AMCA Indian 5.5 Generation Fighter Jet: এটা সকলেরই জানা যে ভারত ৫.৫ প্রজন্মের একটি স্টিলথ ফাইটার জেট তৈরি করছে। কিন্তু এখন ভারত এই জেট তৈরির গতি বাড়াতে চলেছে। IDRW জানিয়েছে যে অ্যাডভান্সড মিডিয়াম কমব্যাট এয়ারক্রাফ্ট (AMCA) তৈরির প্রক্রিয়া দ্রুত করার জন্য একটি নতুন উৎপাদন মডেল তৈরির কাজ চলছে। প্রতিরক্ষা সচিব রাজেশ কুমার সিং-এর সভাপতিত্বে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে, যা ২০২৫ সালের এপ্রিলের শেষের দিকে তাদের রিপোর্ট জমা দেবে। এই কমিটির মূল লক্ষ্য হল AMCA-এর উন্নয়ন এবং ভারতীয় বায়ুসেনাতে (IAF) এর অন্তর্ভুক্তির প্রক্রিয়া দ্রুত করা।
AMCA প্রকল্প কী?
AMCA হল একটি ৫.৫ প্রজন্মের স্টিলথ ফাইটার জেট যা নির্মাণাধীন। এতে উন্নত স্টিলথ প্রযুক্তি, সুপার ক্রুজ ক্ষমতা (আফটারবার্নার ছাড়াই সুপারসনিক গতি), অত্যাধুনিক এভিওনিক্স এবং এআই ভিত্তিক সিস্টেম রয়েছে। এই যুদ্ধবিমান ভারতীয় বায়ুসেনার যুদ্ধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করবে। AMCA-এর লক্ষ্য হল ধীরে ধীরে সুখোই Su-30MKI-এর মতো পুরনো বিমান প্রতিস্থাপন করা।
AMCA তৈরির গতি কীভাবে বাড়ানো যেতে পারে?
AMCA প্রকল্পের গতি বাড়ানোর জন্য বেশ কয়েকটি প্রস্তাব বিবেচনা করা হচ্ছে। তাদের কিছু এখানে উল্লেখ করা হল।
পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি): এই মডেলে, বেসরকারি খাতের কোম্পানিগুলি হিন্দুস্তান অ্যারোনটিক্স লিমিটেড (এইচএএল) এর সহযোগিতায় এএমসিএ তৈরি করবে। HAL এই প্রকল্পের নেতৃত্ব দেবে, তবে বেসরকারি কোম্পানিগুলির অংশগ্রহণ উৎপাদন ক্ষমতা এবং গতি বৃদ্ধি করবে।
দুটি পৃথক কোম্পানি: এই প্রস্তাবের অধীনে, দুটি পৃথক কোম্পানি উৎপাদন করবে। সম্ভবত একটি সরকারি এবং একটি বেসরকারি কোম্পানি। এই অনুপাত ৬০-৪০ হতে পারে। এর মাধ্যমে যন্ত্রাংশগুলি দ্রুত তৈরি হবে, কোনও বিলম্ব হবে না।
বেসরকারি খাতের প্রসার: সরকার AMCA-এর নকশা এবং উৎপাদনে বেসরকারি খাতের অংশগ্রহণ বাড়ানোর কথা বিবেচনা করছে। ২০২৫ সালের মার্চ মাসে, প্রতিরক্ষা মন্ত্রক বেসরকারি কোম্পানিগুলির ভূমিকা বৃদ্ধির জন্য একটি প্যানেল গঠন করেছিল, যা কেবল প্রকল্পটিকে ত্বরান্বিত করবে না বরং ভারতের বেসরকারি প্রতিরক্ষা শিল্পকেও শক্তিশালী করবে।
AMCA-এর গতি বাড়ানো কেন প্রয়োজন?
চিনের জে-২০ যুদ্ধবিমান পরিষেবায় প্রবেশ করায় এএমসিএ প্রকল্পটি ত্বরান্বিত করা হচ্ছে। এর পাশাপাশি, চিন ষষ্ঠ প্রজন্মের J-36 যুদ্ধবিমানও তৈরি করছে। চিন ২০৩০ সালের মধ্যে পাকিস্তানকে ষষ্ঠ প্রজন্মের জেট সরবরাহের আশ্বাসও দিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে ভারতকেও দ্রুত তার সামরিক শক্তি বাড়াতে হবে।