Indian airforce laser weapon: ভারতীয় সেনাবাহিনী এবং ভারতীয় বায়ুসেনা এখন তাদের বায়ু নিরাপত্তা জোরদার করার জন্য কোনও কসরত ছাড়ছে না। বিশ্বজুড়ে নতুন বায়ু হুমকি, ড্রোন এবং মানবহীন বিমানবাহী যান (UAV) এর প্রেক্ষিতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই হুমকি মোকাবিলা করার জন্য, ভারত একটি বিশেষ দেশীয় অস্ত্র কিনতে চলেছে। এই ১০ কিলোওয়াট ডাইরেক্ট এনার্জি ওয়েপন সিস্টেম এমন একটি অস্ত্র যা শত্রুর ড্রোনকে বাতাসে পুড়িয়ে ছাই করে দেবে।
ডিআরডিও’র ১০ কিলোওয়াট ‘দেবাস্ত্র’
দেশের বায়ু নিরাপত্তা জোরদার করার জন্য ভারতীয় সেনাবাহিনী এবং আইএএফ দেশীয়ভাবে নির্মিত ১০ কিলোওয়াট ডাইরেক্ট এনার্জি ওয়েপন সিস্টেমের জন্য একটি অর্ডার দিতে চলেছে। এই শক্তিশালী সিস্টেমটি ডিআরডিও দ্বারা তৈরি করা হয়েছে এবং এটি লারসেন অ্যান্ড টুব্রো কোম্পানি দ্বারাও তৈরি করা হচ্ছে। এই ১০ কিলোওয়াট ডিইডব্লিউ সিস্টেমটি বিদ্যুতের শক্তি অর্থাৎ ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক শক্তি ব্যবহার করে কমপক্ষে দুই কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তু ধ্বংস করতে পারে।
অপারেশন সিঁদুরের পর প্রস্তুতি
বিশেষ করে ২০২৫ সালের মে মাসের প্রথম দিকে সংঘটিত ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর পরে এই ধরনের ব্যবস্থার প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। এই অভিযানে, পহেলগামে জঙ্গি হামলার পর ভারতীয় সেনাবাহিনী পাক-অধিকৃত কাশ্মীরে সন্ত্রাসীদের আস্তানা ধ্বংস করে। এই অভিযানে নিচু উড়ন্ত ড্রোন কতটা বিপজ্জনক তা প্রকাশ পেয়েছে।
এই ‘লেজার অস্ত্র’ কীভাবে কাজ করবে?
এই ১০ কিলোওয়াট ডিউ সিস্টেমটি এক ধরণের ‘লেজার অস্ত্র’। এটি সুনির্দিষ্ট আক্রমণ করতে সক্ষম এবং একই সাথে একাধিক লক্ষ্যবস্তু ধ্বংস করতে পারে। এটি তার সরাসরি শক্তি ব্যবহার করে বাতাসে ড্রোন এবং অন্যান্য আকাশ হুমকি ধ্বংস করতে পারে। একই সাথে, DEW সিস্টেমটি পুরনো অস্ত্রের তুলনায় সস্তা হতে পারে, কারণ এর জন্য বারবার ব্যয়বহুল বোমার প্রয়োজন হয় না।
আত্মনির্ভর ভারতের বাড়তে থাকা শক্তি
ভারতীয় সেনাবাহিনীর সফল পরীক্ষার পর DEW সিস্টেম কেনার এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আত্মনির্ভর ভারতের অধীনে দেশে প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি তৈরির বাড়তে থাকা শক্তি এটি। রিপোর্ট অনুসারে, এই আদেশটি বৃহৎ পরিসরে। এমন পরিস্থিতিতে, উৎপাদন দ্রুততর করার জন্য ডিআরডিও আরও কোম্পানির সাথে হাত মিলিয়ে কাজ করতে পারে, যাতে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব প্রয়োজনীয় সকল স্থানে এই সিস্টেমটি স্থাপন করা যায়। বিশেষ করে পাকিস্তানের সীমান্তের কাছে, যেখানে উত্তেজনার সময় বিমান হামলার হুমকি থাকে।