Indian Army: বৃদ্ধি পাবে ভারতীয় সেনার অগ্নিশক্তি (Indian Army firepower)। রিপোর্ট অনুসারে, আগামী দুই থেকে তিন সপ্তাহের মধ্যে পরবর্তী ব্যাচের ৭০০০ টি কালাশনিকভ AK-203 রাইফেল (Kalashnikov AK-203 rifles) পাবে সেনাবাহিনী। এর আগে, ২০২৪ সালে প্রথম ব্যাচের ৩৫,০০০ টি রাইফেল পায় সেনা। এই বন্দুকগুলো উত্তর প্রদেশের আমেথিতে ভারত-রুশের যৌথ উদ্যোগে তৈরি হচ্ছে।
এছাড়াও, ২০২৬ সালে আরও এই রাইফেলের ১ লাখ ইউনিট সরবরাহ করা হবে। ইন্দো-রাশিয়ান রাইফেলস প্রাইভেট লিমিটেড (IRRPL) জানিয়েছে যে তারা সময়সীমা পূরণ করছে। সংস্থা আরও জানিয়েছে যে এই বছরের শেষের মধ্যে ১০০ শতাংশ দেশীয়করণ অর্জন করা হবে।
কয়েক দশকের পুরনো ইনসাস রাইফেল (INSAS rifle) বাদ দিয়ে দিচ্ছে ভারতীয় সেনা। তার পরিবর্তে আনা হচ্ছে AK-203। এটি একটি রাশিয়ান উৎপাদিত অ্যাসল্ট রাইফেল।
AK-203 রাইফেল অন্তর্ভুক্ত করলে কী কী সুবিধা পাওয়া যাবে
কালাশনিকভ সিরিজের আধুনিক সংস্করণ হচ্ছে AK-203। কেবল উচ্চতর নির্ভুলতাই নয়, এর উন্নত কর্মদক্ষতা এবং অভিযোজনযোগ্যতা এটিকে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান এবং উচ্চ-উচ্চতায় যুদ্ধের জন্য আদর্শ করে তোলে।
২০২১ সালের জুলাই মাসে ভারত-রাশিয়ার, ৬ লাখ AK-203 টি রাইফেলের জন্য ৫০০০ কোটি টাকার চুক্তি সাক্ষর হয়। এই চুক্তির অধীনে রাশিয়া থেকে প্রযুক্তি হস্তান্তরের মাধ্যমে ভারতেই তৈরি করা হবে এই রাইফেল। এরপর ২০২৩ সাল থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে এই বন্দুকগুলোর লাইসেন্সকৃত উৎপাদন শুরু হল।
চিনের সঙ্গে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা (LAC) বরাবর ভারতের হুমকি এবং পাকিস্তানের ক্রমাগত আন্তঃসীমান্ত কার্যকলাপের কারণে এই আপগ্রেডেশন দ্রুত সম্পন্ন করা হয়েছে।
তবে এই রাইফেলের প্রতি ইচ্ছাপ্রকাশ করেছে আফ্রিকান এবং মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলিও। জাতীয় এক সংবাদমাধ্যমকে এক প্রতিরক্ষা আধিকারিক জানিয়েছেন যে একে-২০৩ এর চাহিদা বর্তমানে তুঙ্গে। যে সকল জায়গায় রাশিয়ান অস্ত্র দীর্ঘদি ধরে পছন্দ, সেখানেই চাহিদা আরও বেড়ে গিয়েছে বলেই তিনি জানান।