নয়াদিল্লি, ২৪ অক্টোবর: ভারতীয় নৌবাহিনী (Indian Navy) তাদের নৌবহরে আরও একটি সিংহ যোগ করেছে। কোচিন শিপইয়ার্ড লিমিটেড দেশের কাছে “মাহে” (Mahe) পৌঁছে দিয়েছে। জলের উপর এবং শত্রু সাবমেরিনের উদ্দেশ্য ভেদ করতে সক্ষম একটি জাহাজ। এটি ভারতের প্রথম সম্পূর্ণ দেশীয়ভাবে তৈরি অ্যান্টি-সাবমেরিন ওয়ারফেয়ার শ্যালো-ওয়াটার ক্রাফট (Anti-Submarine Warfare Shallow Water Craft or ASW-SWC) যা সমুদ্রে লুকিয়ে থাকা সাবমেরিনগুলি সনাক্ত করতে এবং নীরবে আক্রমণ করতে পারে। নৌবাহিনীতে মাহে’র যোগদান কেবল একটি জাহাজ সরবরাহ নয়। এটি স্বনির্ভর ভারতের ঢেউয়ে ভারতীয় প্রকৌশলের একটি প্রমাণ। এখন, মেড-ইন-ইন্ডিয়া সমুদ্রেও প্রতিধ্বনিত হবে।
মাহে জাহাজটি ডিজেল ইঞ্জিন-ওয়াটারজেট সংমিশ্রণ দ্বারা চালিত এবং 90 শতাংশেরও বেশি দেশীয় উপাদান ব্যবহার করে। এটি জলের নিচে নজরদারি, ট্র্যাকিং এবং উদ্ধার অভিযানের জন্য তৈরি। এটি কম তীব্রতার সামুদ্রিক অভিযানের জন্য তৈরি। এটি ASW রকেট এবং মাইন স্থাপনের ক্ষমতার মাধ্যমে উপকূলীয় সাবমেরিন-বিধ্বংসী ক্ষমতা বৃদ্ধি করবে।
জাহাজের নকশা?
মাহে প্রায় ৭৮.০ মিটার লম্বা এবং ১১ মিটারেরও বেশি প্রশস্ত। এর স্থানচ্যুতি ৮৯৬-৯০০ টন। স্থানচ্যুতি বলতে বোঝায় যখন একটি জাহাজ ভেসে থাকে, তখন এটি তার নিজের ওজনের সমান জল স্থানচ্যুত করে। এর গতি প্রায় ২৫ নট, বা ৪৬.৩ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টা।
জাহাজটি বিশেষভাবে ডিজাইন করা হয়েছে এবং অগভীর জলের সাথে মানিয়ে নেওয়ার জন্য উচ্চ-কার্যক্ষমতাসম্পন্ন সোনার এবং জলের নিচের সেন্সিং সিস্টেম দিয়ে সজ্জিত। এতে ভারত-উন্নত সেন্সরও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। জাহাজের সেন্সর, সাবসিস্টেম এবং অনেক যান্ত্রিক ইউনিট দেশেই তৈরি করা হয়। এটি প্রতিরক্ষা বাস্তুতন্ত্র এবং স্থানীয় এমএসএমই-এর জন্য একটি উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি।


