নতুন বছরেই S-400 মিসাইলের তৃতীয় স্কোয়াড্রন পাবে ভারতীয় বায়ুসেনা

ইউক্রেন-রাশিয়ার সম্পর্ক একেবারেই মাটিতে গিয়ে মিশেছে। দুই দেশের মধ্যে বিরোধ এখন চলমান। তবে এরই মাঝে আগামী বছরের জানুয়ারি ফেব্রুয়ারি থেকে ভারতে S-400 এয়ার ডিফেন্স মিসাইল…

নতুন বছরেই S-400 মিসাইলের তৃতীয় স্কোয়াড্রন পাবে ভারতীয় বায়ুসেনা

ইউক্রেন-রাশিয়ার সম্পর্ক একেবারেই মাটিতে গিয়ে মিশেছে। দুই দেশের মধ্যে বিরোধ এখন চলমান। তবে এরই মাঝে আগামী বছরের জানুয়ারি ফেব্রুয়ারি থেকে ভারতে S-400 এয়ার ডিফেন্স মিসাইল সিস্টেমের তৃতীয় স্কোয়াড্রন সরবরাহ শুরু করবে রাশিয়া। নতুন বছরেই ভারতীয় বায়ুসেনার(Indian Airforce) হাতে এসে পৌঁছাবে এস ৪০০ মিসাইল এর তৃতীয় স্কোয়াড্রন।

সূত্রে খবর, সরবরাহের বিষয়ে দুই দেশের মধ্যে একমাত্র সমস্যা হলো রাশিয়ার সাথে আর্থিক লেনদেনের ওপর আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার পরিপ্রেক্ষিতে অর্থ প্রদান করা। ভারত ইতিমধ্যেই ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থার প্রথম দুটি স্কোয়াড্রন চালু করেছে। প্রথম দুটি স্কোয়াড্রন পশ্চিমবঙ্গ এবং সমগ্র উত্তর পূর্ব অঞ্চলের সংবেদনশীল চিকেন স্নেক করিডোরসহ লাদাখ সেক্টরের পর্যবেক্ষণের জন্য মোতায়েন করা হয়েছে।

বিভিন্ন রেঞ্জে ক্ষেপণাস্ত্র সহ সিস্টেমটি শত্রুর ব্যালিস্টিক এবং ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র, ফাইটার এয়ারক্রাফ্ট এবং ৪০০ কিলোমিটার পর্যন্ত দূরত্বে উড়তে পারে এমন একটি মানুষবিহীন বিমান। ভারত তিন বছরের মধ্যে রাশিয়ার থেকে S-400 এয়ার ডিফেন্স মিসাইলের ৫ টি স্কোয়াডন নেওয়ার জন্য ৩৫ হাজার কোটি টাকারও বেশি মূল্যের একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে এবং আগামি আর্থিক বছরের শেষ নাগাদ সমস্ত ইউনিটের সরবরাহ শেষ হবে বলে আশা করা যায়।

Advertisements

ইসরায়েলি স্পাইডার দ্রুত প্রতিক্রিয়া সারফেস এয়ার মিসাইল সিস্টেমের পাশাপাশি এস- 400 ও ভারতীয় বায়ুসেনার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং পরিস্থিতি পরিবর্তনকারী বলে মনে করা হচ্ছে। যা কয়েক বছরে দেশীয় এমআর-এসএএম এবং আকাশ মিসাইল সিস্টেমের আগমনের সাথে সাথে আকাশপথে প্রতিরক্ষায় দিক থেকে ভারতীয় বায়ুসেনাকে আরো শক্তিশালী করেছে।

 S- 400 মিসাইল সিস্টেমগুলিও বিভিন্ন মহড়া অংশ নিয়েছে এবং বিভিন্ন প্রতিপক্ষ ভারতীয় সিস্টেমের অতিরিক্ত সক্ষমতা সম্পর্কে এখন যথেষ্ট সচেতন হয়েছে। প্রসঙ্গত, বর্তমানে ভারত ও চিন দুই দেশই তাদের নিজ নিজ এস- ৪০০ এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম লাইন অফ অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোল বরাবর মোতায়েন করেছে। ক্ষেপণাস্ত মোতায়নে পরিকল্পনা এমনভাবে করা হচ্ছে যাতে চিনের সাথে সমগ্র উত্তর থেকে পূর্ব সেক্টর ভারতীয় প্রতিরক্ষা বাহিনীর নজরদারির আওতায় থাকে। রাশিয়ানরা যারা চলমানের আন্তর্জাতিক পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে কোন সুযোগ নিচ্ছে না, তাদের দ্বারা সিস্টেমটি আকাশ ও সমুদ্রপথে ভারতে পরিবহন করা হচ্ছে।