ভারতের প্রত্যাঘাত শুরু! মিসাইল ছুড়ল ভারতীয় নৌসেনা

Pahalgam Terror Attack: পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলা নিয়ে বিহারের মধুবনী থেকে কড়া বার্তা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। ভারত সর্বশক্তি দিয়ে জঙ্গিদের খুঁজে বের করবে- এই বার্তার কয়েক ঘণ্টা…

ভারতের প্রত্যাঘাত শুরু! মিসাইল ছুড়ল ভারতীয় নৌসেনা

Pahalgam Terror Attack: পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলা নিয়ে বিহারের মধুবনী থেকে কড়া বার্তা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। ভারত সর্বশক্তি দিয়ে জঙ্গিদের খুঁজে বের করবে- এই বার্তার কয়েক ঘণ্টা পরই আরব সাগরে মিসাইল ছুড়ল ভারতীয় নৌসেনা।

মঙ্গলবার কাশ্মীরে জঙ্গি হামলার পরের দিন বুধবার তিন বাহিনিকে (জল-স্থল-নৌবাহিনী) প্রস্তুত থাকতে নির্দেশ দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। নির্দেশ দেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংও। নির্দেশের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই পাকিস্তানকে কড়া বার্তা দিল ভারতীয় নৌসেনা। আরব সাগরে মিসাইল ছুড়ল নৌসেনা। উল্লেখ্য, আরব সাগরে চলছিল পাক নৌসেনার মহড়া। আর মধ্যেই মিসাইল ফায়ারের মহড়া চালাল ভারত।

   

বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বিহারের মধুবনী থেকে এদিনই বার্তা দেন যে ভারত সর্বশক্তি দিয়ে জঙ্গিদের খুঁজে বার করবে। তাদের প্রশ্রয়দাতাদের কড়া শাস্তি দেওয়ার কথাও বলেন প্রধানমন্ত্রী। এই বার্তার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই আরব সাগরে মিসাইল ফায়ার করল INS সুরত। কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন যে এটি ছিল পাকিস্তানের চলমান নৌ-মহড়ার পাল্টা বার্তা ভারতের।

নিজেদের ক্ষমতা জাহির করতে আরব সাগরে মহড়া চালাচ্ছিল পাকিস্তান। ভারতকে বার্তা দেওয়ার চেষ্টা যে তারা আরব সাগরে প্রস্তুত রয়েছে। তবে আজ ভারতীয় নৌবাহনী বুঝিয়ে দিল যে ওরা আঘাত করলে ভারত চুপ করে বসে থাকবে না। ভারত শক্তি প্রদর্শন করল। আইএনএস সরত থেকে পরপর মিসাইল ছুড়ল নৌসেনা। অপর দিকে, সেনা সূত্রে জানা গিয়েছে যে রাফাল এবং সুখোই দুই যুদ্ধবিমানকে নর্দার্ন কমান্ড প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

করাচি উপকূল থেকে পাকিস্তান নিজেদের এক্সক্লুসিভ ইকোনমিক জোনের মধ্যে সারফেস-টু-সারফেস মিসাইল নিক্ষেপ করার মর্মে নোটিফিকেশন জারি করে পাকিস্তান। মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল ২০২৫) কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলায় মর্মান্তিক মৃত্যু হয় ২৬ জনের। মৃতদের মধ্যে ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের ৩ জন।২০১৯ সালে পুলওয়ামা বোমা হামলার পর থেকে পহেলগাঁওয়ের বৈসারান তৃণভূমিতে জঙ্গি হামলাটি এই অঞ্চলের সবচেয়ে ভয়াবহ হামলাগুলির মধ্যে একটি। পাকিস্তান-ভিত্তিক নিষিদ্ধ লস্কর-ই-তৈয়বার (এলইটি) একটি প্রক্সি গ্রুপ, রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট (টিআরএফ) পহেলগাঁও হামলার দায় স্বীকার করেছে বলে জানা গেছে।

Advertisements