‘সুদর্শন চক্র’ ধ্বংস! পাকিস্তানের অপপ্রচারের জবাবে কী বলল ভারতীয় সেনা

সম্প্রতি ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে (Indian-Army-clarified) উত্তেজনা আবারও চরমে পৌঁছেছে। এমন পরিস্থিতিতে পাকিস্তানের তরফে একটি বিতর্কিত দাবি তুলে ধরা হয়েছে, যা ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে আন্তর্জাতিক মহলেও। পাকিস্তান…

Indian Army Denies Pakistan’s Claim, Confirms S-400 Air Defence System Fully Operational

সম্প্রতি ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে (Indian-Army-clarified) উত্তেজনা আবারও চরমে পৌঁছেছে। এমন পরিস্থিতিতে পাকিস্তানের তরফে একটি বিতর্কিত দাবি তুলে ধরা হয়েছে, যা ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে আন্তর্জাতিক মহলেও। পাকিস্তান (Indian-Army-clarified) দাবি করেছে, ভারতের অন্যতম শক্তিশালী এয়ার ডিফেন্স (Indian-Army-clarified) সিস্টেম, এস-৪০০ ধ্বংস করে দিয়েছে তারা। যদিও ভারতীয় সেনা সেই (Indian-Army-clarified) দাবি পুরোপুরি খারিজ করে দিয়েছে এবং জানিয়েছে, এই প্রচার সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও মিথ্যাচার।

শুক্রবার রাত থেকেই পাকিস্তানের (Indian-Army-clarified) বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট ও সংবাদমাধ্যমে এই ধরনের ভুয়ো খবর ছড়াতে থাকে। সেখানে বলা হয়, পাকিস্তান (Indian-Army-clarified) ভারতের এস-৪০০ এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমকে লক্ষ্য করে হামলা চালিয়ে তা ধ্বংস করেছে। এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই আন্তর্জাতিক স্তরেও বিভ্রান্তি তৈরি হয়। তবে শনিবার সকালে এক সাংবাদিক (Indian-Army-clarified) সম্মেলনে ভারতীয় সেনার (Indian-Army-clarified) আধিকারিকরা স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেন, এই দাবি মিথ্যা এবং পাকিস্তানের অপপ্রচারের অংশমাত্র।

   

দিল্লিতে বিদেশ মন্ত্রকের সচিব বিক্রম মিস্রির উপস্থিতিতে সাংবাদিকদের সামনে বক্তব্য রাখেন উইং কমান্ডার ব্যোমিকা সিং এবং কর্নেল সোফিয়া কুরেশি। তাঁরা বলেন, “ভারতের নিরাপত্তা (Indian-Army-clarified) ব্যবস্থা সম্পূর্ণ সুরক্ষিত এবং পাকিস্তানের মিথ্যে প্রচার কেবল বিভ্রান্তি ছড়ানোর জন্য।” এই বক্তব্যের মাধ্যমে ভারতীয় সেনা (Indian-Army-clarified) তাদের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার ওপর ভরসা রাখার বার্তা দিল বিশ্ববাসীকে।

এস-৪০০ কী এবং কেন এত গুরুত্বপূর্ণ?

এস-৪০০ ট্রায়াম্ফ, যা ভারতের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় ‘সুদর্শন চক্র’ (Indian-Army-clarified) নামে পরিচিত, রাশিয়া থেকে কেনা একটি অতি আধুনিক এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম। এটি বিশ্বের অন্যতম সেরা আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা হিসেবে পরিচিত। ভারত এই সিস্টেম ব্যবহার করে জম্মু ও কাশ্মীর, পাঞ্জাব (Indian-Army-clarified) এবং রাজস্থান সীমান্তে পাকিস্তানের একাধিক ড্রোন ও মিসাইল হামলা প্রতিহত করতে সফল হয়েছে।

এই সিস্টেমের সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য হল এর বহু লক্ষ্য চিহ্নিত (Indian-Army-clarified) করার ক্ষমতা। এস-৪০০ একসঙ্গে প্রায় ৮০টি লক্ষ্য শনাক্ত করতে পারে এবং ৩৬টি লক্ষ্যবস্তুতে (Indian-Army-clarified) একযোগে আঘাত হানতে সক্ষম। এমনকি ৬০০ কিলোমিটার দূরের শত্রু বিমান বা মিসাইল সনাক্ত করে ৪০০ কিলোমিটার দূর থেকে তা ধ্বংস করতে পারে।

Advertisements

এই শক্তিশালী প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা থাকার ফলে ভারতের আকাশসীমা (Indian-Army-clarified) অনেকটাই নিরাপদ হয়েছে। বিশেষত পাকিস্তান ও চীনের মতো প্রতিদ্বন্দ্বী রাষ্ট্রের কাছ থেকে আসা হুমকির মুখে এস-৪০০ ভারতের প্রতিরক্ষার অন্যতম মূল স্তম্ভ হয়ে উঠেছে।

পাকিস্তানের প্রচার যুদ্ধ ও ভারতের জবাব

পাকিস্তানের (Indian-Army-clarified) এই ভুয়ো প্রচার নিঃসন্দেহে এক ধরনের ‘ইনফরমেশন ওয়ারফেয়ার’-এর অংশ। তথ্যের ভিত্তিতে যুদ্ধ করার এই রীতি এখন প্রচলিত হয়ে উঠেছে, যেখানে সত্যকে আড়াল করে ভুয়ো তথ্য দিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি করা হয়। কিন্তু ভারতের প্রতিরক্ষা দফতর এবং সেনাবাহিনীর তৎপরতায় সেই প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে।

ভারতীয় সেনা স্পষ্ট করেছে যে এস-৪০০ সিস্টেম সম্পূর্ণ সচল এবং কার্যকরভাবে কাজ করছে। পাকিস্তানের দাবি নিছক মিথ্যাচার ছাড়া কিছুই নয়। এই ঘটনা আবারও প্রমাণ করে দিল যে, শক্তি নয়, তথ্য নিয়েই এখন বড় যুদ্ধ চলছে।

এস-৪০০ ধ্বংসের পাকিস্তানি দাবি কেবল মিথ্যা নয়, বরং এটি ছিল ভারতের (Indian-Army-clarified) প্রতিরক্ষা সক্ষমতা নিয়ে আন্তর্জাতিক স্তরে সন্দেহ তৈরি করার একটি পরিকল্পিত চক্রান্ত। কিন্তু ভারতীয় সেনা ও সরকারের তৎপরতায় সেই অপচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। ভারতের সুদৃঢ় ও আধুনিক প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার ওপর ভরসা রেখেই দেশবাসী নিশ্চিন্ত থাকতে পারে।