নয়াদিল্লি, ১৭ অক্টোবর: ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি (IIT), দিল্লি এখন নতুন ভারতীয় নৌবাহিনীর (Indian Navy) জাহাজের নকশায় সহায়তা করবে। এটি ভারতীয় নৌবাহিনীর জাহাজগুলির নিরাপত্তা এবং বাসযোগ্যতা নিয়েও গবেষণা করবে। এই বিষয়ে দুটি প্রতিষ্ঠান একযোগে কাজ করেছে। এই বিষয়ে, ভারতীয় নৌবাহিনীর নৌ স্থাপত্য অধিদপ্তর এবং আইআইটি দিল্লি একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছে। ভারতীয় নৌবাহিনীর সহকারী প্রধান (ডকইয়ার্ড এবং রিফিট) রিয়ার অ্যাডমিরাল অরবিন্দ রাওয়াল এবং আইআইটি দিল্লির পরিচালক অধ্যাপক রঙ্গন ব্যানার্জি এই সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেন। আসুন ভারতীয় নৌবাহিনী এবং আইআইটি দিল্লির মধ্যে এই চুক্তির মূল উদ্দেশ্যটি অনুসন্ধান করি। এর অর্থ কী?
জাহাজে বসবাসের মাধ্যমে সৈন্যদের জীবনযাত্রার মান উন্নত হবে
দুটি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে একটি চুক্তির আওতায়, আইআইটি দিল্লির নকশা বিভাগ ভারতীয় নৌবাহিনীর জন্য নতুন জাহাজের নকশায় প্রযুক্তিগত সহায়তা প্রদান করবে। জাহাজের নিরাপত্তা এবং বাসযোগ্যতা নিয়ে গবেষণা সহ অন্যান্য কাজও চলছে। এই সমগ্র মহড়ার প্রাথমিক লক্ষ্য হল জাহাজে থাকা কর্মীদের জীবনযাত্রার মান উন্নত করা।
উদাহরণস্বরূপ, আইআইটি দিল্লি এই অনুশীলনের অংশ হিসেবে জাহাজে জীবনযাত্রার মান, যেমন আরাম, নিরাপত্তা, ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতা এবং দক্ষতার উপর গবেষণা পরিচালনা করবে। এটি ভারতীয় নৌবাহিনীর নতুন জাহাজগুলি আন্তর্জাতিক মান পূরণ করে তা নিশ্চিত করতে সহায়তা করবে।
যুদ্ধকালীন সময়ে ক্রুদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ
আসলে, এই পুরো মহড়া ভারতীয় নৌবাহিনীকে আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী তাদের নতুন জাহাজ প্রস্তুত করতে সক্ষম করবে। এটি যুদ্ধের সময় ভারতীয় নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে। দীর্ঘ সমুদ্র ভ্রমণের সময় ভারতীয় নৌবাহিনীর কর্মীরা আরামে এবং দক্ষতার সাথে ভিতরে থাকতে সক্ষম হবেন, একই সাথে যুদ্ধকালীন সময়ে ক্রুদের জন্যও এই পরিবর্তনগুলি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণিত হবে।
এই বিষয়ে, ভারতীয় নৌবাহিনীর সহকারী প্রধান (ডকইয়ার্ড এবং রিফিট) রিয়ার অ্যাডমিরাল অরবিন্দ রাওয়াল বলেছেন যে এই চুক্তি ভারতীয় যুদ্ধজাহাজগুলিকে যুদ্ধের সময় সক্ষম এবং ক্রুদের জন্য নিরাপদ করে তুলবে। এবং আরামদায়ক ভ্রমণ নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
এই বিষয়ে, আইআইটি দিল্লির পরিচালক অধ্যাপক রঙ্গন ব্যানার্জি বলেন যে এই চুক্তি নাবিক এবং নৌ অফিসারদের জন্য উন্নত কর্মক্ষেত্র এবং জীবনযাত্রার পরিবেশ তৈরিতে সহায়তা করবে।