Indian Air Force: ভারত ক্রমাগত তার সামরিক সক্ষমতা জোরদার করছে। এই সিরিজে, ভারতীয় বায়ুসেনার সুখোই-30 এমকেআই ফ্রন্টলাইন ফাইটার এয়ারক্রাফ্ট AESA রাডার, দূরপাল্লার অস্ত্র এবং একটি ইলেকট্রনিক ওয়ারফেয়ার স্যুট (EWS) দিয়ে সজ্জিত থাকবে, এয়ার টু সারফেস মিসাইল রুদ্রম-II দীর্ঘ পাল্লার Astra-3 ক্ষেপণাস্ত্রের সাথে আপগ্রেড করা হবে। এই আপগ্রাডগুলো করা হবে যাতে সুখোই বিমানের আকাশ যুদ্ধের ক্ষমতা আগামী 30 বছর ধরে থাকে।
84টি সুখোই বিমানের জন্য রাডার এবং অস্ত্র আপগ্রেডের সিদ্ধান্ত ইতিমধ্যেই ঘোষণা করা হয়েছে, যার মধ্যে কয়েকটি ইতিমধ্যে পরীক্ষা করা হয়েছে এবং বাকিগুলির উপর কাজ করা হচ্ছে।
2024 সালের মে মাসে, ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (DRDO) Su-30MKI প্ল্যাটফর্ম থেকে রুদ্রম-II এয়ার-টু-সার্ফেস মিসাইল সফলভাবে পরীক্ষা করেছে। এই পরীক্ষাটি প্রমাণ করেছে যে এই ক্ষেপণাস্ত্রটিকে “সুপার সুখোই” প্রোগ্রামে আপগ্রেড করা যেতে পারে। আগামী দিনে, রুদ্রম-২ ক্ষেপণাস্ত্র সুখোই বিমানে স্থাপন করা হবে যাতে আমাদের বায়ু সেনা আকাশে থাকাকালীন শত্রুর অবস্থান, ট্যাঙ্ক এবং অস্ত্রকে লক্ষ্যবস্তু করতে পারে।
দুই ধাপে আপগ্রেডিং প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে
সুখোই উড়োজাহাজ আপগ্রেড করার প্রক্রিয়া দুটি ধাপে সম্পন্ন হবে এবং এটি সম্পূর্ণ হতে প্রায় 15 বছর সময় লাগবে। প্রথম পর্যায়ে, নতুন এভিওনিক্স, অস্ত্র ব্যবস্থা, প্রাণঘাতী ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা এক প্ল্যাটফর্মে আনা হবে এবং সেগুলি সুখোই বিমানে স্থাপন করা হবে। এর পরে, দ্বিতীয় পর্যায়ে, সুখোই-৩০ এমকেআই বিমানের ইঞ্জিন কর্মক্ষমতা এবং যুদ্ধ ক্ষমতা বাড়ানো হবে যাতে সুখোই-৩০ এমকেআই বিমান ভারতীয় বায়ু সেনার সমস্ত প্রয়োজনীয়তা পূরণ করতে পারে। তাদের অগ্নিশক্তির পরিপ্রেক্ষিতে, সুপার সুখোই বিমান অন্তত 2055 সাল পর্যন্ত ভারতের আকাশ প্রতিরক্ষা কৌশলের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে থাকবে।
সুখোই বিমানে উন্নত ইলেকট্রনিক ওয়ারফেয়ার সিস্টেম স্থাপন তাদের যুদ্ধ ক্ষমতা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি করবে। এই সিস্টেমটি বিমানকে শত্রু রাডার এবং যোগাযোগ ব্যবস্থা ব্যাহত করতে সক্ষম করে, যার ফলে বিমানের নিরাপত্তা এবং কার্যকারিতা বৃদ্ধি পায়।
