সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের (SCO) সাম্প্রতিক শীর্ষ সম্মেলনের পর, যেখানে প্রধানমন্ত্রী মোদি রাশিয়া ও চীনের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে অংশ নিয়েছিলেন, ট্রাম্প (Donald Trump) প্রশাসনের বাণিজ্য উপদেষ্টা পিটার নভারো এক তীব্র বক্তব্য দিয়েছেন। তিনি ট্রাম্প প্রশাসনের চোখে মোদির নেওয়া এ কূটনৈতিক পদক্ষেপকে “লজ্জাজনক” এবং “কোনো যুক্তিতে দাঁড়ায় না” বলে উল্লেখ করেছেন।
নোভারোর বক্তব্যের সারমর্ম
নোভারো বলেন, “দুনিয়ার সবচেয়ে বড় গণতান্ত্রিক নেতা হিসেবে মোদির উচিত হবে আমেরিকার পাশে থাকা, রাশিয়ার নয়।” তিনি মোদির রাশিয়া ও চীনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা গড়ার নির্বাচনকে কঠোর ভাষায় নিন্দা করে এটিকে “অর্থহীন” এবং “দুর্ভাগ্যজনক” পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচনা করেছেন। এছাড়া তিনি যুক্তরাজ্যকেও “কমিউনিস্ট চীনের বশীভূত” আখ্যা দিয়েছেন—যা তাঁর সমগ্র কূটনীতির ভঙ্গিতে সুস্পষ্টভাবে প্রতিফলিত হয়।
সামগ্রিক রাজনৈতিক ও কুটনৈতিক বিশ্লেষণ
রাষ্ট্রীয় স্বাতন্ত্র্যের অভিপ্রায়: ভারত প্রথাগতভাবে একাধিক শক্তির সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রেখে আসছে—যাকে বলা হয় “স্ট্র্যাটেজিক অটোনমি।” তবে নভারোর মতে, যুদ্ধ বা আন্তর্জাতিক সংকটের সময় “স্বাতন্ত্র্য” হযর উচিত নয়; এর বদলে নির্ভরযোগ্য বন্ধু হওয়াই গুরুত্বপূর্ণ।
ট্রাম্প (Donald Trump) প্রশাসনের কৌশল: ২০২৫ সালের আগস্টে ট্রাম্প প্রশাসন ভারতের উপর মোট ৫০% শুল্ক আরোপ করে—প্রধানত ভারতীয় রাশিয়ান তেলের আমদানি ও বাণিজ্যজনিত মতবিরোধ ঘিরে। নভারোর মন্তব্য হলো, এই সম্পর্ক স্থাপনের জন্য নির্ধারিত “রেওয়ার্ড”—যদি ভারত রাশিয়ায় নির্ভরতা কমায় তবে সুযোগ রয়েছে।
ভারতীয় কূটনীতি—মৌলিক অবস্থান
যদিও পশ্চিমা মহাকাশে চাপ বেড়েচ্ছে, প্রধানমন্ত্রী মোদি SCO সম্মেলনে জানিয়েছেন ভারত শান্তিপূর্ণ সংলাপ এবং বহু-মেরু শান্তি উদ্যোগগুলোর প্রতি দৃঢ় প্রতিশ্রুতি রাখে। অন্যদিকে, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন ভারত ও চীনের শীর্ষ সম্মেলনে ভারতের শান্তি প্রচেষ্টাকে “উচ্চ প্রশংসনীয়” হিসেবে উল্লেখ করেছেন।