চিন-পাকিস্তান সীমান্ত পাহারা দিতে প্রাণঘাতী প্রলয় মিসাইল পাবে ভারতীয় সেনা

প্রতি নিয়ত ভারত তার সামরিক সক্ষমতা বাড়িয়েই চলেছে। এবার খুব শীঘ্রই অন্তর্ভুক্ত হবে প্রলয় মিসাইল (Pralay missile)। এটি একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র এবং ভারত এই মিসাইল…

ballistic missile, representative image

প্রতি নিয়ত ভারত তার সামরিক সক্ষমতা বাড়িয়েই চলেছে। এবার খুব শীঘ্রই অন্তর্ভুক্ত হবে প্রলয় মিসাইল (Pralay missile)। এটি একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র এবং ভারত এই মিসাইল চিন ও পাকিস্তানের সীমান্তে মোতায়েন করবে। এই সিদ্ধান্ত ভারতের সামরিক কৌশলে একটি উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি চিহ্নিত করে, বিশেষ করে আঞ্চলিক নিরাপত্তা গতিশীলতার প্রেক্ষাপটে।

Pralay Ballistic Missile Features

   

Type: ট্যাকটিক্যাল ব্যালিস্টিক মিসাইল
Range: ১৫০ থেকে ৫০০ কিলোমিটার
Payload: ৩৫০ কেজি থেকে ৭০০ কেজি ওজনের প্রচলিত ওয়ারহেড বহন করতে সক্ষম
Guidance: উন্নত নেভিগেশন এবং সমন্বিত এভিওনিক্স সিস্টেমের সঙ্গে সজ্জিত, উচ্চ নির্ভুলতার জন্য বাধা এড়ানোর ক্ষমতা এবং লক্ষ্যবস্তু স্ট্রাইকের অনুমতি দেয়।

Pralay ballistic missile

প্রলয় ক্ষেপণাস্ত্রে রয়েছে কোয়াসী-ব্যালিস্টিকের (quasi-ballistic nature) মতো বৈশিষ্ট্য। কোয়াসী-ব্যালিস্টিকের অর্থ এই মিসাইল তার ফ্লাইটের পথকে মাঝ-আকাশেই পরিবর্তন করতে পারে। ফলে, শত্রুর বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার জন্য বাধা দেওয়া কঠিন করে তোলে। এই সক্ষমতা চিনের Dong Feng 12 এবং রাশিয়ার ইস্কান্ডারের (Iskander) মতো অন্যান্য উন্নত ক্ষেপণাস্ত্রগুলির পাশাপাশি প্রলয়কে অবস্থান করে, যা সাম্প্রতিক সংঘাতে কার্যকর হয়েছে।

ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক এই ক্ষেপণাস্ত্রগুলির একটি রেজিমেন্ট ক্রয়ের অনুমোদন দিয়েছে, যা ভারতের নতুন প্রস্তাবিত রকেট বাহিনীতে (Rocket Force) একীভূত হবে। এই বাহিনীর লক্ষ্য চিন এবং পাকিস্তান উভয়ের বিরুদ্ধে ভারতের প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো, যারা ইতিমধ্যে একই উদ্দেশ্যে কৌশলগত ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের অধিকারী। পূর্বের হুমকির মোকাবিলা করতেই প্রলয় মিসাইল মোতায়েন করা হবে। এছাড়া, এর মাধ্যমে, এটি একটি শক্তিশালী ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তোলার বৃহত্তর কৌশলের অংশ।

প্রলয় ক্ষেপণাস্ত্রের বিকাশ ২০১৫ সালের দিকে শুরু হয়। প্রাক্তন চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ প্রয়াত জেনারেল বিপিন রাওয়াতের কৌশলগত অন্তর্দৃষ্টি দিয়েই চালিত হয়। ২০২২ সালের ডিসেম্বরে পরিচালিত উল্লেখযোগ্য পরীক্ষা সহ ক্ষেপণাস্ত্রটির সফল পরীক্ষা হয়েছে। এর নকশাটি কে-সিরিজ সাবমেরিন-লঞ্চ করা ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র এবং প্রহার ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির (Prahaar missile program) উপাদান সহ বিভিন্ন ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির উপর আঁকে।