ভারতে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রতিদিন ৪৬২ জনের মৃত্যু, পশ্চিমবঙ্গের স্থান শীর্ষে?

২০২২ সালে ভারতে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রতিদিন গড়ে ৪৬২ জনের মৃত্যু হয়েছে, যা দেশের সড়ক নিরাপত্তার জন্য একটি উদ্বেগজনক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। সড়ক পরিবহন মন্ত্রকের “রোড…

২০২২ সালে ভারতে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রতিদিন গড়ে ৪৬২ জনের মৃত্যু হয়েছে, যা দেশের সড়ক নিরাপত্তার জন্য একটি উদ্বেগজনক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। সড়ক পরিবহন মন্ত্রকের “রোড অ্যাক্সিডেন্টস ইন ইন্ডিয়া” শীর্ষক বার্ষিক প্রতিবেদন অনুসারে, এই বছর সড়ক দুর্ঘটনার সংখ্যা ছিল গড়ে প্রতিদিন ১,২৬৪টি ।

শীর্ষক বার্ষিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর সংখ্যা ২০২১ সালের তুলনায় ৯% বেড়েছে, যা পরিস্থিতির অবনতির ইঙ্গিত দিচ্ছে। অপরদিকে ২০২২ সালে সড়ক দুর্ঘটনায় মোট ১,৬৮,০০০ জন প্রাণ হারিয়েছেন, এর মধ্যে ২৫-৩৫ বছর বয়সী ৪২,৬৭১ জন।

   

এই প্রতিবেদন অনুযায়ী, তামিলনাড়ুতে সবচেয়ে বেশি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে, সেখানে ৬৪,১০৫টি দুর্ঘটনা রেকর্ড করা হয়েছে। ওই একই সময়ে, উত্তর প্রদেশে সর্বোচ্চ প্রাণহানি ঘটেছে, যেখানে দুর্ঘটনার ফলে ২২,৫৯৫ জন নিহত হয়েছে। উল্লেখযোগ্যভাবে, মহারাষ্ট্র (১৫,২২৪), কেরালা (৪৩,৯১০) এবং মধ্যপ্রদেশ (৫৪,৪৩২) এই তালিকায় পরবর্তী স্থানে রয়েছে। উত্তর প্রদেশের পর তামিলনাড়ুতে সড়ক দুর্ঘটনায় ১৭,৮৮৪ জন মারা গেছে। সেই অনুপাতে পশ্চিমবঙ্গের স্থান কিছুটা নিচের সারিতে রয়েছে। তথ্য অনুযায়ী ২০২২ সালে বাংলায় সড়ক দুর্ঘটনার সংখ্যা ১৩৬৮৬টি এবং প্রাণহানির সংখ্যা প্রায় ৫৮০০ জন।

২০২২ সালে সড়ক দুর্ঘটনা এবং মৃত্যুর সংখ্যা ২০২১ সালের তুলনায় ১২% বৃদ্ধি পেয়েছে। রেকর্ড অনুযায়ী সড়ক দুর্ঘটনার বৃদ্ধির অন্যতম কারণ হিসেবে অতিরিক্ত গতি, অবৈধ ড্রাইভিং, মদ্যপান এবং ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনের বিষয়গুলি উঠে এসেছে।

প্রতিবেদন অনুসারে, ২০২২ সালে ১৮ বছরের নিচে ৯,৫২৮ জন এবং ৬০ বছরের ঊর্ধ্বে ১৩,৬৩৬ জন সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন। লাক্ষাদ্বীপে সড়ক দুর্ঘটনা ছিল সবচেয়ে কম, সেখানে মাত্র ৩টি দুর্ঘটনা ঘটেছে এবং তার মধ্যে ২ জন প্রাণ হারিয়েছেন।

সড়ক পরিবহন মন্ত্রক ২০২৩ সালে প্রকাশিত প্রতিবেদনে সড়ক দুর্ঘটনার মূল কারণ হিসেবে অতিরিক্ত গতি, অপ্রশিক্ষিত চালক এবং সড়ক ও যানবাহনের খারাপ অবস্থার কথা তুলে ধরেছে। এছাড়া, সড়ক নিরাপত্তা ব্যবস্থা শক্তিশালী করার জন্য আরও কঠোর পুলিশি তৎপরতা, ড্রাইভার প্রশিক্ষণ এবং সড়ক অবকাঠামো উন্নতির প্রয়োজনীয়তা নিশ্চিত করা হয়েছে।