Apache: ভারতীয় সেনাবাহিনীর শক্তি আরও মারাত্মক করে তুলতে, আমেরিকা থেকে কেনা অ্যাপাচি আক্রমণাত্মক হেলিকপ্টারগুলি এই মাসে ভারতীয় সেনাবাহিনীর বহরে যোগ দেবে। প্রথম ব্যাচে 3টি অ্যাপাচি হেলিকপ্টার থাকবে, যা পাকিস্তান সীমান্ত সংলগ্ন যোধপুরে মোতায়েন করা হবে। তথ্য অনুযায়ী, ২০২০ সালে ৬টি অ্যাপাচি হেলিকপ্টার কেনার চুক্তি হয়েছিল। এর দাম ছিল ৮০০ মিলিয়ন ডলার। বেশ কয়েকবার ডেলিভারি স্থগিত হওয়ার পর, এখন জুলাই মাসের শেষ নাগাদ ৩টি হেলিকপ্টার ডেলিভারি করার কথা রয়েছে। বাকি তিনটি হেলিকপ্টার অক্টোবরের মধ্যে ডেলিভারি করা হবে।
আর্মি এভিয়েশন কর্পস ৩টি এভিয়েশন ব্রিগেড প্রতিষ্ঠা করে তার শক্তি বৃদ্ধি করেছে। একটি পূর্ব কমান্ডের মিসামারিতে, দ্বিতীয়টি উত্তর কমান্ডের লেহে এবং তৃতীয়টি পশ্চিম কমান্ডের যোধপুরে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ভারতীয় সেনাবাহিনী পশ্চিম কমান্ডে অ্যাপাচি আক্রমণকারী হেলিকপ্টারগুলির একটি স্কোয়াড্রন মোতায়েন করবে। অ্যাপাচির প্রথম স্কোয়াড্রনও প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
এর জন্য যোধপুরে ৪৫১ আর্মি এভিয়েশন স্কোয়াড্রন গঠন করা হয়েছে। আগে সেনাবাহিনীর কাছে আক্রমণাত্মক হেলিকপ্টার হিসেবে কেবল HAL-এর রুদ্র এবং প্রচণ্ড ছিল। এখন আমেরিকান অ্যাপাচি দিয়ে মরুভূমিতে পাকিস্তানি ট্যাঙ্কগুলিকে লক্ষ্যবস্তু করা সহজ হবে।
অ্যাপাচি কেন বিশেষ?
Apache AH-64E বিশ্বের সবচেয়ে উন্নত আক্রমণাত্মক হেলিকপ্টারগুলির মধ্যে একটি। এটি স্টিংগার, হেলফায়ার, স্পাইক এনএলওএসের মতো মারাত্মক ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে সজ্জিত। হেলফায়ার ক্ষেপণাস্ত্রের পাল্লা প্রায় ৮ কিলোমিটার, যেখানে স্পাইক এনএলওএসের পাল্লা ২৫ কিলোমিটার পর্যন্ত। অ্যাপাচে একটি 30 মিমি স্বয়ংক্রিয় মেশিনগানও সজ্জিত, যা চোখের পলকে শত্রুর ট্যাঙ্ক এবং সাঁজোয়া যান ধ্বংস করতে পারে।
এই হেলিকপ্টারের সবচেয়ে বড় শক্তি হল এর উন্নত সেন্সর সিস্টেম, যার কারণে এটি রাতেও কাজ করতে পারে। অ্যাপাচির অপারেশনাল রেঞ্জ প্রায় ৫০০ কিলোমিটার এবং এটি প্রতি ঘন্টায় ৩৬৫ কিলোমিটার গতিতে উড়তে পারে।
সেনাবাহিনীর স্বপ্ন পূরণ
ভারতীয় বায়ুসেনার কাছে ইতিমধ্যেই ২২টি অ্যাপাচি হেলিকপ্টার রয়েছে, যেগুলি ২০১৫ সালের চুক্তির আওতায় পাওয়া হয়েছিল। এখন সেনাবাহিনীর জন্য আলাদাভাবে ৬টি অ্যাপাচি কেনা হয়েছে। সেনাবাহিনী আশা করছে ভবিষ্যতে বাকি ১১টি অ্যাপাচি পাবে। অ্যাপাচি আসার সাথে সাথে সেনাবাহিনীর আক্রমণ ক্ষমতা বহুগুণ বৃদ্ধি পাবে।