চোখের নিমিষে গুড়িয়ে যাবে শত্রুর যুদ্ধবিমান, শক্তিশালী মিসাইল উৎক্ষেপণ করল ভারত

যত সময় এগোচ্ছে প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে আরও শক্তিশালী হয়ে উঠছে ভারত। সীমান্তে লাগাতার উত্তেজনার মধ্যে একের পর এক মিসাইল, ট্যাঙ্ক, হেলিকপ্টারের পরীক্ষা নিরীক্ষা চালাচ্ছে ভারত। আজও…

drdo

যত সময় এগোচ্ছে প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে আরও শক্তিশালী হয়ে উঠছে ভারত। সীমান্তে লাগাতার উত্তেজনার মধ্যে একের পর এক মিসাইল, ট্যাঙ্ক, হেলিকপ্টারের পরীক্ষা নিরীক্ষা চালাচ্ছে ভারত। আজও সেটার ব্যতিক্রম ঘটল না। কিন্তু এবার ভারত যা করল তা দেখে শত্রু দেশগুলির রাতের ঘুম উড়ে যেতে বাধ্য। আজ বৃহস্পতিবার বালাসোরের চণ্ডিপুরে কুইক রিঅ্যাকশন সারফেস টু এয়ার মিসাইলের (Missile Test) সফল পরীক্ষা চালাল ভারত।

প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে খবর, এই মিসাইল পরীক্ষা সফলভাবে শেষ হয় বিকেল ৩টা ১৮ মিনিটে। এর আগে ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার পরিপ্রেক্ষিতে পরীক্ষা স্থলের নিকটবর্তী গ্রাম থেকে বহু মানুষকে অস্থায়ী ক্যাম্পে সরিয়ে নেওয়া হয়। আজ সকাল ৬টা থেকে শুরু করা হয়। উল্লেখ্য, গত ৬ সেপ্টেম্বরও ওড়িশায় এই ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছিল ভারত। এই ক্ষেপণাস্ত্রের নাম অগ্নি-৪। ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে এই পরীক্ষা চালায়।

   

অগ্নি-৪ ক্ষেপণাস্ত্রের একটি প্রধান বৈশিষ্ট্য হ’ল এটি আবার কোনও রাডারে ধরা পড়ে না। ফলে প্রয়োজনে যে কোনও জায়গায় এটি হামলা চালাতে সক্ষম হবে আবার শত্রুদের নজরেও আসবে না। শুক্রবার ডিআরডিও অগ্নি-৪ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা চালায়। ওড়িশার এপিজে আবদুল কালাম দ্বীপ থেকে এই পরীক্ষা করা হয়েছে। অগ্নি-৪ একটি মাঝারি ওজনের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র, যা প্রায় ৪০০০ কিলোমিটার আঘাত হানতে সক্ষম। এই ক্ষেপণাস্ত্রের পরমাণু অস্ত্র বহনের ক্ষমতা রয়েছে, যা ভারতের কৌশলগত শক্তি আরও বাড়িয়ে দেয়।

অগ্নি-৪ এর দৈর্ঘ্য ২০ মিটার এবং এর ওজন প্রায় ১৭ টন। এটি একটি টু-স্টেজ মিসাইল। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল এই ক্ষেপণাস্ত্রটি রাস্তায় মোবাইল লঞ্চার থেকেও উৎক্ষেপণ করা যেতে পারে, যা মোতায়েন করা সহজ করে তোলে। অগ্নি -৪ উচ্চতর নির্ভুলতার জন্য দেশীয় রিং লেজার জাইরোস্কোপ-ভিত্তিক জড় নেভিগেশন সিস্টেম এবং ডিজিটাল কন্ট্রোলার সিস্টেম নিয়ে গঠিত।

Advertisements

এই পরীক্ষার উদ্দেশ্য ছিল ভারতের প্রতিরক্ষা ক্ষমতা শক্তিশালী করা এবং সম্ভাব্য শত্রুদের কাছে স্পষ্ট বার্তা দেওয়া। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, মাত্র ২০ মিনিটেই চীন ও পাকিস্তানের যে কোনো শহরকে টার্গেট করতে পারে অগ্নি-৪। এটি ভারতের রাজনৈতিক শক্তির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সংযোজন যা দেশের নিরাপত্তায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।