আরব সাগরে নেভিগেশন অ্যালার্ট জারি নৌসেনার, ভারত-পাকিস্তান সংঘাতের মাঝে সামুদ্রিক তৎপরতা বৃদ্ধি

Navy: পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে পাকিস্তানের সাথে বাড়তে থাকা উত্তেজনার মধ্যে, ভারতীয় সমুদ্র কর্তৃপক্ষ আরব সাগরের কিছু অংশে নেভিগেশন সতর্কতা (Navigation Alert) জারি…

Indian Navy

Navy: পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে পাকিস্তানের সাথে বাড়তে থাকা উত্তেজনার মধ্যে, ভারতীয় সমুদ্র কর্তৃপক্ষ আরব সাগরের কিছু অংশে নেভিগেশন সতর্কতা (Navigation Alert) জারি করেছে। ভারতীয় নৌবাহিনীর একটি বৃহৎ পরিসরে সামরিক মহড়া চলার কারণে, বাণিজ্যিক জাহাজগুলিকে সতর্ক থাকতে এবং এলাকা থেকে দূরে থাকতে বিশেষভাবে এই সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

সূত্রের খবর, ভারতীয় নৌবাহিনীর অধীনে কর্মরত জাতীয় জলবিদ্যুৎ অফিস এই সতর্কতা জারি করেছে। যেকোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে বাণিজ্যিক জাহাজগুলিকে ওই এলাকা এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

   

প্রধানমন্ত্রীর সাথে নৌবাহিনী প্রধানের সাক্ষাৎ
তথ্য অনুযায়ী, নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল দীনেশ কে. ত্রিপাঠি শনিবার সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সাথে দেখা করেন এবং তাকে সামুদ্রিক খাতের বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে অবহিত করেন। তবে এই বৈঠক সম্পর্কে এখনও কোনও আনুষ্ঠানিক বিবৃতি জারি করা হয়নি।

ইতিমধ্যে, পাকিস্তানও তার নৌবাহিনীকে উচ্চ সতর্কতায় রেখেছে এবং তার সামুদ্রিক অঞ্চলে একটি নৌচলাচল সতর্কতা জারি করেছে। পহেলগাম হামলার পর ভারত থেকে সামরিক পদক্ষেপের সম্ভাবনা রয়ে গেছে, তাই উভয় দেশের নৌবাহিনী উচ্চ সতর্কতায় রয়েছে।

ভারত এখন পর্যন্ত অনেক কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে

  • সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিতকরণ
  • আটারি সীমান্তে চলাচল বন্ধ
  • কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করা
  • সকল ধরণের বিনিময়
  • পাকিস্তানি বিমানের জন্য আকাশসীমা বন্ধ
  • পাকিস্তানি জাহাজ বন্দরে থামার অনুমতি নেই

সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিত করার ভারতের সিদ্ধান্তকে “যুদ্ধের পদক্ষেপ” বলে অভিহিত করেছে পাকিস্তান এবং আন্তর্জাতিক ফোরামে এর বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ জানানোর হুঁশিয়ারি দিয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বাড়তে থাকা উত্তেজনা এখন কেবল স্থল সীমান্তেই নয়, সমুদ্র সীমান্তেও দৃশ্যমান। ভারত দিন দিন পাকিস্তানের উপর তার নিয়ন্ত্রণ আরও শক্ত করে তুলছে।

সেনাবাহিনীকে স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে

২২শে এপ্রিল, কিছু সন্ত্রাসী পহেলগাঁওয়ে ২৬ জনকে গুলি করে। এই হামলা চালানোর পর সন্ত্রাসীরা বনের দিকে দৌড়ে যায়। হামলার পর থেকে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে। ভারত স্পষ্ট করে দিয়েছে যে তারা সন্ত্রাসী হামলার প্রতিশোধ নেবে। প্রধানমন্ত্রী মোদীও সেনাবাহিনীকে পূর্ণ স্বাধীনতা দিয়েছেন।