শ্রীলঙ্কাকে ছাপিয়ে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম চা রপ্তানিকারক দেশ ভারত

দীর্ঘদিন ধরে নানা সমস্যার সম্মুখীন হওয়া ভারতীয় চা শিল্প(India tea exports) এখন এক নতুন মাইলফলক স্পর্শ করেছে। ভারতের চা বোর্ড কর্তৃক প্রকাশিত পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২৪…

India became the second tea exporter

দীর্ঘদিন ধরে নানা সমস্যার সম্মুখীন হওয়া ভারতীয় চা শিল্প(India tea exports) এখন এক নতুন মাইলফলক স্পর্শ করেছে। ভারতের চা বোর্ড কর্তৃক প্রকাশিত পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২৪ সালে ভারত ২৫৪ মিলিয়ন কেজি চা রপ্তানি করেছে এবং এখন বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম চা রপ্তানিকারক দেশ হিসেবে অবস্থান করছে।

কেনিয়া বিশ্বে শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে যেখানে ২০২৪ সালে তারা ৫০০ মিলিয়ন কেজির বেশি চা রপ্তানি করেছে। তবে ভারত শ্রীলঙ্কাকে ছাপিয়ে দ্বিতীয় স্থানে চলে এসেছে। ২০২৩ সালে ভারত ও শ্রীলঙ্কা প্রায় সমান পরিমাণ চা রপ্তানি করেছিল। প্রতিটির রপ্তানি ছিল প্রায় ২৩১ মিলিয়ন কেজি, কিন্তু ২০২৪ সালে ভারত ২৪ মিলিয়ন কেজি বেশি রপ্তানি করে শ্রীলঙ্কাকে ছাড়িয়ে গেছে।

এটি ভারতের জন্য বড় অর্জন, কারণ ২০২৪ সালে রপ্তানির পরিমাণ ছিল ২৫৪ মিলিয়ন কেজি। যা ২০১৮ সালের পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রপ্তানি পরিমাণ। ২০১৮ সালে ভারতের রপ্তানি ছিল প্রায় ২৫৬ মিলিয়ন কেজি। ২০২৪ সালে ভারতের চা রপ্তানির মোট মূল্য ছিল ৭,১১২ কোটি টাকা।

পূর্ববর্তী কয়েক বছর ধরেই ভারতের চা রপ্তানি প্রায় ২০০-২২৫ মিলিয়ন কেজি ছিল। তবে এই মর্মান্তিক বৃদ্ধি চা শিল্পকে আশাবাদী করেছে যে ২০৩০ সালের মধ্যে ৩০০ মিলিয়ন কেজি রপ্তানির লক্ষ্য অর্জন করা সম্ভব হবে। ভারতের বছরে প্রায় ১,৪০০ মিলিয়ন কেজি চা উৎপাদিত হয় যা বিশ্বের চা উৎপাদনের একটি বড় অংশ।

চা রপ্তানির প্রধান অংশই এসেছে ‘অর্থডক্স’ চা সেগমেন্ট থেকে, যার উন্নতি সাম্প্রতিক সময়ে কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে হয়েছে। “কেন্দ্র সরকারের রপ্তানি নীতির সহায়তা এবং রাজ্য সরকারের সহায়তার কারণে চা শিল্প আরও বেশি রপ্তানি করতে পারবে বলে আমরা আশাবাদী,” বলেছিলেন ভারত চা অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক প্রবীর কুমার ভট্টাচার্য।

Advertisements

এই সফল রপ্তানির কারণে ভারতের চা শিল্পে এক নতুন প্রাণ সঞ্চারিত হয়েছে এবং তারা আগামী বছরগুলোতে আরও বড় অর্জনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছে। বিশেষত, চা রপ্তানির বৃদ্ধি ভারতের অর্থনৈতিক উন্নতির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে, এবং দেশের রপ্তানি বাজারে চা শিল্পের গুরুত্ব আরও বেড়ে যাবে।

ভারতীয় চা শিল্পের এই সাফল্য শুধু দেশীয় বাজারেই নয়, আন্তর্জাতিক পর্যায়েও দেশের সম্মান ও মর্যাদা বৃদ্ধি করবে।