নয়াদিল্লি: ২০২৫ সালের নৌসেনা দিবস উদ্যাপন হবে কেরলের রাজধানী তিরুবনন্তপুরমে। এই অনুষ্ঠানের মূল কেন্দ্রবিন্দু হবে আরব সাগর, যা ভারতের জন্য এক কৌশলগত সামুদ্রিক পরিসর (Indian Navy Day 2025 )।
২০২৫ সালের নৌসেনা দিবস তিরুবনন্তপুরমে আয়োজন নিছক স্থান পরিবর্তন নয়, এটি ভারতের সমুদ্রকৌশল ও প্রতিরক্ষা নীতির বদলে যাওয়া অভিমুখের প্রতীক। বঙ্গোপসাগরের পর এবার আরব সাগরকে বেছে নেওয়া, বিশেষত ‘অপারেশন সিদুঁরের’ পর, আসলে এক সুস্পষ্ট বার্তা- ভারতের নৌসেনা এখন শুধু প্রতিরক্ষামূলক নয়, প্রয়োজন পড়লে আগ্রাসী ও প্রতিরোধক্ষমতাও সম্পূর্ণ।
যে অঞ্চলে অনুষ্ঠান, সেখানেই নজরদারি ও প্রস্তুতির ঘনত্ব, এই কৌশলগত বাস্তবতায় আরব সাগরে অনুষ্ঠান মানে পাকিস্তান ও পশ্চিম দিকের সামুদ্রিক হুমকির প্রতি নজরদারি বাড়ানো। ‘সিদুঁর’-এর সময় করাচি বন্দরে ভারতের প্রস্তুতি ছিল বার্তা স্বরূপ, এবার সেই বার্তাকেই আরও উঁচুতে তুলে ধরা হল জাতীয় উদ্যাপনের মাধ্যমে।
তিরুবনন্তপুরমের নির্বাচন প্রতীকীভাবেও গুরুত্বপূর্ণ। দক্ষিণ ভারত, বিশেষ করে কেরল, দীর্ঘদিন ধরেই ভারতীয় নৌসেনার জন্য সাংগঠনিক ও স্ট্র্যাটেজিক হাব। কোচি-ভিত্তিক সাউদার্ন ন্যাভাল কমান্ড, ভারতীয় নৌশক্তির এক গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র। সেই ব্যাকড্রপেই এবার জাতীয় স্তরে কেরলকে সামনে নিয়ে আসা হল।
এর পাশাপাশি এই সিদ্ধান্ত সরকার এবং সেনাবাহিনীর সম্মিলিত ‘ডিসেন্ট্রালাইজড সেলিব্রেশন’ মডেলেরও প্রতিফলন, জাতীয় প্রতিরক্ষা শুধুমাত্র রাজধানী বা পূর্বাঞ্চলকেন্দ্রিক নয়, বরং প্রতিটি উপকূলবর্তী রাজ্যই আজ প্রতিরক্ষার ফ্রন্টলাইন।
সব মিলিয়ে, নৌসেনা দিবস ২০২৫ শুধু একটি স্মারক অনুষ্ঠান নয়, বরং এটি এক জিওস্ট্র্যাটেজিক বিবৃতি, ভারত সমুদ্র-সীমান্তে সচেতন, প্রস্তুত এবং আক্রমণাত্মক প্রয়োজনে। আগামী দিনে এই অঞ্চলেই যে আরও অনেক কিছু ঘটতে চলেছে, তিরুবনন্তপুরম থেকে সেই বার্তাই যেন দিল ভারত।