Drone: ভারত কেবল উন্নত ক্ষেপণাস্ত্রের মজুদ তৈরি করছে না বরং এমন ড্রোনও তৈরি করছে যা ভবিষ্যতে যুদ্ধ পরিচালনার পদ্ধতি বদলে দেবে। এই প্রেক্ষাপটে, ভারতের একটি স্টার্টআপ কোম্পানি এমন একটি ড্রোন তৈরি করেছে যা এভারেস্টের উচ্চতা পর্যন্ত উড়তে সক্ষম। আসুন জেনে নেওয়া যাক কে এই রেকর্ড গড়েছেন এবং ড্রোনটির শক্তি কী।
হিমালয়ে ঐতিহাসিক ড্রোন উড়ান
রিপোর্ট অনুসারে, কালাম ল্যাবস নামে একটি ভারতীয় স্টার্টআপ হিমালয়ের তুষারাবৃত চূড়ার উপর দিয়ে একটি সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয় ড্রোন সফলভাবে উড়িয়েছে। এই ছোট ড্রোনটি ৯,৭৯০ মিটার উচ্চতায় পৌঁছেছিল যেখানে বাতাস খুব কম এবং তাপমাত্রা মারাত্মক।
৪ কেজিরও কম ওজনের এবং ২ মিটারেরও কম ডানার বিস্তারের এই ড্রোনটি ইতিহাস তৈরি করেছে। এটি ২,৭০০ মিটার উচ্চতা থেকে উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল, এরপর এটি ৭,০০০ মিটারেরও বেশি উপরে উঠে অবশেষে ৯,৭৯০ মিটারের রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছেছিল।
কঠোর আবহাওয়াতেও প্রাণঘাতী
এই উড্ডয়নের সময় ড্রোনটি অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছিল। উৎক্ষেপণস্থলের তাপমাত্রা ছিল +২০° সেলসিয়াস, যা সর্বোচ্চ উচ্চতায় -৬০° সেলসিয়াসে নেমে আসে। ৫০ কিমি/ঘন্টার বেশি বেগে তীব্র বাতাস এবং বায়ুমণ্ডলীয় চাপ ৭৩% হ্রাস সত্ত্বেও, ড্রোনটি তার স্থিতিশীলতা এবং নিয়ন্ত্রণ বজায় রেখেছিল।
ভারতীয় বায়ুসেনা নতুন শক্তি পাবে
বর্তমানে, ভারতীয় সেনাবাহিনী এবং বায়ুসেনা গোয়েন্দা ও যুদ্ধের জন্য ড্রোনের উপর নির্ভরতা বৃদ্ধি করছে, এমন পরিস্থিতিতে এই ড্রোন ভারতীয় বায়ুসেনার জন্য একটি নতুন প্রাণঘাতী অস্ত্র হিসেবে প্রমাণিত হবে। যা কঠিন আবহাওয়া এবং দুর্গম এলাকায় অভিযানে নতুন শক্তি যোগাবে।
কালাম ল্যাবসের এই ইউএভিটি এমকিউ-৯ রিপারের মতো বৃহত্তর ড্রোনের মতো একই উচ্চতায় কাজ করতে পারে, তবে এটি কম ব্যয়বহুল এবং সম্পূর্ণরূপে ভারতে তৈরি, যা দেশের প্রতিরক্ষা ক্ষমতাকে শক্তিশালী করবে এবং ‘আত্মনির্ভর ভারত’-এর লক্ষ্যকেও এগিয়ে নেবে।