VajR Drone Interceptor: ভারত তার প্রতিরক্ষা সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য প্রতিদিন নতুন নতুন পদক্ষেপ নিচ্ছে। ভারতের বেসরকারি কোম্পানিগুলিও আধুনিক যুদ্ধের উপযোগী অস্ত্র তৈরি শুরু করেছে। সাম্প্রতিক অপারেশন সিঁদুর স্পষ্ট করে দিয়েছে যে যুদ্ধ প্রথমে আকাশে লড়া হবে, স্থলে নয়। পাকিস্তান ভারতে আক্রমণ এবং গুপ্তচরবৃত্তি করার জন্য ড্রোন পাঠিয়েছিল, কিন্তু ভারতের বায়ু প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা তাদের প্রতিহত করেছে। এখন ভারতের একটি বেসরকারি কোম্পানি তাদের মোকাবিলা করার জন্য ‘বজ্র’ অস্ত্র তৈরি করেছে।
হার্ড-কিল ড্রোন ইন্টারসেপ্টর সিস্টেম
গুরুগ্রাম-ভিত্তিক ডিপ-টেক স্টার্টআপ কোম্পানি ‘শারং শক্তি’ ‘বজ্র’ নামে একটি দেশীয় হার্ড-কিল ড্রোন ইন্টারসেপ্টর সিস্টেম চালু করেছে। এই সিস্টেমটি শত্রুপক্ষের ড্রোনগুলিকে আকাশেই ধ্বংস করার জন্য তৈরি করা হয়েছে। এই ড্রোনটি AI ক্ষমতার সাহায্যে ড্রোন আক্রমণের জবাব দেয়।
আঘাত করে ধ্বংস করে
বজ্র হল এমন একটি ড্রোন যা শত্রুপক্ষের ড্রোনগুলিকে বাতাসে আঘাত করে ধ্বংস করে। এটি ঐতিহ্যবাহী অ্যান্টি-ড্রোন সিস্টেম থেকে আলাদা, যা শুধুমাত্র সিগন্যাল জ্যামিং করে। আধুনিক ড্রোনের বিরুদ্ধে এই পদ্ধতি কম কার্যকর হতে পারে। বজ্র ড্রোন শত্রু ড্রোনের সাথে সরাসরি সংঘর্ষের মাধ্যমে ধ্বংস করে দেয়। এর স্বয়ংক্রিয় হ্যাঙ্গার সিস্টেম এটিকে মাটি থেকে উৎক্ষেপণ করে এবং রাডার বা অপটিক্যাল সেন্সরের সাহায্যে লক্ষ্যবস্তু অনুসন্ধান করে।
LAC এবং LoC-তে মোতায়েন করা যেতে পারে
ভারতের LAC এবং LoC-এর মতো সীমান্তে বাড়তে থাকা ড্রোন হুমকি মোকাবিলায় বজ্র ড্রোন একটি গুরুত্বপূর্ণ অস্ত্র হিসেবে প্রমাণিত হতে পারে। এটি তৈরিকারী শারং শক্তি কোম্পানি ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে ৫.৯৯ লক্ষ ডলার তহবিল পেয়েছে। কোম্পানিটি এখন বজ্রকে আরও উন্নত করার এবং এটিকে দেশীয় রাডারের সাথে একীভূত করার পরিকল্পনা করছে। ভবিষ্যতে বড় হুমকি মোকাবিলায় এতে বিস্ফোরক প্রযুক্তিও অন্তর্ভুক্ত করা হতে পারে।
এর তিনটি বড় বৈশিষ্ট্য রয়েছে
- বজ্রের একটি বিশেষ নির্দেশিকা এবং নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা রয়েছে, যা এটিকে উচ্চ গতি দেয়।
- এটি ৫০-১০০ মিটার দূর থেকে লক্ষ্যবস্তু শনাক্ত করে, তাড়া করে এবং বাইরের সাহায্য ছাড়াই ধ্বংস করে।
- বজ্রের গুরুত্বপূর্ণ অংশগুলিকে কেভলারের একটি শক্তিশালী স্তর দিয়ে সুরক্ষিত করা হয়েছে, যার কারণে সংঘর্ষের পরেও এটি পুনরায় ব্যবহার করা যেতে পারে।