নয়াদিল্লি: ঢাকার উত্তরায় ভয়াবহ যুদ্ধবিমান দুর্ঘটনায় গুরুতর আহতদের চিকিৎসায় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ও নার্সের একটি দল পাঠাচ্ছে ভারত (India sends burn-specialist doctors to Dhaka)। এই চিকিৎসক দলে বার্ন-স্পেশালিস্টরাও রয়েছেন। সোমবারের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৩১ জনের মৃত্যু হয়েছে, যাদের মধ্যে ২৫ জনই শিশু। বাংলাদেশের মিলস্টোন স্কুল ও কলেজে ভেঙে পড়েছিল যুদ্ধবিমানটি। অধিকাংশ আহতর শরীরেই গুরুতর দগ্ধ হওয়ার ক্ষত রয়েছে।
ঘটনার পর মঙ্গলবার রাতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী গভীর শোকপ্রকাশ করে বাংলাদেশের প্রতি সহানুভূতি ও সহায়তার বার্তা দেন। পরে ভারতের বিদেশ মন্ত্রক (MEA) এক বিবৃতিতে জানায়, “বার্ন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ও নার্সদের একটি দল প্রয়োজনীয় মেডিক্যাল সাপোর্ট নিয়ে খুব শীঘ্রই ঢাকা যাচ্ছে। তারা আহতদের শারীরিক পরিস্থিতি মূল্যায়ন করবে এবং প্রয়োজনে ভারতে চিকিৎসার জন্য সুপারিশ করবে।”
প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, চিকিৎসক দলে রয়েছেন দিল্লির রাম মনোহর লোহিয়া হাসপাতাল এবং সফদরজং হাসপাতালের দুই অভিজ্ঞ বার্ন-স্পেশালিস্ট। তাদের পর্যবেক্ষণের ভিত্তিতে ভবিষ্যতে আরও চিকিৎসক দল পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে বলে জানিয়েছে MEA। সেইসঙ্গে গুরুতর দগ্ধ বেশ কয়েকজনকে ভারতের সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার ব্যবস্থাও করা হবে।
এই দুর্ঘটনার কারণ জানতে একটি উচ্চপর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বাংলাদেশ বিমানবাহিনী।
এটি ভারত ও বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের আর এক মানবিক দৃষ্টান্ত, যেখানে সংকটের মুহূর্তে এক প্রতিবেশী রাষ্ট্র আরেকটির পাশে দাঁড়াচ্ছে চিকিৎসা সহায়তা ও মানবিকতার বার্তা নিয়ে।