সমুদ্রে ভারতের শক্তি বৃদ্ধি পাবে, ৯টি নতুন সাবমেরিন পাবে নৌসেনা

ভারত ক্রমাগত তার সামরিক সক্ষমতা বৃদ্ধি করছে। এদিকে, আগামী সময়ে ভারতীয় নৌবাহিনী (Indian Navy) আরও শক্তিশালী হতে চলেছে। ভারতীয় নৌবাহিনী এখন তার বহরে ৯টি নতুন…

submarine, representational picture

ভারত ক্রমাগত তার সামরিক সক্ষমতা বৃদ্ধি করছে। এদিকে, আগামী সময়ে ভারতীয় নৌবাহিনী (Indian Navy) আরও শক্তিশালী হতে চলেছে। ভারতীয় নৌবাহিনী এখন তার বহরে ৯টি নতুন আধুনিক ডিজেল-ইলেকট্রিক সাবমেরিন যুক্ত করবে। সূত্রমতে, দাম নিয়ে বর্তমানে আলোচনা চলছে এবং এর অনুমোদনের পর নিরাপত্তা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি (সিসিএস) থেকে নেওয়া হবে। এগুলো মাজাগাঁও ডক শিপবিল্ডার্স লিমিটেডে নির্মিত হবে।

২০০৫ সালে, ভারত প্রজেক্ট-৭৫ এর অধীনে ৬টি স্করপিন শ্রেণীর সাবমেরিনের জন্য ফরাসি নৌবাহিনীর সাথে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করে। এখন পর্যন্ত, ৬টি সাবমেরিন কালভারি, খান্ডেরি, করঞ্জ, ভেলা, ভাগির এবং ভাগশির নৌবাহিনীতে যোগদান করেছে। বিশেষ বিষয় হলো, এগুলো বিশ্বের সবচেয়ে আধুনিক আক্রমণাত্মক সাবমেরিনের মধ্যে গণ্য, যা শত্রুর দৃষ্টি এড়িয়ে টর্পেডো এবং জাহাজ-বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে আক্রমণ করতে সক্ষম।

   

ভারতীয় নৌবাহিনী ৩টি নতুন সাবমেরিন পাবে

প্রকল্প-৭৫-এর অধীনে আরও ৩টি নতুন সাবমেরিন পাবে। এর পাশাপাশি, প্রকল্প-৭৫-এর অধীনে ৬টি নতুন সাবমেরিনের চুক্তির কাজও চলছে। এর অর্থ হল, আগামী বছরগুলিতে ভারতীয় নৌবাহিনীর মোট ৯টি নতুন সাবমেরিন থাকবে।

২টি পারমাণবিক আক্রমণকারী সাবমেরিন নির্মাণের অনুমোদন

Advertisements

এছাড়াও, পারমাণবিক সাবমেরিন নৌবাহিনীর শক্তি বৃদ্ধি করবে। বর্তমানে ভারতের ১৭টি ডিজেল-ইলেকট্রিক সাবমেরিন এবং ২টি পারমাণবিক ব্যালিস্টিক মিসাইল সাবমেরিন (SSBN) রয়েছে। সরকার দুটি পারমাণবিক আক্রমণকারী সাবমেরিন (SSN) নির্মাণের অনুমোদনও দিয়েছে। আশা করা হচ্ছে যে ২০৩৬-৩৭ সালের মধ্যে প্রথম দেশীয় এসএসএন সাবমেরিন নৌবাহিনীতে যোগ দেবে।

পাকিস্তানের প্রস্তুতি কী?

পাকিস্তান তার নৌবাহিনীকে শক্তিশালী করার জন্য চিন থেকে ৮টি ইউয়ান ক্লাসের আকাশে স্বাধীন সাবমেরিন কিনছে। তারা ইতিমধ্যেই ৩টি সাবমেরিন পেয়েছে। কিন্তু পাকিস্তানের হ্যাঙ্গর ক্লাসের সাবমেরিনগুলি ভারতের স্করপিন সাবমেরিনের সাথে তুলনা করা যায় না।

এগুলিতে অনেক কারিগরি ত্রুটি রয়েছে।

  • চালনা ব্যবস্থা এবং সেন্সরগুলি পুরনো।
  • আকার বড় হওয়ার কারণে চালনা সীমিত।
  • জার্মানির MTU ডিজেল ইঞ্জিনের উপর নিষেধাজ্ঞার কারণে, চিনকে CHD-620 ইঞ্জিন ব্যবহার করতে হয়েছিল।
  • চিনা সাবমেরিনগুলি প্রচুর শব্দ করে, যার ফলে তাদের ট্র্যাক করা সহজ হয়।
  • চিনের এয়ার ইন্ডিপেন্ডেন্ট প্রোপালশন (AIP) সিস্টেমকেও নির্ভরযোগ্য বলে মনে করা হয় না।