Indian Military Exercise: পূর্ব লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় সাম্প্রতিক সেনা প্রত্যাহারের পর ভারত একটি কৌশলগত পদক্ষেপ নিয়েছে। এর অধীনে ভারত ‘পুর্ভী প্রহার’ (Poorvi Prahar) নামে একটি ত্রিদেশীয় সামরিক মহড়া চালাচ্ছে (tri-services military exercise)। এই মহড়ার উদ্দেশ্য হল পূর্ব সীমান্তে ভারতের সমন্বিত প্রতিরক্ষা সক্ষমতা প্রদর্শন করা। ভারতীয় সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী এবং বায়ু সেনার সমন্বিত প্রচেষ্টা ইস্টার্ন স্ট্রাইক মহড়ায় যুক্ত হচ্ছে। এই মহড়ার সময় তারা তাদের যুদ্ধ প্রস্তুতি প্রদর্শন করবে।
সেনাবাহিনী পদাতিক যুদ্ধ ইউনিট, আর্টিলারি বন্দুক, হালকা যুদ্ধ হেলিকপ্টার এবং মনুষ্যবিহীন বিমান যান (ইউএভি) মোতায়েন করার পরিকল্পনা করেছে। ভারতীয় বায়ু সেনা সুখোই-৩০এমকেআই, রাফালে, সি-১৩০জে, হকস এবং বিভিন্ন হেলিকপ্টার ইউনিটের একটি বহর ব্যবহার করে কলকাতা, হাশিমারা, পানাগড় এবং কালাইকুন্ডায় প্রধান বিমান ঘাঁটি সক্রিয় করবে। এছাড়াও ভারতীয় নৌবাহিনীর মার্কোস কমান্ডোরাও এই মহড়ায় অংশ নেবেন।
এই মহড়ার উদ্দেশ্য হল সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী এবং বায়ু সেনার মধ্যে সমন্বয় পরীক্ষা করা, পূর্বাঞ্চলে ভারতের প্রস্তুতি এবং প্রতিরক্ষা ভঙ্গি শক্তিশালী করা। পূর্ব হামলার সময়টি কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ কারণ ভারত অরুণাচল প্রদেশ সীমান্তে তার সামরিক অবস্থান শক্তিশালী করছে। পূর্ব লাদাখে সফলভাবে বিচ্ছিন্ন হওয়ার পরে, পূর্বাঞ্চলে উত্তেজনা কমাতে চিনের সাথেও আলোচনা চলছে।
আলোচনার মধ্যে তাওয়াং সেক্টরের ইয়াংজি অঞ্চলে টহল অধিকার পুনরুদ্ধারের প্রচেষ্টা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে, যেখানে 2022 সালের ডিসেম্বরে পিএলএর সাথে সংঘর্ষের পরে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছিল। চিনের সাথে চলমান আলোচনার পাশাপাশি ভারত LAC-তে তাদের যৌথ যুদ্ধ ক্ষমতা বাড়াচ্ছে। এই দ্বৈত পন্থা শান্তিপূর্ণ সমাধানের জন্য ভারতের শক্তি বাড়াতে পারে।
বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর ব্রিসবেনে গিয়েছিলেন, যেখানে এনআরআইদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি ভারত এবং চিন সম্পর্কে পূর্ব লাদাখের কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ভারত ও চিনের ক্ষেত্রে কিছুটা অগ্রগতি হয়েছে। তিনি বলেন যে কিছু কারণে ভারত ও চিনের মধ্যে সম্পর্কের ফাটল দেখা দিয়েছে, তবে উভয় দেশের সেনাবাহিনী পূর্ব লাদাখ থেকে প্রত্যাহার করেছে।