সেনা-জঙ্গি (Indian Army) সংঘর্ষে মৃত্যু হল এক অজ্ঞাতপরিচয় জঙ্গির। জম্মু-কাশ্মীরের পুলওয়ামা জেলার ফ্রাসিপোরায় আজ, বৃহস্পতিবার সকালে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ওই এলাকায় জঙ্গিদের লুকিয়ে থাকার খবর পেয়ে পুলিশ এবং নিরাপত্তাবাহিনী তল্লাশি অভিযানে নামে। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে লুকিয়ে থাকা জঙ্গিরা গুলি চালাতে শুরু করে। পাল্টা গুলি চালায় বাহিনী। দু’পক্ষের সংঘর্ষে প্রাণ হারায় এক অজ্ঞাতপরিচয় জঙ্গি।
কাশ্মীর জোন পুলিশ এক্স হ্যান্ডেলে জানিয়েছে, ফ্রাসিপোরায় জঙ্গিদের লুকিয়ে থাকার খবর মেলায় আজ সকালে অভিযানে নামে পুলিশ ও সেনার যৌথ বাহিনী। তল্লাশি অভিযান চলাকালীন আচমকা গুলি চালাতে শুরু করে বেশ কয়েকজন জঙ্গি। বাহিনীও সঙ্গে সঙ্গে কড়া জবাব দেয়। দু’পক্ষের সংঘর্ষে প্রাণ হারায় এক জঙ্গি। আপাতত এলাকায় তল্লাশি অভিযান চলছে। অন্য জঙ্গিদের খোঁজে পুলিশ ও বাহিনীর জওয়ানরা চিরুনি তল্লাশি চালাচ্ছে।
দিন কয়েক আগে জম্মু ও কাশ্মীরের উরি সেক্টরে নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে অনুপ্রবেশ ঘটানোর চেষ্টা করে জঙ্গিরা। এক অনুপ্রবেশকারীকে গুলি করে হত্যা করে সেনা। উরিতে নিয়ন্ত্রণরেখা বা লাইন অফ কন্ট্রোল পেরিয়ে বারামুল্লা জেলায় অনুপ্রবেশ ঘটানোর ছক কষেছিল জঙ্গিরা। কিন্তু তাদের সেই পরিকল্পনা বানচাল করে দেয় সেনা। বেশ কিছুক্ষণ দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ চলতে থাকে। আর তাতেই নিকেশ হয় এক জঙ্গি।
এই উরিতেই ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে সেনাঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছিল পাকিস্তানের জইশ জঙ্গিরা। ওই হামলায় নিহত হন ১৮ জন জওয়ান। টানা ছয় ঘণ্টার লড়াইয়ের পর সেনার গুলিতে নিহত হয় চার জঙ্গি।
বিশেষজ্ঞদের মতে, লোকসভা ভোটের আগে পরিকল্পনা করে উপত্যকাকে উত্তপ্ত করার ছক কষছে পাকিস্তান। জম্মু ও কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা বাতিলের পর থেকেই উত্তেজনা তৈরির চেষ্টা করছে ইসলামাবাদ। এর পিছনে চিনেরও মদত রয়েছে বলে মনে করেছেন বিশেষজ্ঞরা।
সম্প্রতি এক গোয়েন্দা রিপোর্টে বলা হয়েছে, নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর সন্ত্রাসবাদী হামলার লঞ্চিং প্যাডগুলো সক্রিয় করেছে পাক সেনা। সেখান থেকে জইশ-ই-মহম্মদ, লস্কর-ই-তইবার জঙ্গিরা ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করতে পারে।