পাকিস্তানের সাত সামরিক ঘাঁটি উড়িয়ে দিয়েছে ভারত: সেনা

নয়াদিল্লি: ভারতের পশ্চিম সীমান্তে পাকিস্তানের ধারাবাহিক উসকানিমূলক হামলার পর পাল্টা প্রতিরোধ হিসেবে ভারতীয় বায়ুসেনা আজ পাকিস্তানের একাধিক কৌশলগত সামরিক স্থাপনায় সুনির্দিষ্ট বিমান হামলা চালিয়েছে। সরকারের…

Indian Air Force Strikes Pakistan

নয়াদিল্লি: ভারতের পশ্চিম সীমান্তে পাকিস্তানের ধারাবাহিক উসকানিমূলক হামলার পর পাল্টা প্রতিরোধ হিসেবে ভারতীয় বায়ুসেনা আজ পাকিস্তানের একাধিক কৌশলগত সামরিক স্থাপনায় সুনির্দিষ্ট বিমান হামলা চালিয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই অভিযান পরিকল্পিত, নিয়ন্ত্রিত এবং একান্তভাবে সামরিক লক্ষ্যবস্তু কেন্দ্রিক, যাতে বেসামরিক স্থাপনায় কোনও ক্ষতি না হয়।

আজ নয়াদিল্লিতে এক উচ্চপর্যায়ের সরকারি ব্রিফিংয়ে বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রি, কর্নেল সোফিয়া কুরেশি এবং উইং কমান্ডার ব্যোমিকা সিং জানান, পাকিস্তান প্রথমে ড্রোন, লোটারিং মিউনিশন, দূরপাল্লার অস্ত্র ও যুদ্ধবিমান ব্যবহার করে ভারতের বেসামরিক এলাকা এবং সামরিক ঘাঁটিগুলিকে লক্ষ্য করে আক্রমণ চালায়। তারই প্রতিক্রিয়ায় ভারত এই সামরিক পদক্ষেপ নেয়।

   

নির্দিষ্ট সামরিক স্থাপনায় নিখুঁত হামলা

ভারতীয় বায়ুসেনা যেসব স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে তার মধ্যে রয়েছে—রফিকি, মুরিদ, চাকলালা এবং রহিম ইয়ার খানের বিমান ঘাঁটি। এ ছাড়া লক্ষ্যবস্তু ছিল সুক্কুর ও চুনিয়ার সামরিক পরিকাঠামো, পাসরুরের রাডার সাইট এবং শিয়ালকোটের অ্যাভিয়েশন বেস। এয়ার-লঞ্চড প্রিসিশন অস্ত্রের মাধ্যমে এসব আক্রমণ চালানো হয়।

উইং কমান্ডার সিং বলেন, “এই পদক্ষেপ ছিল প্রতিরোধাত্মক এবং পুরোপুরি নিয়ন্ত্রিত। শুধুমাত্র শত্রুপক্ষের সামরিক ক্ষমতা দুর্বল করার লক্ষ্যে নির্ধারিত অবকাঠামোগুলিতে আঘাত হানা হয়েছে। বেসামরিক এলাকায় ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করা হয়।”

পাকিস্তানের হামলায় স্কুল ও চিকিৎসাকেন্দ্র ক্ষতিগ্রস্ত Indian Air Force Strikes Pakistan

ব্রিফিংয়ে আরও জানানো হয়, পাকিস্তানের হামলায় ভারতের উধমপুর, পাঠানকোট, আদমপুর ও ভুজ বিমানঘাঁটিতে আংশিক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এর পাশাপাশি একটি চিকিৎসাকেন্দ্র এবং একটি বিদ্যালয়ে আঘাত হানা হয়, যা ভারতের মতে “কাপুরুষোচিত এবং নিন্দনীয়”।

ভুয়া প্রচারে পাকিস্তান, জবাবে ভারতের স্যাটেলাইট প্রমাণ

পাকিস্তানের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে যে তারা ভারতের এস-৪০০ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, নাগরোটার ব্রহ্মোস ঘাঁটি, চণ্ডীগড়ের অস্ত্রাগার এবং সুরতগড় ও সিরসার বিমানঘাঁটি ধ্বংস করেছে। ভারত এই দাবিগুলোকে “সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন এবং অপপ্রচারমূলক” বলে প্রত্যাখ্যান করেছে। উইং কমান্ডার সিং বলেন, “পাকিস্তানের মিথ্যা প্রচারের জবাবে আমরা টাইম-স্ট্যাম্পযুক্ত স্যাটেলাইট ছবি উপস্থাপন করেছি, যা বাস্তব পরিস্থিতিকে স্পষ্টভাবে তুলে ধরে।”

সীমান্তে উত্তেজনা, সেনা মোতায়েন করছে পাকিস্তান

পাকিস্তান সেনাবাহিনী সীমান্ত এলাকায় অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েন করছে এবং সীমান্ত বরাবর ভারী গোলাবর্ষণ চালিয়ে যাচ্ছে। ভারতীয় সেনা সূত্র জানিয়েছে, সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে এবং প্রয়োজন অনুযায়ী ‘কার্যকর ও পরিমিত প্রতিক্রিয়া’ দেওয়া হচ্ছে।

ভারতের বার্তা স্পষ্ট—উত্তেজনা নয়, আত্মরক্ষায় আপস নয়

সংবাদ সম্মেলনের শেষ পর্যায়ে উইং কমান্ডার ব্যোমিকা সিং বলেন, “ভারত উত্তেজনা চায় না। কিন্তু আত্মরক্ষার প্রশ্নে কোনও রকম ছাড় দেওয়া হবে না। শান্তির পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে হলে উসকানিমূলক আচরণ বন্ধ করতেই হবে।”

 Bharat: Indian Air Force conducts precision strikes on key Pakistani military installations (airbases, radar sites) in response to sustained provocations. Operation targets military assets, avoids civilian damage.

Advertisements