ঘুম উড়েছে চিন-পাকিস্তানের! ভারত মহাসাগরে ক্ষমতা বাড়াচ্ছে Indian Army

ভারত মহাসাগরে ক্ষমতা বাড়াচ্ছে সেনা (Indian Army)। শত্রুদেশকে টেক্কা দিয়ে একাধিক পদক্ষেপ নিচ্ছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। নৌবাহিনীর ক্ষমতাবৃদ্ধি করার পাশাপাশি অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারও বৃদ্ধি করা হচ্ছে।…

ভারত মহাসাগরে ক্ষমতা বাড়াচ্ছে সেনা (Indian Army)। শত্রুদেশকে টেক্কা দিয়ে একাধিক পদক্ষেপ নিচ্ছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। নৌবাহিনীর ক্ষমতাবৃদ্ধি করার পাশাপাশি অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারও বৃদ্ধি করা হচ্ছে। আর এতেই চিন্তায় দুই ‘শত্রুদেশ’ – চিন-পাকিস্তান। 

প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, উত্তর আন্দামানের ডিগলিপুর এবং গ্রেট নিকোবর দ্বীপপঞ্জের ক্যাম্পবেল উপসাগরে রানওয়ে সম্প্রসারিত করা হচ্ছে। এর পাশাপাশি আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের রাজধানী তথা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলটির সবচেয়ে বড় শহর পোর্ট ব্লেয়ারের বীর সাভারকর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে শীঘ্রই রাতে অবতরণ হবে।

   

এর ফলে একদিকে যেমন পর্যটকের সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে, ঠিক তেমনই যে কোনও জরুরি প্রয়োজনে সেনা দিবারাত্র সেখানে পৌঁছে যেতে পারবে। এর পাশাপাশি ক্যাম্পবেল উপসাগরে আইএনএ বাজ-এর রানওয়ে আরও ৪০০০ ফুট বাড়ানো হবে। যার ফলে জেট সহ যুদ্ধবিমান সহজেই ওঠানামা করতে সক্ষম হবে।

উপনির্বাচনের বাকি আসনগুলিরও ভোটের দিন ঘোষণা কমিশনের

জলপথ ব্যবহার করে প্রায়ই শক্রুদেশগুলি ভারতের ওপর নজরদারি চালায়। অনেক সময় জলপথের মাধ্যমে জঙ্গিরাও দেশে প্রবেশ করে। সে-সব ঠেকাতে ৬টি নতুন রাডার আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে স্থাপন করা হবে। এর ফলে আরও ভালোভাবে সামুদ্রিক এবং আকাশপথে শত্রুপক্ষের উপর নজর রাখা সম্ভব হবে।

শুধু আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জেই নয়, লাক্ষাদ্বীপেও নজরদারি বাড়াবে ভারতীয় সেনা। লাক্ষাদ্বীপে নতুন রাডার স্থাপন হবে, ফলে নৌবাহিনীর ক্ষমতাবৃদ্ধি হবে ভারত মহাসাগরে।

এদিকে গত ৩০ এপ্রিল ভারতীয় নৌবাহিনীর প্রধান হিসেবে দায়িত্ব দেন অ্যাডমিরাল দীনেশ কুমার ত্রিপাঠী। তিনি হরি কুমারের স্থলাভিষিক্ত হন। এতদিন নৌবাহিনীর উপ–প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন দীনেশ। দায়িত্ব নিয়েই নৌবাহিনীকে আরও শক্তিশালী করে তোলার বার্তা দেন দীনেশ কুমার ত্রিপাঠী।

ভেস্তে গেল মমতার চাল! তৃণমূলকে ১০ গোল দিলেন মোদী-শাহ

তিনি বলেছিলেন, ‘‌বছরের পর বছর ধরে, নৌবাহিনী বিশ্বাসযোগ্য, ভরসাযোগ্য বাহিনীতে পরিণত হয়েছে। সামুদ্রিক ক্ষেত্রে বিদ্যমান এবং উদীয়মান চ্যালেঞ্জগুলি দেখিয়ে দিয়েছে যে ভারতীয় নৌবাহিনীকে সম্ভাব্য প্রতিপক্ষকে প্রতিহত করতে এবং সমুদ্র থেকে যুদ্ধে জয়ী হওয়ার জন্য সর্বদা প্রস্তুত। এই ধারাবাহিকতাই আমাদের বজায় রাখতে হবে।