রাডার জ্যামিং: এই কৌশলটি শত্রু রাডার সংকেত ব্যাহত করতে ব্যবহার করা হবে, যার ফলে শত্রু রাডার সিস্টেম বিমান সনাক্ত করতে অক্ষম হবে।
কমিউনিকেশন জ্যামিং: এই কৌশলটি শত্রুর যোগাযোগ ব্যবস্থাকে ব্যাহত করার জন্য ব্যবহার করা হবে, যার ফলে শত্রুর যোগাযোগ ব্যবস্থা ব্যর্থ হবে।
ইলেকট্রনিক ইন্টেলিজেন্স: এই প্রযুক্তিটি শত্রুর ইলেকট্রনিক সিস্টেম বিশ্লেষণ করতে ব্যবহৃত হয়, যার ফলে বিমানটি শত্রুর সিস্টেম সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেতে পারে।
নতুন প্রজন্মের অ্যাভিওনিক্স: নতুন প্রজন্মের অ্যাভিওনিক্স ব্যবহার করা হবে সুপার সুখোই-এ উড়োজাহাজের উড্ডয়ন ক্ষমতা এবং যুদ্ধ ক্ষমতা উন্নত করতে।
সুখোই বিমানে আপগ্রেড করা নতুন রাডার সিস্টেম উন্নত ট্র্যাকিং ক্ষমতা, লক্ষ্য শনাক্তকরণ এবং লক্ষ্য ধ্বংস করার ক্ষমতাও বাড়াবে। বর্তমানে রাডার সিস্টেমের ক্ষমতা 1.5 যা বেড়ে 1.7 হবে।
সুপার সুখোই বিমানে অ্যাস্ট্রা 3 মিসাইল বসানো হবে
Astra 3 মিসাইল হল একটি উন্নত, বিয়ন্ড ভিজ্যুয়াল রেঞ্জ (BVR) এয়ার-টু-এয়ার ক্ষেপণাস্ত্র যা DRDO দ্বারা তৈরি করা হয়েছে। এই ক্ষেপণাস্ত্রটি দূর পাল্লা থেকে শত্রুর বিমানকে লক্ষ্যবস্তু করতে সক্ষম এবং ভারতীয় বায়ুসেনার আকাশ থেকে আকাশে ক্ষেপণাস্ত্রের সক্ষমতা উন্নত করবে। Astra 3 ক্ষেপণাস্ত্রের সীমা 350 কিলোমিটারেরও বেশি, যা এটি দূর পাল্লা থেকে শত্রুর বিমানকে লক্ষ্যবস্তু করতে সক্ষম করে তোলে। Astra 3 ক্ষেপণাস্ত্রের একটি উন্নত নির্দেশিকা ব্যবস্থা রয়েছে, যা এটি শত্রু বিমানকে সঠিকভাবে লক্ষ্যবস্তু করতে দেয়। এই ক্ষেপণাস্ত্র একাধিক লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম।
শত্রু রাডার সিস্টেম টার্গেট করতে সক্ষম
সুখোই বিমানে এয়ার টু সারফেস মিসাইল রুদ্রম-২ বসালে অনেক সুবিধা হবে। এই ক্ষেপণাস্ত্র শত্রুর রাডার সিস্টেম এবং যোগাযোগ সুবিধাগুলিকে লক্ষ্যবস্তু করতে সক্ষম, যার ফলে শত্রুর বিমান প্রতিরক্ষা দুর্বল হয়ে পড়ে। উপরন্তু, রুদ্রম-২ ক্ষেপণাস্ত্রের স্ট্রাইক রেঞ্জ 300 কিলোমিটারেরও বেশি, যা এটি দূর পাল্লা থেকে শত্রুর লক্ষ্যবস্তুকে লক্ষ্যবস্তু করতে সক্ষম করে তোলে। এই ক্ষেপণাস্ত্রটি সুখোই বিমান থেকে উৎক্ষেপণ করা যেতে পারে, যা এটিকে একটি শক্তিশালী অস্ত্রে পরিণত করে।