নয়াদিল্লি, ২০ অক্টোবর: সাম্প্রতিক অপারেশন সিঁদুর (Operation Sindoor) থেকে শিক্ষা নিয়ে ভারতীয় বিমান বাহিনী (Indian Air Force) তাদের পাল্টা আক্রমণ ক্ষমতা আরও শক্তিশালী করার দিকে একটি বড় পদক্ষেপ নিয়েছে। বিমান বাহিনী ব্রহ্মোস (BrahMos) সুপারসনিক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের মজুদ বাড়ানোর (BrahMos Missile Stockpile) এবং এই ক্ষেপণাস্ত্রগুলি উৎক্ষেপণের জন্য আরও সুখোই সু-৩০এমকেআই যুদ্ধবিমান আপগ্রেড (Su-30MKI upgrade) করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। হিন্দুস্তান অ্যারোনটিক্স লিমিটেডের (HAL) নাসিক ইউনিটে এই আপগ্রেড প্রোগ্রামটি দ্রুত বাস্তবায়িত হবে। এই পদক্ষেপের প্রত্যক্ষ উদ্দেশ্য হল ভবিষ্যতের যেকোনো সংঘর্ষের ক্ষেত্রে, ভারতীয় বিমান বাহিনীর দূরপাল্লার নির্ভুল হামলার জন্য পর্যাপ্ত ক্ষমতা এবং প্রস্তুতি নিশ্চিত করা। (BrahMos Su-30MKI upgrade)
বিমান বাহিনী HAL নাসিকে চলমান Su-30MKI আপগ্রেড প্রোগ্রাম ত্বরান্বিত করার নির্দেশ দিয়েছে। এই কর্মসূচির অধীনে, Su-30MKI বিমানগুলিতে প্রয়োজনীয় কাঠামোগত এবং সফ্টওয়্যার পরিবর্তন করা হয় যাতে তারা নিরাপদে ব্রহ্মোস এয়ার-লঞ্চড ক্রুজ মিসাইল (ALCM) এর মতো ভারী এবং শক্তিশালী অস্ত্র বহন এবং গুলি চালাতে সক্ষম হয়। Su-30MKI এবং BrahMos-এর এই সমন্বয় ভারতকে শত্রু অঞ্চলের গভীরে এবং দীর্ঘ পরিসরে নির্ভুলতার সাথে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করার অনন্য ক্ষমতা প্রদান করে। এই বিশাল আপগ্রেডের লক্ষ্য হল ভারতের বিমান শক্তি সর্বদা যেকোনো আঞ্চলিক চ্যালেঞ্জের জবাব দিতে প্রস্তুত থাকা নিশ্চিত করা।
কেন আপগ্রেড করা প্রয়োজন?
ব্রহ্মোসের জন্য Su-30MKI প্রস্তুত করার জন্য প্রযুক্তিগত পরিবর্তন আনতে হবে।ব্রাহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্রটি বেশ ভারী। এটি বহন করার জন্য, Su-30MKI এর কাঠামোগত কাঠামো শক্তিশালী করা হয় যাতে এটি ক্ষেপণাস্ত্রের ওজন এবং উৎক্ষেপণের ধাক্কা নিরাপদে সহ্য করতে পারে। বিমানের অগ্নি নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা এবং এভিওনিক্স ব্রহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্রের নির্দেশিকা ব্যবস্থার সাথে একীভূত, যা নিশ্চিত করে যে পাইলট সঠিক সময় এবং নির্ভুলতার সাথে ক্ষেপণাস্ত্রটি উৎক্ষেপণ করতে পারেন।
ব্রহ্মোস ALCM শব্দের প্রায় তিনগুণ গতিতে চলে এবং ৪০০ কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারে। এই আপগ্রেডের ফলে বিমান বাহিনীর বহরে এই মারাত্মক ক্ষেপণাস্ত্র বহনকারী বিমানের সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে।


