অমরাবতি, ৬ অক্টোবর: ভারতীয় নৌবাহিনী (Indian Navy) আজ বিশাখাপত্তনম নৌ ডকইয়ার্ডে তাদের দ্বিতীয় অ্যান্টি-সাবমেরিন ওয়ারফেয়ার শ্যালো ওয়াটার ক্রাফট (ASW-SWC), অ্যান্ড্রোথকে (Androth Warfare Ship) পরিষেবায় যুক্ত করল। নৌবাহিনীতে অ্যান্ড্রোথের অন্তর্ভুক্তি সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং স্বদেশীকরণের দিকে একটি বড় পদক্ষেপ। (INS Androth)
কলকাতা-ভিত্তিক গার্ডেন রিচ শিপবিল্ডার্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ার্স (জিআরএসই) দ্বারা নির্মিত, অ্যান্ড্রোথে ৮০ শতাংশেরও বেশি দেশীয় উপকরণ রয়েছে, যা ভারতের বাড়তে থাকা সামুদ্রিক স্বনির্ভরতা এবং নতুন দেশীয় প্রযুক্তির প্রতি প্রতিশ্রুতি প্রতিফলিত করে।
ভারতীয় নৌবাহিনীর শক্তি বহুগুণ বৃদ্ধি পাবে
এই যুদ্ধজাহাজটি আসার সাথে সাথে ভারতীয় নৌবাহিনীর শক্তি বহুগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। এটি জলের নিচে শত্রুপক্ষের সাবমেরিন ধ্বংস করার ক্ষমতা রাখে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের মতে, আইএনএস অ্যান্ড্রোথের (INS Androth) কমিশনিং নৌবাহিনীর সাবমেরিন-বিরোধী যুদ্ধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করবে। উপকূলীয় বা অগভীর জল অঞ্চলে সাবমেরিন হুমকি মোকাবিলায় এই যুদ্ধজাহাজটি বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ।
সম্প্রতি অর্নালা, নিস্তার, উদয়গিরি, নীলগিরি এবং এখন আইএনএস অ্যান্ড্রোথের মতো যুদ্ধজাহাজ ভারতীয় নৌবাহিনীর বাড়তে থাকা সক্ষমতা প্রদর্শন করে।
এটি অ্যান্টি-সাবমেরিন ওয়ারফেয়ার শ্যালো ওয়াটার ক্রাফট (ASW-SWC) সিরিজের দ্বিতীয় জাহাজ। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পূর্ব নৌ কমান্ডের প্রধান ভাইস অ্যাডমিরাল রাজেশ পেন্ধারকর।
জাহাজটির নাম কেন অ্যান্ড্রোথ রাখা হয়েছে?
লাক্ষাদ্বীপের অ্যান্ড্রোথ দ্বীপের নামে জাহাজটির নামকরণ করা হয়েছে। পূর্বে, নৌবাহিনীর আইএনএস অ্যান্ড্রোথ (P69) নামে একটি জাহাজ ছিল, যা 27 বছর ধরে দেশের সেবা করেছে। নতুন অ্যান্ড্রোথ সেই ঐতিহ্য অব্যাহত রাখবে।
অ্যান্ড্রোথ কী কী কাজ করবে?
জাহাজটি আধুনিক অস্ত্র এবং সেন্সর দিয়ে সজ্জিত। এটি শত্রু সাবমেরিন সনাক্ত এবং ধ্বংস করতে পারে। এটি সামুদ্রিক নজরদারি, উপকূলীয় নিরাপত্তা এবং অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযানও পরিচালনা করবে।
নৌবাহিনীর শক্তি বৃদ্ধি
অ্যান্ড্রোথের আগমন ভারতীয় নৌবাহিনীর শক্তি আরও বৃদ্ধি করবে। এটি দেশের সামুদ্রিক সীমানা আরও শক্তিশালী করবে এবং প্রমাণ করবে যে ভারত এখন নিজস্ব যুদ্ধজাহাজ তৈরি করতে সক্ষম।