২০৩৭ সালে অবসর নেবে ভারতীয় নৌবাহিনীর সর্বশ্রেষ্ঠ যোদ্ধা INS বিক্রমাদিত্য

INS Vikramaditya

নয়াদিল্লি, ১২ নভেম্বর: ভারতীয় নৌবাহিনীর (Indian Navy) বৃহত্তম এবং সবচেয়ে শক্তিশালী বিমানবাহী রণতরী, আইএনএস বিক্রমাদিত্য (INS Vikramaditya), তার পরিষেবা জীবন শেষ করার পর অবসর গ্রহণ করবে (INS Vikramaditya Retirement)। এই বিশাল জাহাজটি রাশিয়া থেকে কেনা হয়েছিল এবং ভারতীয় নৌবাহিনীর শক্তির একটি মূল স্তম্ভ হয়ে দাঁড়িয়েছে। অবসর গ্রহণের তারিখ ঘনিয়ে আসার সাথে সাথে, নৌবাহিনীর সামনে এই প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হচ্ছে যে তারা কীভাবে ভারতীয় সামুদ্রিক সীমান্তের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে, বিশেষ করে যখন ভারতের তৃতীয় বিমানবাহী রণতরী, আইএনএস বিশালের নির্মাণ এখনও বিলম্বিত।

Advertisements

আইএনএস বিক্রমাদিত্য অবসর নেবে
মিডিয়া রিপোর্ট অনুসারে, আইএনএস বিক্রমাদিত্য ২০৩৭ সালে অবসর নেবে। এর অবসর গ্রহণের অর্থ হল, ততক্ষণে নৌবাহিনীর কাছে অভিযানের জন্য শুধুমাত্র একটি বিমানবাহী রণতরী, আইএনএস বিক্রান্ত থাকবে। এই পরিস্থিতি ভারতের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ তৈরি করতে পারে, কারণ নৌবাহিনীর সর্বদা চিন এবং পাকিস্তানের সাথে সামুদ্রিক সীমান্তে কমপক্ষে দুটি কার্যকরী বাহক প্রয়োজন।

   

এই সমস্যা সমাধানের জন্য নৌবাহিনীর কাছে দুটি বিকল্প আছে: প্রথমত, আইএনএস বিশাল (তৃতীয় বাহক) নির্মাণের গতি বাড়ানো। দ্বিতীয়ত, বিক্রমাদিত্যের অবসরের তারিখ বিলম্বিত করা। পরিষেবা সম্প্রসারণ জটিল এবং ব্যয়বহুল, যার জন্য জাহাজের বড় ধরনের আপগ্রেড প্রয়োজন। নৌ-কৌশলবিদরা এখন সরকারের কাছে এই বিষয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়ার দাবি জানাচ্ছেন।

INS Vikramaditya

Advertisements

বিক্রমাদিত্যের চলে যাওয়ার ফলে কী প্রভাব পড়বে?
আইএনএস বিক্রমাদিত্য ভারতীয় নৌবাহিনীর জন্য শক্তির স্তম্ভ হয়ে দাঁড়িয়েছে। জাহাজটি মিগ-২৯কে যুদ্ধবিমান এবং অন্যান্য হেলিকপ্টার বহন করে, যা সমুদ্রের মাঝখানে ভাসমান বিমানঘাঁটি হিসেবে কাজ করে। বিক্রমাদিত্য পশ্চিম এবং পূর্ব উভয় সমুদ্র সীমান্তে নৌবাহিনীকে ক্ষমতার ভারসাম্য বজায় রাখতেও সহায়তা করে। এমন পরিস্থিতিতে, ২০৩৭ সালে এর অবসর গ্রহণ নৌ-শক্তিতে বিশাল শূন্যতা তৈরি করবে, যা ভারতের সামুদ্রিক নিরাপত্তা কৌশলকে দুর্বল করে দিতে পারে।

নৌবাহিনীর সামনে দুটি সম্ভাব্য পথ
এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় নৌবাহিনী দুটি প্রধান বিকল্প বিবেচনা করছে। প্রথমত, নৌবাহিনী দীর্ঘদিন ধরে আইএনএস বিশাল (IAC-2) নির্মাণের অনুমতি চেয়ে আসছে। যদি ২০৩৭ সালের মধ্যে নতুন ক্যারিয়ার প্রস্তুত না হয়, তাহলে ভারত একটি উল্লেখযোগ্য ক্যারিয়ার ঘাটতির সম্মুখীন হবে।

দ্বিতীয়ত, বিক্রমাদিত্যকে ২০৩৭ সালের পরেও পরিষেবা দেওয়ার জন্য একটি বড় আপগ্রেড দেওয়া যেতে পারে। এটি একটি দীর্ঘ এবং ব্যয়বহুল প্রক্রিয়া হবে, যার জন্য জাহাজটিকে কয়েক বছরের জন্য পরিষেবা থেকে সরিয়ে নিতে হবে।