Indian Army Prahaar Missile System: ভারতের কৌশলগত ক্ষেপণাস্ত্র ক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে, ভারতীয় সেনাবাহিনী দেশীয়ভাবে তৈরি প্রহার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থার একটি দীর্ঘ-পাল্লার সংস্করণ কেনার পরিকল্পনা করছে। পূর্বে অনুমান করা হয়েছিল যে পিনাকা এমকে-II-এর মতো ৩০০ মিমি গাইডেড রকেট সিস্টেম ১৫০ কিলোমিটার পাল্লার কৌশলগত ক্ষেপণাস্ত্রকে অপ্রয়োজনীয় করে তুলবে, কিন্তু আইডিআরডব্লিউ রিপোর্টে সূত্রের বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, প্রহারের ২০০ কিলোমিটার পাল্লার একটি সংস্করণ, যার অস্থায়ী নাম ‘Pranash’, এখন সক্রিয়ভাবে তৈরি হচ্ছে এবং সেনাবাহিনীর নজরে রয়েছে।
এই পদক্ষেপটি স্বল্প-পাল্লার যুদ্ধক্ষেত্রের পরিস্থিতিতে, বিশেষ করে পাকিস্তান ও চিনের সাথে অস্থিতিশীল সীমান্তে, তার নির্ভুল-আক্রমণ ক্ষমতা বৃদ্ধির উপর সেনাবাহিনীর অব্যাহত জোরকে তুলে ধরে। প্রহার ক্ষেপণাস্ত্র, যার বর্তমানে প্রায় ১৫০ কিলোমিটার পাল্লা রয়েছে, শত্রু কমান্ড সেন্টার, বায়ু প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এবং লজিস্টিক সেন্টারের মতো উচ্চ-মূল্যবান কৌশলগত লক্ষ্যবস্তুতে দ্রুত স্থাপন এবং নির্ভুল আঘাত হানার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে।
যুদ্ধক্ষেত্রের বাইরে থাকা সত্ত্বেও ধ্বংসযজ্ঞ চালাবে
আসন্ন প্রাণাশ সংস্করণ, যার পাল্লা প্রায় ২০০ কিলোমিটার হবে বলে আশা করা হচ্ছে, সেনাবাহিনীকে একটি অত্যন্ত কৌশলগত, রাস্তা থেকে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ করবে যা কৌশলগত এলাকায় প্রবেশ না করেই যুদ্ধক্ষেত্রের গভীরে প্রবেশ করতে সক্ষম।
ভারতীয় বায়ুসেনা প্রলয়ের অর্ডার দিয়েছে
এই উন্নয়ন এমন এক সময়ে এসেছে যখন ভারতীয় সেনাবাহিনী এবং ভারতীয় বায়ুসেনা ইতিমধ্যেই প্রলয় কৌশলগত ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের জন্য উল্লেখযোগ্য অর্ডার দিয়েছে, যা কনফিগারেশনের উপর নির্ভর করে ১৫০-৫০০ কিলোমিটার পাল্লার একটি আরও শক্তিশালী ব্যবস্থা।
সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, সেনাবাহিনী ২৫০টি প্রলয় ক্ষেপণাস্ত্রের অর্ডার দিয়েছে, আর বায়ুসেনা ১২০টি ইউনিটের অর্ডার দিয়েছে। এগুলি ভারতের উত্তর ও পশ্চিম সীমান্তে মোতায়েন করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে, যা শত্রু সামরিক ঘাঁটি এবং পরিকাঠামোর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা এবং দ্রুত আক্রমণ ক্ষমতার একটি শক্তিশালী স্তর যুক্ত করবে।