ভারতীয় সেনার মেজর রাধিকা সেনকে (Major Radhika Sen) ‘জেন্ডার অ্যাডভোকেট’ পুরস্কারে ভূষিত করতে চলেছেন রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। বৃহস্পতিবারই এই সম্মান প্রদান করা হবে। ভারতের হিমাচলপ্রদেশের বাসিন্দা রাধিকা সেন, ২০২৩ সালের মার্চ থেকে ২০২৪ সালের এপ্রিল পর্যন্ত ইন্ডিয়ান ব়্যাপিড ডিপ্লয়মেন্ট ব্যাটালিয়নের (আইএনডিআরডিবি) জন্য এমওএনইউএসসিওর (রাষ্ট্রসংঘের স্থিতিশীলকরণ মিশনে) এনগেজমেন্ট প্লাটুনের কমান্ডার হিসাবে গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র কঙ্গোতে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
কঙ্গোর রুইন্ডি শহরের কাছে কাশলিরা গ্রামের মহিলাদেরকে, তাঁদের অধিকারের পক্ষে, বিশেষ করে স্থানীয় নিরাপত্তা এবং শান্তি আলোচনায় নিজেদেরকে সংগঠিত করতে উৎসাহিত করেছিলেন ভারতীয় সেনার মেজর রাধিকা।
২০০০ সালে রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সংকল্পের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে পুরষ্কারটি তাঁর প্রচেষ্টাকে স্বীকৃতি দেয়। এই পুরস্কারের লক্ষ্য মেয়েদের সংঘাত এবং সেই সম্পর্কিত যৌন হিংসা থেকে রক্ষা করা।
কে এই মেজর রাধিকা সেন?
* হিমাচল প্রদেশে জন্মগ্রহণকারী রাধিকা সেন বায়োটেকনোলজি ইঞ্জিনিয়র। সেই সংক্রান্ত পেশাতেই নিজের কর্মজীবন শুরু করেছিলেন। তিনি ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি বোম্বেতে থেকে তাঁর স্নাতকোত্তরে পড়ছিলেন, সেই সময়ই ভারতীয় সেনাবাহিনীতে যোগদানের সিদ্ধান্ত নেন।
* ২০২৩ সালের মার্চ থেকে ২০২৪ সালের এপ্রিল পর্যন্ত রাধিকা সেন ইন্ডিয়ান ব়্যাপিড ডিপ্লয়মেন্ট ব্যাটালিয়নের (আইএনডিআরডিবি) জন্য এমওএনইউএসসিওর (রাষ্ট্রসংঘের স্থিতিশীলকরণ মিশনে) এনগেজমেন্ট প্লাটুনের কমান্ডার হিসাবে গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র কঙ্গোতে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
* রাধিকা সেন হলেন দ্বিতীয় ভারতীয় শান্তিরক্ষী যিনি ‘মিলিটারি জেন্ডার অ্যাডভোকেট অফ দ্য ইয়ার পুরস্কার’ পাচ্ছেন৷ এর আগে ২০১৯ সালে মেজর সুমন গাওয়ানির ভারতীয় শান্তিরক্ষী হিসেবে এই সম্মানজনক পুরস্কার পেয়েছিলেন। মেজর গাওয়ানি দক্ষিণ সুদানে রাষ্ট্রসংঘ মিশনে (ইউএনএমআইএস) দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
* জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে নিয়োজিত ৬,০৬৩ জন ভারতীয় কর্মীর মধ্যে, রাধিকা সেন MONUSCO-এর মধ্যে ১,৯৫৪ জনের সঙ্গে কাজ করেছিলেন, যার মধ্যে ৩২ জন মহিলা ছিলেন। তাঁর কাজ নারীদের ঐক্যবদ্ধ করে সমস্যা নিয়ে আলোচনা করার জন্য নিরাপদ পরিবেশ তৈরি করেছে।
* রাষ্ট্রসংঘের ঘোষমা অনুসারে, ভারতীয় সেনার মেজর রাধিকা সেন গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র কঙ্গোতে (ডিআরসি) শান্তিরক্ষা প্রচেষ্টার নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। লিঙ্গ সমতার উপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছিলেন। তিনি বাচ্চাদের জন্য ইংরেজি ক্লাস এবং প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য স্বাস্থ্য ও বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণের মতো কর্মসূচির আয়োজন করেছিলেন। রাধিকা সেন উত্তর কিভুতে সংঘাত-আক্রান্ত সম্প্রদায়কে সহায়তা করে কমিউনিটি অ্যালার্ট নেটওয়ার্কও প্রতিষ্ঠা করেছেন।
Arvind Kejriwal: সুপ্রিম ধাক্কা কেজরিওয়ালের, জামিনের মেয়াদ বৃদ্ধির আবেদন নাকচ