Indian Army Next Gen Anti-Tank Drone: আধুনিক যুগে যুদ্ধও আধুনিক হয়ে উঠছে। এমন অস্ত্র এসেছে যা শত শত কিলোমিটার দূর থেকেও বিপজ্জনক আক্রমণ চালাতে পারে। তবে, কিছু ঐতিহ্যবাহী অস্ত্রও রয়েছে, যা আগের চেয়ে আরও শক্তিশালী হয়ে উঠেছে। যুদ্ধ ট্যাঙ্ক অর্থাৎ এমবিটিও অত্যন্ত মারাত্মক হয়ে উঠেছে। কিন্তু ভারত এটি মোকাবিলায় তার প্রচেষ্টা জোরদার করেছে। ভারত পরবর্তী প্রজন্মের ড্রোন তৈরি করছে, যার ট্যাঙ্ক-বিধ্বংসী ক্ষমতা থাকবে।
এই ড্রোনটি ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক পরিবেশে কাজ করবে
ভারতীয় সেনাবাহিনী বেসরকারি কোম্পানিগুলির সাথে সহযোগিতায় ট্যাঙ্ক-বিরোধী ড্রোন তৈরির দিকে পদক্ষেপ নিয়েছে। IDRW-এর রিপোর্টে বলা হয়েছে যে এই ড্রোনগুলিতে GPS থাকবে। এগুলি তড়িৎ চৌম্বকীয় পরিবেশেও কাজ করতে সক্ষম হবে। সাম্প্রতিক বছরগুলিতে, ট্যাঙ্কগুলিতে কোপ কেজ সজ্জিত করা হচ্ছে। অর্থাৎ, তাদের উপর জাল স্থাপন করা হচ্ছে, যা ড্রোন আক্রমণ থেকে রক্ষা করার জন্য কাজ করে।
এই ড্রোনটি একটি গেম চেঞ্জার হিসেবে প্রমাণিত হবে
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং ভারত-পাকিস্তান সংঘর্ষের মতো সংঘাতের সাথে, ড্রোন যুদ্ধক্ষেত্রে একটি গেম চেঞ্জার হিসেবে প্রমাণিত হতে পারে। সেনাবাহিনী ইতিমধ্যেই শত্রুর ট্যাঙ্কগুলিকে লক্ষ্য করে TASL ALS-50 loitering munition এবং দেশীয় ফার্স্ট-পারসন ভিউ (FPV) এর মতো ড্রোন ব্যবহার করেছে। তবে, এই ড্রোনগুলিতে ট্যাঙ্ক-বিধ্বংসী ক্ষমতা নেই, তাই ভারতের এমন একটি ড্রোনের প্রয়োজন যা ট্যাঙ্ক ধ্বংস করতে পারে।
ভারতীয় সেনাবাহিনীর এমন ড্রোনের প্রয়োজন
সেনাবাহিনী এমন ড্রোন চায় যেখানে নেভিগেশন সিস্টেম থাকবে এবং জিপিএস জ্যামিং সিস্টেম ইনস্টল থাকা পরিবেশে কাজ করতে পারবে। ORF-2023 রিপোর্টে বলা হয়েছে যে রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘর্ষে দেখা জ্যামিং এবং স্পুফিংয়ের মতো কৌশলগুলি GPS-নির্ভর ড্রোনগুলিকে অকার্যকর করে তুলতে পারে। তবে এখন নির্মিত ড্রোনগুলি ইনর্শিয়াল নেভিগেশন সিস্টেম (INS), টেরেইন কনট্যুর ম্যাচিং (TERCOM) এবং AI-ভিত্তিক ভিজ্যুয়াল নেভিগেশনের সাথে একীভূত হবে।
