India-US Defence Partnership: মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারতকে আমেরিকা থেকে আরও প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম কেনার আবেদন জানিয়েছেন। তার বক্তব্য ইঙ্গিত দেয় যে ভারত ও আমেরিকার মধ্যে ইতিমধ্যেই যে প্রতিরক্ষা চুক্তি হচ্ছে তা ওয়াশিংটনের প্রত্যাশা পুরোপুরি পূরণ করছে না। এই চুক্তিগুলির মধ্যে 2024 সালের অক্টোবরে চূড়ান্ত হওয়া 31টি MQ-9B প্রিডেটর ড্রোনগুলির জন্য 32,350 কোটি টাকার একটি চুক্তিও রয়েছে৷
গত দেড় দশকে নয়াদিল্লি আমেরিকাকে তার প্রধান প্রতিরক্ষা সরবরাহকারী হিসাবে দেখেছে। 2007 থেকে এখন পর্যন্ত, আমেরিকা ভারতের কাছে 2 লক্ষ কোটি টাকারও বেশি মূল্যের প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম বিক্রি করেছে। এতে দুই দেশের মধ্যে কৌশলগত সম্পর্ক জোরদার হচ্ছে। বিশেষ করে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে চিনের বাড়তে থাকা প্রভাবের ভারসাম্য রক্ষার জন্য এই অংশীদারিত্ব গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়েছে।
India-US Defence Partnership: ভারত অনেক ধরনের বিমান কিনেছে
ভারতের দ্বারা কেনা বড় আমেরিকান অস্ত্রের কথা বলতে গেলে, এর মধ্যে রয়েছে C-17 Globemaster III এবং C-130J সুপার হারকিউলিস পরিবহন বিমান, সাবমেরিন বিরোধী যুদ্ধের জন্য সামুদ্রিক নজরদারি বিমান, AH-64 Apache এবং CH-47 চিনুক হেলিকপ্টার , M777 পার্বত্য এলাকায় যুদ্ধের জন্য অতি-আলো হাউইটজার।
গত বছর ভারত এমকিউ-৯বি প্রিডেটর ড্রোন কেনার জন্য আমেরিকার সঙ্গে প্রতিরক্ষা চুক্তি করেছে। এই ড্রোনগুলি নির্ভুল স্ট্রাইক এবং দূরপাল্লার নজরদারি করতে সক্ষম এবং ভারত মহাসাগর অঞ্চলে (IOR) ভারতের সীমান্ত নিরাপত্তা এবং অপারেশনাল সক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করবে।
India-US Defence Partnership: প্রতিরক্ষা চুক্তি বাড়াতে চায় আমেরিকা?
ডোনাল্ড ট্রাম্পের বক্তব্য থেকে অনুমান করা হচ্ছে যে আমেরিকা ভারতকে শুধু গ্রাহক হিসেবে নয়, তার প্রতিরক্ষা শিল্প সম্প্রসারণের একটি বড় বাজার হিসেবে দেখে। আমেরিকান প্রতিরক্ষা সংস্থাগুলি ভারতের দ্রুত বাড়তে থাকা প্রতিরক্ষা বাজেটকে একটি সুযোগ হিসাবে দেখছে।
India-US Defence Partnership: ভারতও রাশিয়া ও ফ্রান্সের কাছ থেকে সরঞ্জাম কেনে
ভারতের দৃষ্টিকোণ থেকে, এটি তার প্রতিরক্ষা অংশীদারিত্বকে বহুমুখী করার কৌশল নিয়ে কাজ করছে। এটি রাশিয়া, ইজরায়েল এবং ফ্রান্স থেকে প্রতিরক্ষা সরঞ্জামও কিনেছে, তবে আমেরিকা এখনও নতুন এবং অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে ভারতের প্রধান অংশীদার।