নয়াদিল্লি, ৩০ অক্টোবর: ভারতীয় বিমান বাহিনীর (Indian Air Force) বিমান শক্তি বজায় রাখার জন্য জরুরিভাবে বিপুল সংখ্যক যুদ্ধবিমানের প্রয়োজন। ভারত ১১৪টি বহুমুখী যুদ্ধবিমান এবং অন্যান্য দেশীয় যুদ্ধবিমানে বিনিয়োগের প্রস্তুতি নিচ্ছে। ইতিমধ্যে, কিছু গুরুত্বপূর্ণ খবর উঠে এসেছে। IDRW-এর একটি প্রতিবেদন অনুসারে, ভারতীয় বিমান বাহিনী ধীরে ধীরে তাদের বহরে ২০০টি দেশীয় তেজস মার্ক-II যুদ্ধবিমান (Tejas Mk-2) অন্তর্ভুক্ত করার লক্ষ্য নিয়েছে। এই বৃহৎ পরিকল্পনার লক্ষ্য হলো পুরনো যুদ্ধবিমান প্রতিস্থাপন করা এবং দেশীয় বিমানের প্রতি আস্থা তৈরি করা।
এই প্রকল্পের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল উৎপাদনে বিলম্ব এড়াতে, বিমান বাহিনী এখন বিমানের মধ্যেই অস্ত্র সংহতকরণের কাজটি হাতে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এটি একটি কৌশলগত পরিবর্তন যা তেজস মার্ক-২ কে সময়মতো প্রস্তুত করতে সক্ষম করবে।
২০০টি তেজস মার্ক-২ বিমান সংগ্রহ
তেজস মার্ক-২ ভারতীয় বিমান বাহিনীর বহরে মিরাজ ২০০০, জাগুয়ার এবং মিগ-২৯ এর মতো পুরনো বিমান প্রতিস্থাপনের জন্য তৈরি করা হয়েছে। এটি হবে ৪.৫ তম প্রজন্মের মাল্টিরোল যুদ্ধবিমান, যা এর পূর্ববর্তী সংস্করণ তেজাস মার্ক-আই-এর চেয়ে বড়, ভারী এবং আরও শক্তিশালী হবে।
বিলম্ব এড়াতে নতুন কৌশল
এটি আরও অস্ত্র বহন করতে এবং দীর্ঘ দূরত্বে উড়তে সক্ষম হবে। কর্মসূচিতে বিলম্ব দূর করতে, বিমান বাহিনী এখন অস্ত্রের একীকরণের সরাসরি তত্ত্বাবধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সাধারণত, এই কাজটি বিমান প্রস্তুতকারক সংস্থা HAL এবং DRDO যৌথভাবে করে, তবে IAF-এর এই হস্তক্ষেপ নিশ্চিত করবে যে বিমানের সরবরাহ দ্রুত এবং কোনও বাধা ছাড়াই সম্পন্ন হবে।
তেজস মার্ক-২ এর বিশেষ বৈশিষ্ট্য
তেজস মার্ক-২ হবে একটি মাঝারি পাল্লার যুদ্ধবিমান, যা বিভিন্ন দিক থেকে মার্ক-১ এর চেয়ে উন্নত। এই বিমানটি মার্ক I এর চেয়ে লম্বা এবং ভারী হবে, যার ফলে এটি আরও বেশি জ্বালানি এবং অস্ত্র বহন করতে পারবে। এতে আমেরিকান GE F414 এর মতো আরও শক্তিশালী ইঞ্জিন থাকবে, যা এটিকে আরও ভালো থ্রাস্ট এবং উড্ডয়ন কর্মক্ষমতা দেবে।
এতে একটি উন্নত রাডার সিস্টেম থাকবে, যা দূর থেকে শত্রু বিমান এবং ক্ষেপণাস্ত্র সনাক্ত এবং ট্র্যাক করতে সক্ষম হবে। মার্ক II এর অস্ত্র বহন ক্ষমতাও উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাবে, যার ফলে এটি দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র এবং নির্ভুল-নির্দেশিত যুদ্ধাস্ত্র বহন করতে পারবে।
বিমান বাহিনীর এই পরিকল্পনা কেবল দেশের বায়ু প্রতিরক্ষা ক্ষমতাই শক্তিশালী করবে না বরং ভারতের প্রতিরক্ষা উৎপাদনও বৃদ্ধি করবে, যা স্বনির্ভর ভারতের দিকে একটি বড় সাফল্য হবে।



