সমুদ্রের নতুন রক্ষক ‘মাহে’ পাবে ভারত, এই নামকরণের কারণ কী জানুন

Anti-Submarine Warfare Shallow Water Craft MAHE

নয়াদিল্লি, ১৭ নভেম্বর: আগামী ২৪শে নভেম্বর ভারতীয় নৌবাহিনীর (Indian Navy) জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন হবে। কারণ এই দিনে, কোচিন শিপইয়ার্ড লিমিটেড (CSL) দ্বারা নির্মিত প্রথম অ্যান্টি-সাবমেরিন অগভীর জলযান (ASW-SWC) মাহে (MAHE) কমিশন করা হবে (Navy to commission MAHE)। এটি একটি স্বনির্ভর ভারতের প্রতীকও। এই সাবমেরিনে ব্যবহৃত ৮০% এরও বেশি উপকরণ দেশীয়। তাছাড়া, এটি ভারতীয় নৌবাহিনীর চাহিদা মেটাতে তৈরি করা হয়েছে। 

Advertisements

মাহে কেবল একটি নতুন জাহাজ নয়, বরং এটি দেশীয় জাহাজ নির্মাণে ভারতের দ্রুত অগ্রগতির একটি শক্তিশালী প্রমাণ, কারণ এটি স্বনির্ভর ভারতের একটি উজ্জ্বল উদাহরণ। এই জাহাজটি আকারে ছোট হতে পারে, কিন্তু এর শক্তি সূচকীয়ভাবে বেশি। এটি দ্রুত, নির্ভুল এবং উন্নত দূরপাল্লার ক্ষমতাসম্পন্ন। এর ফলে সমুদ্রসীমা রক্ষা করা সহজ হয়।

   

মাহে সম্পূর্ণরূপে আত্মনির্ভর ভারত উদ্যোগের অধীনে নির্মিত হয়েছিল, যার বেশিরভাগ উপাদান ভারত থেকে এসেছে। মাহে কোচির কোচিন শিপইয়ার্ড লিমিটেড (CSL) এ নির্মিত হয়েছিল। মাহে’র উৎক্ষেপণকে ভারতীয় নৌবাহিনীতে নতুন প্রজন্মের দেশীয় যুদ্ধজাহাজের সূচনা বলে মনে করা হয়।

Advertisements

Navy to commission MAHE: মাহে-র বিশেষ বৈশিষ্ট্যগুলি কী কী?

  • মাহে ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে ডিজাইন করা হয়েছে, যাতে এটি যেকোনো পরিস্থিতিতে কার্যকরভাবে ব্যবহার করা যায়।
  • এর অগ্নিশক্তি, স্থিতিশীলতা এবং চালচলনের দক্ষতার সাথে, জাহাজটি সাবমেরিন সনাক্তকরণ, উপকূলীয় টহল পরিচালনা এবং ভারতের গুরুত্বপূর্ণ সমুদ্রপথ রক্ষা করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে।
  • এটি তৈরিতে ৮০ শতাংশেরও বেশি দেশীয় উপাদান ব্যবহার করা হয়েছে।
  • মাহে-শ্রেণীর যুদ্ধজাহাজগুলি নকশা, নির্মাণ এবং একীকরণে ভারতের বাড়তে থাকা দক্ষতা প্রদর্শন করে।
  • মালাবার উপকূলের ঐতিহাসিক উপকূলীয় শহর মাহে-এর নামানুসারে, জাহাজের শীর্ষে ‘উরুমী’, কালারিপায়ত্তুর নমনীয় তরবারি, যা তত্পরতা, নির্ভুলতা এবং মারাত্মক সৌন্দর্যের প্রতীক।
  • এর অগ্নিশক্তির ভারসাম্য এবং দ্রুত চালচলনের ক্ষমতা জাহাজটিকে অগভীর জলেও নির্ভুলভাবে কাজ পরিচালনা করতে সাহায্য করে।