নয়াদিল্লি, ১৬ অক্টোবর: ভারত চিনকে ছাড়িয়ে বিশ্বের তৃতীয় শক্তিশালী বিমান বাহিনীতে (Indian Air Force) পরিণত হয়েছে। ওয়ার্ল্ড ডিরেক্টরি অফ মডার্ন মিলিটারি এয়ারক্রাফ্ট (WDMMA) র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষে রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, তারপরেই রয়েছে রাশিয়া। চিন এখন চতুর্থ স্থানে পৌঁছেছে। পূর্বে চিন তৃতীয় স্থানে ছিল এবং ভারত চতুর্থ স্থানে ছিল। তবে, ভারত এবার চিনকে ছাড়িয়ে গেছে (Indian Air Force Ranking)।
‘র্যাঙ্কিংয়ে কটি দেশ এবং বিমান বাহিনী অন্তর্ভুক্ত?’
ভারতের বাড়তে থাকা বায়ু শক্তি এশিয়ার কৌশলগত ভারসাম্যে একটি বড় পরিবর্তনের ইঙ্গিত দেয়। WDMMA র্যাঙ্কিংয়ে ১০৩টি দেশ এবং ১২৯টি বিমান বাহিনী অন্তর্ভুক্ত, যার মধ্যে সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী এবং নৌ বিমান চলাচল শাখা অন্তর্ভুক্ত। এই র্যাঙ্কিং বিশ্বব্যাপী মোট ৪৮,০৮২টি বিমানের উপর নজর রাখে। সামরিক কৌশলে বিমান শক্তিকে একটি নির্ধারক উপাদান হিসেবে বিবেচনা করা হয় এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে।
ভারতীয় বিমান বাহিনীর রেটিং
ভারতীয় বিমান বাহিনীর TruVal Rating (TVR) ৬৯.৪। এই রেটিং কেবল বিমানের সংখ্যাই নয়, আক্রমণাত্মক এবং প্রতিরক্ষামূলক ক্ষমতা, লজিস্টিক সহায়তা, আধুনিকীকরণ এবং অপারেশনাল প্রশিক্ষণের মতো বিষয়গুলিও মূল্যায়ন করে। ভারত ১,৭১৬টি বিমানের বহরে ভারসাম্যপূর্ণ বাহিনী কাঠামো বজায় রেখেছে। ভারতীয় বিমান বাহিনীর বহরে ৩১.৬ শতাংশ যুদ্ধবিমান, ২৯ শতাংশ হেলিকপ্টার এবং ২১.৮ শতাংশ প্রশিক্ষণ বিমান রয়েছে। ভারতীয় বিমান বাহিনীর সরঞ্জাম আমেরিকা, রাশিয়া, ফ্রান্স, ইজরায়েলের মতো অনেক দেশে তৈরি হয়।
অপারেশন সিঁদুরের সময় ভারতীয় বিমান বাহিনীর শক্তি প্রদর্শন করা হয়েছিল
অপারেশন সিঁদুরের সময় ভারতীয় বিমান বাহিনীর কর্মক্ষম দক্ষতা বিশেষভাবে স্পষ্ট ছিল। এই সময়ের মধ্যে, ২০২৫ সালের মে মাসে, ভারত পাকিস্তান এবং পাক-অধিকৃত কাশ্মীরে সন্ত্রাসী পরিকাঠামোর উপর কয়েক ডজন নির্ভুল হামলা চালায়। এই আক্রমণগুলি পাকিস্তানে ভারতীয় বিমান বাহিনীর ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রদর্শন করে। পাকিস্তান প্রতিশোধ নেওয়ার সুযোগও পায়নি এবং তাদের কমপক্ষে এক ডজন বিমানঘাঁটি এবং রাডার স্টেশন ধ্বংস করা হয়েছিল।