাহিনী তার সামুদ্রিক যুদ্ধক্ষমতায় বড় ধরনের অগ্রগতির প্রস্তুতি নিচ্ছে। প্রকৃতপক্ষে, নিরাপত্তা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে ‘Project 77’-কে সবুজ…

submarine, representational image (North Korea threatens to sink US submarine)

Indian Navy Project 77: ভারতীয় নৌবাহিনী তার সামুদ্রিক যুদ্ধক্ষমতায় বড় ধরনের অগ্রগতির প্রস্তুতি নিচ্ছে। প্রকৃতপক্ষে, নিরাপত্তা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে ‘Project 77’-কে সবুজ সংকেত দেয়। এই প্রকল্পের মূল লক্ষ্য হল ভারতীয় নৌবাহিনীর জন্য দুটি পারমাণবিক আক্রমণকারী সাবমেরিন তৈরি করা। ২০৩০-এর দশকের মাঝামাঝি নাগাদ তাদের সংখ্যা ছয়টিতে উন্নীত করার পরিকল্পনা রয়েছে। একই সাথে, এই প্রকল্পের সবচেয়ে বড় পরিকল্পনা হল মনুষ্যবিহীন ডুবোযান মোতায়েন করা। যা পরবর্তী প্রজন্মের সমুদ্রতল যুদ্ধে ভারতকে সামনের সারিতে রাখবে।

পারমাণবিক সাবমেরিনের সাথে জলের নিচে গুপ্তচর থাকবে

   

প্রকল্প ৭৭ ভারতীয় নৌবাহিনীর জন্য একটি বিপ্লবী প্রকল্প। এর অধীনে, কেবল নতুন সাবমেরিন তৈরি করা হবে না, বরং একটি অনন্য মনুষ্যবিহীন-মানবচালিত অপারেশনাল ধারণা তৈরি করা হবে। এর অর্থ হল আমাদের পারমাণবিক সাবমেরিনগুলি ‘জালকাপু-এক্সএলইউভি’-এর মতো উন্নত মনুষ্যবিহীন ডুবো যান বা ইউইউভিগুলির সাথে একত্রে কাজ করবে।

JALKAPU-XLUUV কী?

‘JALKAPU-XLUUV’ হল একটি নতুন প্রজন্মের মানবহীন প্ল্যাটফর্ম যা গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ, শত্রু সাবমেরিন এবং ভূপৃষ্ঠের জাহাজের বিরুদ্ধে লড়াই এবং সমুদ্রের মাইন সনাক্তকরণের মতো কাজের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে।

Advertisements

অতিরিক্তভাবে, এটি উন্নত সেন্সর ফ্ল্যাঙ্ক অ্যারে সোনার, টোয়েড অ্যারে সোনার এবং ইলেক্ট্রো-অপটিক্যাল/ইনফ্রারেড ক্যামেরা দিয়ে সজ্জিত থাকবে। এই XLUUV গুলি হয় নিজেরাই কাজ করতে পারে অথবা আমাদের SSN সাবমেরিনের নিয়ন্ত্রণে মিশন পরিচালনা করতে পারে।

এমন পরিস্থিতিতে, এটি শত্রু-হুমকিপূর্ণ এলাকায় ভারতীয় নৌবাহিনীর সাবমেরিনগুলির নাগাল বৃদ্ধি করবে এবং তাদের ঝুঁকি থেকে রক্ষা করবে। এই UUVগুলি ঝুঁকিপূর্ণ মিশন, শত্রু জলসীমায় নজরদারি এবং শত্রু লক্ষ্যবস্তুতে আক্রমণ করতে পারে।

প্রজেক্ট ৭৫ আলফা থেকে শক্তিশালী ভিত্তি

প্রজেক্ট ৭৭ আসলে ‘প্রজেক্ট ৭৫ আলফা’-এর একটি সিক্যুয়েল, যা ১৯৯০-এর দশকের শেষের দিকে চিনের বাড়তে থাকা সামুদ্রিক উপস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য শুরু হয়েছিল। প্রকল্পটি ২০১৫ সালে গতি লাভ করে এবং ছয়টি এসএসএন-এর প্রথম ব্যাচকে ২০২৪ সালের অক্টোবরে নির্মাণের জন্য চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়।