Army Sports Conclave: ভারতীয় সেনা (Indian Army) সোমবার নয়াদিল্লির মানেকশ সেন্টারে আর্মি স্পোর্টস কনক্লেভ ২০২৪ (Army Sports Conclave 2024) এর আয়োজন করে। এই ইভেন্টটি ভারতীয় ক্রীড়া ল্যান্ডস্কেপ পুনর্নির্মাণ এবং ২০৩৬ অলিম্পিকের আয়োজক করার লক্ষ্য উপলব্ধি করার লক্ষ্যে সংগঠিত হয়েছিল। ২০০-রও বেশি অতিথি এতে অংশ নিয়েছিলেন, যার মধ্যে খেলোয়াড় এবং ক্রীড়া সংস্থার প্রতিনিধিরা অন্তর্ভুক্ত ছিলেন। কেন্দ্রীয় যুব বিষয়ক ও ক্রীড়া মন্ত্রী ডঃ মনসুখ মান্ডাভিয়া এবং রাজস্থান সরকারের মন্ত্রী কর্নেল অবসরপ্রাপ্ত রাজ্যবর্ধন সিং রাঠোরও এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
ভারতীয় সেনাবাহিনীর মিশন অলিম্পিক উইং ২০২৪ সালে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সাফল্য অর্জন করেছে। সেনাবাহিনীর খেলোয়াড়রা বিভিন্ন খেলায় মোট ৩০০ টিরও বেশি পদক জিতেছে। তীরন্দাজ, বক্সিং এবং কুস্তির মতো খেলায় চমৎকার পারফরম্যান্স অর্জিত হয়েছিল। ১৩ জন সেনা খেলোয়াড় প্যারিস অলিম্পিক ২০২৪-এ ভারতের প্রতিনিধিত্ব করেছিল, যাতে সুবেদার নীরজ চোপড়া জ্যাভলিন নিক্ষেপে রৌপ্য পদক জিতেছিল। এছাড়াও সেনাবাহিনীর খেলোয়াড়রা প্যারিস প্যারালিম্পিকে ভারতের হয়ে দুটি ব্রোঞ্জ পদক জিতেছে।
2036 অলিম্পিকের জন্য প্রস্তুতি
ভারতীয় সেনাবাহিনী ২০৩৬ সালের অলিম্পিক আয়োজনের প্রতি ভারতের উচ্চাকাঙ্ক্ষাকে সমর্থন করার জন্য তার কৌশলের রূপরেখা দিয়েছে। সেনাবাহিনীর প্রশিক্ষণ কার্যক্রমে শারীরিক ও মানসিক শক্তির পাশাপাশি ক্রীড়া বিজ্ঞানকে অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে। ক্রীড়া মনোবিজ্ঞানী, পুষ্টিবিদ এবং ফিজিওথেরাপিস্টদের সহায়তায় খেলোয়াড়দের আরও ভালো পারফরম্যান্সের জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে। এর পাশাপাশি, মহিলা খেলোয়াড়দের প্রচারের জন্য আর্মি গার্লস স্পোর্টস কোম্পানির মতো উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে, যখন পুনেতে প্যারালিম্পিক গেমসের জন্য একটি কেন্দ্র তৈরি করা হচ্ছে।
খেলাধুলোর প্রসারের উদ্যোগ
ভারতীয় সেনাবাহিনী শুধুমাত্র খেলাধুলোয় সাফল্যের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, খেলাধুলোর প্রচারেও এগিয়ে রয়েছে। সেনাবাহিনী বিশ্বাস করে যে খেলাধুলো শুধুমাত্র শারীরিক নয় মানসিক ও সামাজিক বিকাশের একটি মাধ্যম। আর্মি স্পোর্টস কনক্লেভ ২০২৪ ভারতের ক্রীড়া ভবিষ্যতের দিকনির্দেশ নির্ধারণে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। একই সময়ে, এই প্ল্যাটফর্মটি চ্যালেঞ্জ নিয়ে আলোচনা করার এবং নতুন সুযোগগুলি চিহ্নিত করার জন্য সবাইকে একত্রিত করার একটি সুযোগ হয়ে উঠেছে। ভারতীয় সেনাবাহিনী স্পষ্ট করেছে যে তারা শুধুমাত্র গেমসে অংশগ্রহণ করবে না, ভারতকে একটি বিশ্ব ক্রীড়া শক্তিতে পরিণত করতেও একটি বড় ভূমিকা পালন করবে।